পর্দার আড়ালে বিদেশি চাপ!
১৪ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৮ পিএম
৪০ জন বিশ্বনেতার একটি খোলা চিঠি ৭ মার্চ ‘প্রটেক্ট ইউনূস ডট ওয়ার্ড প্রেস ডট কম’ প্রকাশ করে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা ওই খোলা চিঠি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পূর্ণ পাতার বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশিত হয়। খোলা চিঠিতে ড. মুহম্মদ ইউনূসের অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে এবং তার নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করা হয়। একই সাথে তাকে ‘তদন্ত ও হয়রানি’ থেকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ করা হয়। নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের পক্ষে খোলা চিঠি দেয়া ওই ৪০ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন এবং মরহুম মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির পুত্র টেড কেনেডি জুনিয়র রয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের এই খোলা চিঠি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারের পর তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও কয়েকজন মন্ত্রী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন। ভাবখানা ড. মুহম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব নন। তারা ওই চিঠিকে খোলা চিঠি বলতে রাজি নন; তাদের ভাষায় ওটা বিজ্ঞাপন। কেউ ড. ইউনূসকে ¤øান করতে বিবৃতি ভিক্ষা করে আনা, টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। নেটিজেনদের বেশির ভাগের মন্তব্য-বক্তব্যে পরিষ্কার তারা এটাকে ‘সরকারের ওপর বিদেশি চাপ’ মনে করছেন। তাদের ভাষায় ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর এটা বিদেশি চাপের দ্বিতীয় ধাপ।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর দেশে যেমন ক্রসফায়ার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐ কমে গেছে। এই চিঠির পর সরকার ইউনূসের বিষয়ে ‘ধীরগতি’ এবং সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে বদলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও পাতানো নির্বাচনের পথে যাওয়ার চিন্তা থেকে সরে আসবে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফর করে ওয়াশিংটন ফিরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের লোকজন যেমন উল্লসিত হয়ে উঠেছিল; এই খোলা চিঠি সেই উল্লাসে পানি ঢেলে দিয়েছে। মূলত সরকরের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠক করে ডোনাল্ড লু যেসব বিষয়ে জানতে চেয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীলরা সব বিষয়ে একমত হয়েছে এবং প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। ফলে তিনি বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজন মনে করেননি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের উল্লাস। তারপরও ডোনাল্ড লু বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর যেসব কথাবার্তা বলে গেছেন সেগুলোতে না শোনার ভান করে থেকেছে সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
বর্তমান সরকার বিদেশি চাপে রয়েছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সরকার যে নির্বাচন নিয়ে চাপে রয়েছে তা পরিষ্কার। মন্ত্রীদের সবাই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন; তারা কথা বলার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তামাশার নির্বাচনের সুযোগ এবার নেই। বোঝা যায় নির্বাচন নিয়ে তারা কত বিপদে আছেন। সরকারের দমন-পীড়ন দেখে এক সময় মনে হতো বিএনপিকে কোনো দিন রাজপথে মিটিং করতে দেয়া হবে না। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার পর দেশে গুম বন্ধের পাশাপাশি বিএনপিকে রাজপথে মিটিং-মিছিল করতে দিতে হচ্ছে। আইএমএফ ঋণের যে শর্তগুলো দিয়েছে সরকার সেগুলো মানতে বাধ্য হচ্ছে কেন? ওই একই কারণে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মুখে যাই বলুক বাস্তবে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এমন চাপে পড়েছেন ইচ্ছা করলেই আর পাতানো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে উন্নয়ন সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কোরিয়া, কানাডাসহ প্রভাবশালী দেশ ও জাতিংসঘ চায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় নানাভাবে চাপ অব্যাহত রেখেছে দেশগুলো। কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে বিদায় নেয়া জাপানি রাষ্ট্রদূতের বোমাফাটানো বক্তব্য ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হওয়ার মতো ঘটনা বিশ্বের কোথাও শুনিনি’ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের সম্মেলনে বাংলাদেশের নাম না থাকা এবং র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি ঘটনাগুলো আসন্ন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায়। এমনকি আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে তাদের বিনিয়োগ উঠিয়ে নেবে বলে ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে ঢাকায় কর্মরত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে অবস্থান, চীন তা সমর্থন করে।’ চীনের রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যে পরিষ্কার পর্দার আড়ালে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে বিদেশি চাপ রয়েছে। অবশ্য গত ১৩ মার্চ গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কি না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে টলাতে পারে। সবাইকে এটা মাথায় রাখতে হবে। কে কী চাপ দিলো না দিলো এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। অতীতেও এরকম বহু চাপ ছিল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় অনেক চাপ দেয়া হয়েছিল। ড. মুহম্মদ ইউনূসকে একটি ব্যাংকের এমডি রাখার জন্য চাপ দেয়া হয়েছিল। ওই সময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বিতর্কিত করতে আন্তর্জাতিক-দেশি এজেন্সিগুলো উন্মুখ হয়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর সম্পর্কে দেশবাসীকে জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলেও এর আগে কাতারের গণমাধ্যমকে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কিন্তু গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের ধরন এবং কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিকের প্রশ্নের ধরন ১৯০ ডিগ্রি বিপরীতমুখী। গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের ধরন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের বক্তব্য ‘প্রশ্ন শুনে মনে হয় ওরা (প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক) গণভবনের কোনো নি¤œস্তরের কর্মচারী’। কিন্তু আল জাজিরার সংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করে উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন। বিশ্বগণমাধ্যম ‘আপনাকে কর্তৃত্ববাদী শাসক’ বলে, ‘তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নিজেই তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন’ ইত্যাদি প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবার যে ‘নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন দেখতে চায় তা ঢাকায় কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে পরিষ্কার। শুধু তাই নয়, গত এক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ বিদেশি যারাই এসেছেন তারাই সব দলের অংশগ্রহণের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিভিন্ন সময়ে পরিষ্কার বক্তব্য এবং তার বিরুদ্ধে সরকারের মন্ত্রীদের নানান বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার হয়ে উঠে। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি বিøনকেনকে অনুরোধ করেছিলেন ‘যুক্তরাষ্ট্র যেন বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যবস্থা করেন’। এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দিল্লি থেকে ঘুরে এসে বলেছিলেন ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে যা যা করা প্রয়োজন আপনাদের তা করতে হবে’। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে ঢাকা থেকে বিদায় নেয়ার সময় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কথাই বলি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা তোমাদের আত্মীয় এবং তোমরা আমাদের আত্মীয়। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ আত্মা ও হৃদয়ে সম্পর্কযুক্ত এবং তা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু। আমরা সব সময় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বিশ্বাস করি। ব্যক্তির সঙ্গে নয়’।
নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি যখন তোলপাড় তখন ঢাকা সফর করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য চায় বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তিনি জননিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রধানমন্ত্রী তার কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা হবে এমন অঙ্গীকার করেছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্ত করা অঙ্গীকারকে আমি স্বাগত জানাই’। এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ড. মোমেন তাকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’ না করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন চাই। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ শেয়ানা বলেও মন্তব্য করেন। কিন্তু পরের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আগের দিনের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য চাইলে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র চর্চা শিখতে পারে’।
এই ডামাডোলের মধ্যেই গত ১২ মার্চ ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রæয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচন কমিশনকে হাইকমিশনার জানান, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিনিময় করেছি। সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।
এর মধ্যেই ১২ মার্চ ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির গুলশানের বাসায় ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কীভাবে অংশগ্রহণমূলক করা যায়, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়Ñ সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কী কী কারণে নির্বাচনে যাবে না তাও তাদের জানানো হয়েছে। পরে এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য অতীতের ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতারা বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালসহ ইসি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথাল চুয়ারড। তারা নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, দেশের গণতন্ত্র আরো কার্যকর ও শক্তিশালী, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সুশীলসমাজের কার্যকর ভ‚মিকা নিশ্চিতে সহায়ক অবস্থা তৈরি এবং সকল অংশীজনের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তাব দেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথাও জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজন ধারালো অস্ত্রাঘাতে হত্যা;আহত ৫
চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ,দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার
গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
সউদীতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরাফাতের জানাজা বিকালে
নিউইয়র্ক সাবওয়েতে নারীকে পুড়িয়ে হত্যা
ঘনকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০
আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!
ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ
তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী
গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড