বাংলাদেশ এখন একটি অনিরাপদ দেশ
০৮ মার্চ ২০২৩, ১১:০৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৩ পিএম
বাংলাদেশ এখন অনিরাপদ দেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, দেশে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সড়কে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি ঘরেও নিরাপত্তা নেই। সম্পদের নিরাপত্তা নেই, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই, মানুষের জীবনেরও নিরাপত্তা নেই। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যেখানে নিরাপত্তা খোঁজে, সেখানেই করুণ মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। গতকাল বুধবার রাজধানীর নর্থ সাউথ রোডে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ২০২২ সালের ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ৫০ জন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ৬০ জন। এ বছর গেল ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডে সিমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। ৫ মার্চ রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় একটি মার্কেটে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। এরপর বুধবার রাজধানীর সিদ্দিক বাজার নর্থ সাউথ রোডের ভবনে বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। এখন দুর্ঘটনা যেন স্বাভাবিক ঘটনা।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা জানতে পারলাম না কেন গেল বছর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। কারণ, সেখানে সরকার দলীয় লোকজন জড়িত। আমরা চাই সব বিস্ফোরণের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক এবং তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। কাদের ব্যর্থতায় এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের মানুষ তা জানতে চায়।
জিএম কাদের বলেন, চরম অব্যবস্থাপনার জন্য পুরো দেশ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিস্ফোরক সংরক্ষণ করতে হলে লাইসেন্স থাকতে হয়। লাইসেন্স পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে সব শর্ত পাশ কাটানো হচ্ছে। আমরা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কার ব্যর্থতায় এবং কেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে দেশবাসী তা জানতে চায়। ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর হবে না, এই নিশ্চয়তা সরকারের কাছে আমরা চাই। একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের জীবন যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের দায় সরকার এড়াতে পারে না। নিরাপদ বাংলাদেশ সৃষ্টিতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে সরকারের সাফল্য নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দীর্ঘ ১১ মাস পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু
শাহ্ সিমেন্ট-একেএস কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
ভাঙ্গায় ঘনকুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত
চোটের কারণে কোর্ট ছাড়লেন জোকোভিচ,ফাইনালে জভেরেভ
কালীগঞ্জে ট্র্যাক-ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে পা হারালো নলকূপ মিস্ত্রী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাব বিজ্ঞান সমিতির আনন্দ উৎসব
যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউএইচও ত্যাগের সিদ্ধান্তে আফ্রিকার জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
হালুয়াঘাটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা আটক করেছে বিজিবি
গোয়ালন্দে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী গৃহবধূ
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়ল আফগান শরণার্থীরা
বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের বৃহৎ স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন
সৈয়দপুরে শীতার্তদের মাঝে উপদেষ্টা সজিব ভুঁইয়ার পাঠানো শীতবস্ত্র বিতরণ
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
কিশোরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ অফিসে ভয়াবহ আগুন, নথিপত্র ভস্ম
বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের, মহড়া বৃদ্ধির নির্দেশ
জাপানি স্কুলবাসে হামলার দায়ে চীনা নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড
১১ মাস পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় উৎপাদন শুরু
বাংলাদেশে প্রত্যেকটা খুনের বিচার চাই, কুড়িগ্রামে ডা. শফিকুর রহমান
আজ ঢাকা মাতাবে পাকিস্তানি ব্যান্ড কাভিশ
জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে ফিরে আসবে ফ্যাসিস্টরা- কুড়িগ্রামে জামায়াত আমির