অশান্ত ভারতের মণিপুর প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন
১৬ জুন ২০২৩, ১১:৩২ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
ভারতের অশান্ত মণিপুর রাজ্যে ফের সংঘর্ষের আগুন জ্বলছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী ইম্ফলে কারফিউ ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে। বুধবারই কাংপোকপি জেলার খামেলক গ্রামে ভয়াবহ সহিংসতার বলি হন ১১ জন। আহত ১৫ জনের বেশি। এবার সহিংসতার কবলে রাজ্যের রাজধানীও।
এদিকে, ভারতের প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রাজন সিংয়ের বাড়িতে আগুন দিয়েছে জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে কারফিউয়ের মধ্যেই হাজারেরও বেশি মানুষ তার ওপর চড়াও হয়। এ সময় বাড়ির চারদিক থেকে পেট্রলবোমা ছুঁড়ে মারে উত্তেজিত জনতা। এ নিয়ে রাজন সিংয়ের বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালায় মণিপুরবাসী।
মন্ত্রীর বাড়িতে প্রথম হামলা হয় গত মাসে। সে সময় বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এবার হামলাকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধা দিতে পারেননি তারা। জাতিগত দাঙ্গা কবলিত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দাঙ্গার ঘটনায় সেখানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী রাজন সিং এ দাঙ্গা থামাতে দুইপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছিলেন বলে জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার রাতে হামলার সময় রাজন সিং নগরীর কোংবা এলাকার ওই বাড়িতে ছিলেন না। তবে সেখানে মন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের নয় সদস্য, পাঁচ নিরাপত্তা রক্ষী ও অতিরিক্ত আরও আটজন রক্ষী ছিলেন বলে জানান রাজ্য কর্মকর্তারা।
মন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের কমান্ডার দিনেশ্বর সিং জানান, উত্তেজিত জনতা চারদিক থেকে বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। প্রায় ১২০০ মানুষ বাড়িটিতে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সংখ্যা এতো বেশি হওয়ায় তারা তাদের বাধা দিতে পারেননি।
মণিপুরের ৩৬ লাখ জনগোষ্ঠীর ৫৩ শতাংশই মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর সদস্য, যারা মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বী বা হিন্দু সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত। এদের অধিকাংশেরই বসবাস ইম্ফল উপত্যকায়। বাকি ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে কুকি ও নাগারা প্রধান। তারা পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
১৯৮৯ সালে মণিপুরের শাসক ভারতের যুক্তরাজ্য ব্যবস্থায় যোগ দেওয়ার পর থেকে এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু গত মাসে শুরু হওয়া জাতিগত দাঙ্গা ও সহিংস পরিস্থিতি গত কয়েক বছরের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন আইনি অধিকার নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সঙ্গে নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের সহিংসতা ও দাঙ্গা চলছে। উল্লেখ্য, কুকি-মেতেই সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে ওঠেছে মণিপুর। সেখানকার ‘মেতেই’ সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতির তফসিলি জাতির স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আন্দোলন ওই ছোট্ট রাজ্যে নাগা-কুকি জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে পালটা প্রত্যাঘাতের জন্ম দিয়েছে। আর তা ঘিরেই রক্তাক্ত লড়াই, কারফিউ, পুলিশের গুলি- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যার সাক্ষী গোটা ভারত। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে। এছাড়াও মিয়ানমার থেকে কুকি উগ্রবাদীরা এসে আগুনে ঘি ঢালছে। বুধবারই খামেলক গ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে বহু লোকের। আহত হয়েছে অনেক লোক। এবার ইম্ফলেও ছড়িয়ে পড়ল সহিংসতা। এবিপি
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী