ঈদে ব্যস্ত কামারপাড়া
২৩ জুন ২০২৩, ১০:২১ পিএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
আর মাত্র কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। এ উপলক্ষে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বেড়েছে কামারদের কর্মব্যস্ততা। উপজেলার এই কামারশালার দোকানগুলোতে সারা দিন টুং-টাং শব্দ বিরাজ করছে। গরু-ছাগল কাটার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মেরামত কিংবা নতুন করে তৈরী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ গোটা গ্রামবাংলার আনাচে-কানাচের কামারপাড়া। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কামার পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা রাতদিন তৈরী করছে হরেক-রকমের দা, ছুরিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। গফরগাঁও পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে শত শত কামার পরিবার এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
সরেজমিনে বাজারের কামারের দোকানগুলোতে দেখা গেছে কেউ গলে যাওয়া লোহা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাতিয়ার তৈরির উপযোগী করছেন। কেউবা পশু জবাই করার ছুরি ধার করছেন। একটি হাতিয়ার তৈরি করতে লোহা অনুযায়ী দাম নেওয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দের মতো তৈরি করেন বিভিন্ন মাপের পশু কোরবানির চাপাতি, দা, বটি, ছুরি, কুড়াল আর ছোট চাকুর মতো লোহার সব ধারালো অস্ত্র। এগুলো সবই ব্যবহার হবে কোরবানীর পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস ছাড়ানো আর হাড় কাটার কাজে। কেউ কেউ আবার গতবারের পুরাতন ছুরি ধার করিয়ে নিচ্ছেন নতুনভাবে কোরবানি করার জন্য। অনেকেই আবার এগুলো মেরামত করার জন্য কামারের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
গফরগাঁও পৌর শহরের নতুন বাজারের কামার টুটুল চন্দ্র বিশ^াস জানান, অন্যান্য বারের তুলনা এ বার নতুন দা-বটি তৈরীর অর্ডার বেড়েছে। আর পুরাতন গুলো মেরামত হচ্ছে পরিমানে বেশি। আমরা কোন ব্যাংক হতে ঋণ পাই না। ঋণ পাওয়া গেলে আমাদের জন্য ভাল হতো। বিশেষ করে কোরবানীর ঈদ এলে এসব দা-বটিসহ অন্যান্য উপকরণের কদর বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমে কয়লার অভাবে কাজ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এখন কয়লা পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়লা পাওয়া গেলেও দাম চড়া। কালের বিবর্তনে কয়লা হারিয়ে যাচ্ছে। এখন গ্রামে এলপি গ্যাস ও বন্ধু চুলা দিয়ে রান্না করা হচ্ছে। কামারপট্টিতে আসা যাওয়া করলে শব্দ থাকায় যায় না। দিন-রাত পোড়া কয়লার গন্ধ, হাঁপড়ের হাঁস-ফাঁস আর হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরী হচ্ছে গ্রাম বাংলার চকচকে ধারালো দা-চাপাতি, ছুরি, বটিসহ গোস্ত কাটার উপকরণ।
দোকানীরা জানান, কয়লা, লোহাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে নতুন দা-বটিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দামও বেড়ে গেছে। বছরের মধ্যে ১১ মাসই কামার পরিবারদের বসে থাকতে হয়। শুধু কোরবানীর ঈদ এলেই তাদের ব্যস্ততা পুরোদমে বেড়ে যায়। এসময়ে কিছুটা আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেক কামার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দা-বটি-ছড়ি মেরামত করে থাকে। দোকানে আসা ক্রেতা মো. এমদাদুল হক জানান, গরু জবাই করার জন্য বড় একটি ছুরি তৈরীর করার অর্ডার দিয়েছি। তার দাম হলো একহাজার পাঁচশত টাকা। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কোরবানী দেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক