দিনভর গুঞ্জন বিদেশ যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া?
০৯ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫০ পিএম
শর্তসাপেক্ষে ‘কারামুক্ত’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কি বিদেশ যাচ্ছেন? তাকে কি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে? গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মুখে মুখে ছিল এই প্রশ্ন। ঢাকা-চট্টগ্রামের অন্তত ৩টি ভবনে পরপর সিরিজ বিস্ফোরণ, হতাহতদের উদ্ধার, চিকিৎসা প্রদান, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা ডাকাতিÑ ইত্যাদি তরতাজা ইস্যুর ভিড়েই জায়গা করে নেয় বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গটি। প্রসঙ্গটির উৎপত্তিস্থল হচ্ছে মন্ত্রণালয়। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিনিময় হওয়া একটি চিঠি এই ইস্যুর কারণ। প্রসঙ্গটি আরো যৌক্তিক করে তোলে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক। সকাল ১১টায় মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সাক্ষাৎ করেন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে। অন্য দেশগুলো হচ্ছেÑ নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্স। আইন মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে বেশ ক’টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইন ভার্সন, বেসরকারি টিভির বাংলাওয়েবসাইট এবং নিউজ পোর্টাল একটি সংবাদ পরিবেশন করে। তাতে বলা হয়, গত ৬ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তারা শর্তসাপেক্ষ কারামুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনের ওপর মতামত চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশ যাত্রায় আইনগত কোনো বাধা নেইÑ মর্মে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এর পরপরই ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতগণ বৈঠকে বসেন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে।
বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকগণ ইইউ’র সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু জানতে চান। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার পক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের আইনি মতামত পাঠানোর বিষয়ে জানতে চান। জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করা হয়েছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি সত্য নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বরং তার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর একটি আবেদন এসেছে। আমি জানতে পেরেছি যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার (বেগম খালেদা জিয়া) ভাই শর্তযুক্ত মুক্তির জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সেটি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। তবে আমার কাছে এখনও আসেনি। ফাইলটি দেখলে আমি জানাব।
আইনমন্ত্রী বলেন, তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে সত্য। আমার বিশ্বাস, আগে যে শর্ত ছিল সেটিই বহাল থাকবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন আসেনি। তার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি আগের শর্তেও ছিল না। ফলে যে সংবাদ এসেছে তা সত্যি নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আইনমন্ত্রী বিষয়টি নাকচ করে দিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মতামতপ্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করা হয়নি।
এদিকে আগামী ২৪ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত কারামুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ওই মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনও জানানো হয়েছে। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়লে সেটির আইনগত মতামত চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর আগে গত রোববার আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পরিবারের আবেদন পেলে সরকার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন অংশীদারদের বার বার প্রত্যাশার পরিধি ব্যক্ত ও ফর্দ প্রকাশ, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দুই প্রভাবশালী কর্মকর্তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও ভারত সফর, বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করার পক্ষে আইনগত কোনো াঁধা নেই মর্মে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠেয় গণতন্ত্রের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোÑ ইত্যাদির ঘটনা পরম্পরা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আপস-রফার সম্ভাব্যতার রসদ জোগায়। এর ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রায় সরকারের অনুমতি দেয়ার মতো নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ অমূলক নয়। এমন ভাবনা থেকেই গতকাল বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ যাচ্ছেনÑ মর্মে সংবাদ রটে যায়, যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুৎ গতিতে।
এ প্রেক্ষাপটে বেলা সোয়া ২টায় গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে একটি প্রেসনোট পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টিকে ‘গুজব’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আবেদনের বিষয়ে এখনও আইন মন্ত্রণালয় কোনো মতামত দেয়নি। এ নিয়ে গুজব বা বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির দু’টি মামলায় দ-িত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে ২টি শর্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত ২টি হচ্ছেÑ বেগম খালেদা জিয়াকে নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর অন্তত ৬ বার তার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বর্ধিত এ মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।
উপাত্ত সুরক্ষা আইন বিষয়ে মতামত নেয়া হবে বিদেশিদের :
এর আগে গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ডেটা বা উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অংশীজনদের আলোচনায় বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিরাও থাকতে পারবেন।
প্রস্তাবিত ওই আইন নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে আইনমন্ত্রী বরাবরের মতোই বলেন, ডেটা প্রটেকশন আইন উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে না। এটি করা হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষার জন্য। আলোচনার মধ্যে তারা (ইইউ প্রতিনিধিদল) বলেছেন যে, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় আন্তর্জাতিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা থাকতে পারবে কি না। আমি বলেছি, আন্তর্জাতিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা থাকতে পারবে।
‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ শীর্ষক আইন করার উদ্যোগ নেয়ার পর এটির খসড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সবার মতামত নেয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২৬ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করার খবর দিয়ে অল্প দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সভায় আইনটি তোলার কথা জানিয়েছিলেন।
একই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, কাউকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নয়Ñ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের তথ্য সুরক্ষায় উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তা করা হবে। গতকাল বৈঠকের পর একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি।
ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে সরকারের কাছে ইতোমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। পাশাপাশি উদ্বেগ রয়েছে ডিজিটাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মগুলোর (ওটিটি) জন্য প্রণীত প্রবিধানগুলো নিয়েও।
ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে, যদি ডেটা স্থানীয়করণের শর্তকে কঠোরভাবে আরোপের মাধ্যমে ডেটা সুরক্ষা আইন পাস করা হয়, তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ করছে এমন কিছু আমেরিকান কোম্পানি বাজার ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারে।
একইভাবে অনলাইন ফর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে যদি কোম্পানিগুলোকে ব্যবহারকারীদের তৈরি করা কনটেন্টের কারণে অপরাধের দায় নিয়ে ফৌজদারি আইনের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে এখানকার ব্যবসায় তারা বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে।
রাষ্ট্রদূতদের এমন আশঙ্কার মধ্যে ইউরোপীয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের মতামত নেয়ার কথা জানালেন আনিসুল হক।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। আরেকটি বৈঠক করা হবে। যেখানে থাকবেন বহুজাতিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
তবে কোন কোন কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে এবং সেই বৈঠক কবে হবে, তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী। বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন, অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন আইন এবং সুশীল সমাজের কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন আইন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদল সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং জানতে চেয়েছেন এটি কবে পাস হবে। আমি তাদের বলেছি, মাঝখানে জাতীয় সংসদের একটি সেশন হবে, কিন্তু সেখানে বিল পাস করার মতো সময় হবে না। আমার মনে হয়, এটি বাজেট সেশনের সময় পাস হবে।
ডিএসএ সংশোধনে জাতিসংঘের টেকনিক্যাল নোট
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়েও সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কাছ থেকে একটি টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। সেটি আমরা পর্যালোচনা করছি এবং পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমি তাদের জানিয়েছি, আগামী ১৪ মার্চ সুশীলসমাজের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে এই আইন নিয়ে বৈঠক করব। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এটি সাইবার অপরাধ বন্ধ করার জন্য করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ বন্ধ করার জন্য এটি থাকবে। আমরা টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। সবদিক পর্যালোচনা করে যদি দেখা যায় কিছু জায়গায় স্পষ্টতার জন্য কিছু করার দরকার হয়, তাহলে সংশোধন বা পরিবর্তন করতে আমরা রাজি আছি।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকে আপত্তি নেই সরকারের
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, যেসব বিষয নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। সেটি তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।
এখন নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কতজনকে আনবে এবং কতজনকে আনবে না। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও দ্বিমত করবে না।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থানের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা চাই। সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সেটা আমরা চাই। আমি বলতে পারি আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু সংবিধানের বাইরে আমরা যাব না। সংবিধানে যা বলা হয়েছে, সেভাবে নির্বাচন হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তুকে করবে এবং কে করবে না সেটি রাজনৈতিক দলের বিষয়। এ নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের আনার বিষয়টি নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। তারা ঠিক করবে যে, আসলে কতজন পর্যবেক্ষককে আনা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষ কিংবা আগামী বছরের শুরুতেই কথা রয়েছে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ২০ জনের মতো বিদেশি পর্যবেক্ষক এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাতে রাজি হয়নি। তারা বলেছিল যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে না এবং তারা এই নির্বাচন বা ফলাফল নিয়েও কোনো মন্তব্য করবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে না হলেও নির্বাচনের দিন ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা নির্বাচনের দিকে নজর রেখেছিলেন। সে সময় দেশীয় পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ তুলেছিলেন যে, সবকিছু মিলিয়ে তাদের মনে হচ্ছে যেন নির্বাচন কমিশন তাদের পর্যবেক্ষণে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা না করায় তারা নির্বাচন পর্যাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিদেশিদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ জন। ওই নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই অংশ নেয়নি। আর দেশীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন ৮ হাজারের বেশি। এমন বাস্তবতায় আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ওপর জোর দিচ্ছে ইইউ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছেঃমির্জা ফখরুল ইসলাম
মাগুরায় দলকে গতিশীল করতে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজারে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু, জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে ভুয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা
সেনবাগে ট্রাক্টর চাপায় ১ শিশু মৃত্যু : আহত ১
আ.লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের
ঢাকা ফাইট নাইট ৪.০-এ জয়ী মোহাম্মদ ‘রয়্যাল বেঙ্গল’ ফাহাদ
শহীদ আবু সাঈদকে কটূক্তি, ক্ষমা চাইলেন কিশোরগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া
মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন
টাঙ্গাইলে কাকুয়ায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষ থেকে সুবিধা বঞ্চিত গরীব অসহায়দের শীতবস্ত্র বিতরণ
নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর আদালতে আ:লীগের সাবেক এমপি আসাদের রিমান্ড মঞ্জুর
বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জবর দখল করে ছাদ ঢালাই
লাকসামে সরকারি খাল পাড়ের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়
কালিহাতীতে মারামারির সন্ধিগ্ধ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড দলে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
ঝিকরগাছায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কেবল সেবন নয় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারকারা, ডিসেম্বরের পরে দেখে নেবে কে?
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু