ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আহ্বান আমিনুল হকের
০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪ এএম

গাজার রাফায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুসলিম সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে ইসরাইলি পন্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
এসময় তিনি ফিলিস্তিনে সব শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক প্রকাশ করেন এবং ইসরাইল যুদ্ধ নীতি ভঙ্গ করে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। মুসলমানদের ওপরে এই ধরনের হত্যাযজ্ঞ আমরা আর দেখতে চাই না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় অনুষ্ঠানে কোমল পানীয় ইসরাইলি পণ্য হওয়ায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের আহ্বানে খাবার টেবিল থেকে পণ্যটি ফেলে দেয় হাজারও নেতাকর্মী।
গত ছয় মাসে অন্তর্বর্তী সরকার দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পারেনি দাবি করে আমিনুল হক বলেন,এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা বিশ্বাস করি দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রুপরেখার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
এসময় তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দেখতে চায়।পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ পরিপূর্ণ ভাবে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়।বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার এর রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংষ্কার করতে চায়। সেটি তখনই সম্ভব যখন বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মহল একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে পেছানোর জন্য তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং সেই ইস্যুতে আওয়ামী স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত রয়েছে বলেও আমিনুল হক অভিযোগ করেন।
সংষ্কার প্রসংগে টেনে এসময় তিনি বলেন, সংষ্কার আপনারাও চান আমরাও চাই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার আমরাও চাই আপনারাও চান। বাংলাদেশকে তখনই আমরা স্বৈরাচার মুক্ত ও সংষ্কার করতে পারব,যখন বাংলাদেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন,বিলম্ব না করে দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দেন। নির্বাচন দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। সেই জনগণের সরকার দেশে পরিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।জনগণের ভোটের অধিকার পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশের সকল মানুষের অধিকার ও দাবি পূরণ করতে সক্ষম হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন,যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি,এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর),মো. আক্তার হোসেন,আতাউর রহমান,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,হাজী মোঃ ইউসুফ,মোঃ আফাজ উদ্দিন,মোঃ শাহ আলম,মাহাবুবুল আলম মন্টু প্রমুখ।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সান্দা বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জিতেছেন ইরানের দারিয়াই

সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য অংশগ্রহণমূলক বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্বে জোর দিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুল্কের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ‘কারসাজির’ অভিযোগ

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি স্থগিতের পরে ঘুরে দাঁড়াল এশিয়ার শেয়ার বাজার

বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ঢাকা-মস্কো

ইসরাইলী বর্বরতার বিরেদ্ধে বরিশালে বিএনপি’র বিক্ষোভ

‘গাজা ও রাফা ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা’র প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূত সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৮

মানবাধিকার নিয়ে ইউসিবিডি আয়োজিত সেমিনারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ

ইসরাইলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য : মির্জা আব্বাস

বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও স্বাভাবিক বাংলাবান্ধা, নেপালে গেল ১৪৭ টন আলু

‘এনসিপি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায়’

সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তাব- বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র

চা বাগানে ছিল ১৫ ফুট লম্বা অজগর, লাউয়াছড়া উদ্যানে অবমুক্ত

ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারলো ভারত! বাংলাদেশ পাল্টা যে ব্যবস্থা নিচ্ছে

মেয়ে দেখতে এসে দেওয়া টাকা না নেওয়া প্রসঙ্গে।

মুসলিম শাসকরা কি ইহুদিদের দাসে পরিণত হয়েছেন?