নির্বিঘেœ মাদক কারবার চালাতেই কনস্টেবল বাদলকে হত্যা
১৬ জুন ২০২৩, ১১:১৮ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
রাজধানীর মতিঝিলে ২০১৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যাকা-ের মূলপরিকল্পনাকারী ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত প্রধান আসামি রিপন নাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব জানায়, আসামি রিপন বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পেছনে নিহত পুলিশ সদস্য বাদলের হাত রয়েছে বলে মনে করতেন। এ সন্দেহে এবং নির্বিঘেœ মাদকের কারবার চালিয়ে যাওয়ার জন্য রিপন তার সহযোগীদের নিয়ে কনস্টেবল বাদলকে হত্যা করেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি এলাকা থেকে পুলিশের সদস্য কনস্টেবল বাদল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৩২) দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার রিপনকে প্রধান অভিযুক্ত করে মোট পাঁচজনের নামে তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের নামে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রিপন নাথ ঘোষসহ মোট পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কনস্টেবল বাদল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রিপন নাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রিপনের অন্যতম সহযোগী তার খালাতো ভাই গোপাল চন্দ্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়। এর কিছুদিন পর একটি মাদকবিরোধী অভিযানে রিপন নাথ ও তার একজন সহযোগী মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়, যেখানে কনস্টেবল বাদল অভিযানিক দলের সদস্য ছিলেন। দুই মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসেন রিপন। পরে তারা জানতে পারেন, মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া কনস্টেবল বাদল মতিঝিল এলাকায় বসবাস করছেন। গ্রেপ্তারের পেছনে পুলিশ সদস্য বাদলের হাত রয়েছে বলে আসামিরা সন্দেহ করেন। এজন্য রিপন তার সহযোগীদের নিয়ে কনস্টেবল বাদলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিপন ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রেন্ট-এ-কার থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে হত্যাকা-ে অংশ নেওয়া অন্য সদস্যদের নিয়ে কনস্টেবল বাদলের কর্মস্থল শাহবাগ গোলচত্বর এলাকায় যান।
বিশ্বজিৎ ও কনস্টেবল বাদল একই এলাকায় বসবাস করায় ও পূর্ব পরিচিত হওয়ায় কনস্টেবল বাদলকে কৌশলে ডেকে আনার জন্য বিশ্বজিৎকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বজিৎ কনস্টেবল বাদলকে ডেকে এনে কৌশলে প্রাইভেটকারে উঠায়। তারা কনস্টেবল বাদলকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকেন এবং তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান।
এক পর্যায়ে তারা মতিঝিল কালভার্ট সংলগ্ন নির্জন এলাকায় এসে রিপন নাথ ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কনস্টেবল বাদলকে হত্যা করেন। পরে গুম করার উদ্দেশে মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে কনস্টেবল বাদলের লাশ ফেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।
######
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান
বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা
ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন
ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫
চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ, দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার
গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
সউদীতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরাফাতের জানাজা বিকালে
নিউইয়র্ক সাবওয়েতে নারীকে পুড়িয়ে হত্যা
ঘনকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০
আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!