নিয়ন্ত্রক নয়, সহায়ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় রাখবে মন্ত্রণালয় : সি আর আবরার
২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক নয়, বরং সহায়ক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখবে মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষাক্রমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া, গুণগতমান উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার এসব কথা বলেন বলে সংগঠনটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর মাধ্যমে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় যথাসম্ভব সহায়তা করবে।
শিল্পের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রফেসর সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও দক্ষতামুখী ও বাস্তবমুখী করা জরুরি। সমিতির নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করে জানান, শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিয়া ও শিল্প খাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। আগামিতে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান অলাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর করারোপ প্রসঙ্গে বলেন, যে পরিমাণ অর্থ কর হিসেবে তৎসময়ে আদায় করা হয়েছে বা করা হচ্ছে, তা গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য পুনঃবরাদ্দ করা উচিত। এই অর্থ উদ্ভাবনী গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় হলে দেশের উচ্চশিক্ষা খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি, এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগের পদ্ধতি প্রসঙ্গে সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক আবেদীন বলেন, প্রতিটি পদের জন্য ১৫ থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন প্রফেসরের নাম প্রস্তাব করতে হয়, সে হিসেবে সহস্রাধিক মানসম্পন্ন প্রফেসর পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমিতির ট্রেজারার কেবিএম মঈন উদ্দিন চিশতি বলেন, একটি মানসম্পন্ন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কয়েকশ’ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে নিজস্ব অর্থায়নে জমি কেনার পর ক্যাম্পাস নির্মাণে অর্থের সংস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সরকারি সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য কাইয়ূম রেজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পাকিস্তানে ১৫ এপ্রিল দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের ডাক জামায়াতে ইসলামী’র

ইসরায়েলিদের বিপক্ষে অবস্থান নিল ফ্রান্স

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সরাসরি পারমাণবিক আলোচনায় বসছে: ট্রাম্প

আমরা ইসরায়েলি কোম্পানি নই : বাটা

মতলবে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা

শুল্ক নিয়ে আলোচনার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

সরকার থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা উচিত: ভিপি নুর

রাত জেগে কেএফসি পাহারায় ছাত্রদল

বিদেশি ওমরাহযাত্রীদের সউদী ত্যাগের সময়সীমা জানাল সরকার

ফিলিস্তিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষিকার

চলতি মাসেই ঢাকায় আসছেন ট্রাম্পের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ফিলিপাইনের

ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায় গাজায় একদিনেই নিহত আরও ৬০ ফিলিস্তিনি

তুরিন আফরোজকে আদালতে তোলা হবে আজ

কমলনগরে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার প্রতিবন্ধী পিতাকে পিটিয়ে হত্যা,একই পরিবারের আহত- ৫

ভারতীয় সিনেমায় আরমিন মুসার 'নিদ্রাহীন'

নতুন ফিল্ডিং কোচ পেল বাংলাদেশ

অভিজ্ঞদের নিয়েই আসছে জিম্বাবুয়ে

বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার তালিকায় যারা

কুমিল্লার সাবেক এমপি শফিউদ্দিন শামীমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা