ভয়ঙ্কর রূপে ডেঙ্গু
০৯ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। বাড়ছে বললে ভুল হবে, সবার কাছে এন আতংকের নামে পরিণত হয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তিও মৃত্যু দুটোতেই রেকর্ড ছুয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৬ জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে, আর মারা গেছেন ৬ জন। এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কার মধ্যে এই বছরে দিনে এত রোগী আর মৃত্যু আগে দেখা যায়নি। এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে গত শনিবার ৮২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এর আগে গত ৪ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে জুলাইয়ের প্রথম ৯ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়াল। মৃত্যু ২৬ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য দিলেও বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। পাড়া মহল্লার ক্লিনিক ও হাসপাতালে পরীক্ষা করে ঘরেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। যা হিসাবেই অসছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য ও পরিসংখ্যান অনুযায়ীÑ দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। তাই ডেঙ্গু নিয়ে সামনে আরেকটা বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। আশঙ্কার কথা হলো, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত প্রতিবেদেনে ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকির এলাকার পরিধি বেড়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল রাজধানীর ৩০ শতাংশ, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। রাজধানীর প্রায় সব বাসিন্দাই ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকিতে। আর জরিপের আওতাভুক্ত ৯৮ ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। কীটতত্ত্ববিদরাও বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। দেশে নগরায়ণের পরিসর বেড়েছে। উপজেলা এবং কোনো কোনো ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্তও এর প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে গত তিন বছরে উন্নয়ন ও সৌন্দর্যের নামে ব্যাপক গাছ কাটার পাশাপাশি অনেক খোলা জায়গা কংক্রিটে ঢেকেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ঢাকায় এডিস মশার যে প্রজাতিটি ডেঙ্গু ছড়াতে ভূমিকা রাখছে সেটি মূলত কম গাছপালা ও কংক্রিটে আচ্ছাদিত জায়গায় বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল বলেছেন, আগামী দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী আরও বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ইউনিট রয়েছে, প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তার আছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতাকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি মানুষ এ বছর ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যে ৮৩৬ জন ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫১৬ জন ঢাকায় এবং ৩২০ জন ঢাকার বাইরের। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার ৯৫৪ জনে। গত এক দিনে মারা যাওয়া ৬ জনকে নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৭৫০ জন রোগী। এদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৯৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮২ জন। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার বর্ষা শুরুর আগে থেকেই এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। সম্প্রতি বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের তথ্য দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকার ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিতে ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার ঝুকিপূর্ণ উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঝুকি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এদিকে ঢাকায় এডিস মশার উপস্থিতি কতটা তা গত শনিবার ডিএনসিসির এক অভিযানে কিছুটা দেখা গেছে। এদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুর এলাকার ছয়টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এতে পাঁচটি বাড়ির নিচতলায় জমে থাকা পানিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় অভিযান শুরুর পথ থেকেই বিভিন্ন ভবন ও বাসায় একের পর এক ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এ মশার লার্ভা মিলছে। পাশাপাশি প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর হিসাবও আগের দিনের সংখ্যা ছাড়াচ্ছে। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে থেকেই ঢাকার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলেছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বাধিক। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে যেভাবে আতংক ছড়াচ্ছে তাতে এ বছর ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব কোথায় ঠেকে এ নিয়ে উদ্বেগে সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর মূলত এডিস এজিপ্টি মশার কামড়ে হয়। তবে সব মশার কামড়ে এ জ্বর হয় না। এই মশা তখনই ক্ষতিকর হবে যখন এই মশা ডেঙ্গু জ্বরে সংক্রমিত কোনো ব্যক্তিকে কামড় দেবে। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস তখন এই মশা বহন করবে এবং এই মশা যখন কোনো সুস্থ মানুষকে কামড় দেবে তখন ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। তাদের মতে, ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে ভর্তির পেছনে অন্যতম কারণ হলো আবহাওয়ার তারতম্য, সেই সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, মশার বংশবিস্তার রোধের সঠিক ব্যবস্থা না নেয়া এবং সর্বোপরি সচেতনতার অভাব। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার বেশি ঘটে। মানুষ থেকে মানুষে বা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ডেঙ্গু ছড়ায় না। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের মশা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। শরীরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছাড়াও আরও কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, অত্যধিক অ্যাবডোমিনাল ব্যথা হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে যায়। বমি বমি ভাব হয়। শরীরে অনেক সময় পানি জমে। প্লাটিলেট সংখ্যা কমতে থাকে।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী সামাল দেয়া মুগদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেছেন, হাসপাতালে আসতে আসতে অনেক রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য লক্ষণ থাকলেই রোগীকে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র প্রফেসর ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, অনেকে জানেন না কখন রোগ পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষা না করে তারা বসে থাকেন। অনেকে জ্বর হলে পাত্তা দেন না বা আমলে নেন না। অনেকে হাতুড়ে চিকিৎসক বা পাড়ার ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খান। এসব কারণে রোগ ভালো হয় না, তারা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আসেন। এটাই বেশি মৃত্যুর কারণ।
সূত্র মতে, ঢাকায় সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী সামাল দেয়া মুগদা হাসপাতালে সপ্তাহের ব্যবধানে রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ। গত ১ জুলাই সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ৬০ জন, সেদিন চিকিৎসাধীন মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩২ জন। এক সপ্তাহ বাদে শনিবার সেখানে ভর্তি হয়েছে ১১১ জন আর চিকিৎসাধীন মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৩৬। গতকালের তথ্য অনুযায়ী, রোববার এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ১২৭ জন। গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উদ্বিগ্ন এক মায়ের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখন হাসপাতালের মেঝেতে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছিলেন লামিয়া নামের উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া এক রোগী। ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হওয়া মানিকনগরের এই রোগীকে দেয়া হচ্ছিল স্যালাইন। পাশ থেকে হাতপাখা দিয়ে মা বাতাস করছিলেন আর ভালো আসনের জন্য বিলাপ করছিলেন।
হাসপাতালের আট তলার শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা আরও বেশি শোচনীয় দেখা গেল। সেখানে আড়াই বছরের শিশু ওয়াফিয়াকে নিয়ে আছেন মাহমুদা। তিনি জানান, তাদের বাসা খিলগাঁওয়ে। গত পরশু বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করান তার মেয়েকে। ছেড়ে ছেড়ে জ্বর ছিল, সঙ্গে বমি। আসার পর থেকে স্যালাইন চলছে। মেয়ের সুস্থতা নিয়ে শঙ্কা আর উদ্বেগের মধ্যে তার অভিযোগ, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। আমাদের টাকা নাই, থাকলে মেয়েকে প্রাইভেটে ভর্তি করাইতাম। কারণ এই পরিবেশে থাকা মানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়া।
শুধু ওয়ার্ডের মেঝেই নয়, হাসপাতালটির বারান্দা, বাথরুম সংলগ্ন জায়গাও এখন রোগীতে ঠাসা। রোগী আর স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা পাওয়া ভার। মেঝের আনাচে-কানাচেও ম্যাট্রেস বিছানো, একেকটা ম্যাট্রেসে দুই জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু। রোগীদের অসন্তোষ আর অভিযোগের কথা মেনেও হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানিয়েছেন, তারা একসঙ্গে ৮০০ ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামাল দিতে পারবেন। তবে দরকার আরও জনবলের। বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন আমার রোগী দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কিন্তু আমায় সেই অনুযায়ী বরাদ্দ তো দেয়া হয় নাই। যেখানে ১৪৫ জন রোগী, সেখানে অন্তত ১০ জন নার্স দেয়া দরকার। কিন্তুদিতে পারছি পাঁচজন। তাহলে একেকজন নার্সের ভাগ্যে পড়ছে ৩০ জন করে রোগী। যে নার্স ৩০ জন রোগী দেখছেন, উনি তো ৬০ মিনিটের আগে কারও কাছেই যেতে পারবেন না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রকাশিত গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, যেসব এলাকার ভূমি অতিরিক্ত কংক্রিটে আচ্ছাদিত, গাছপালা ও স্বচ্ছ পানির খাল-জলাশয় কম সেখানকার তাপমাত্রা বেশি। আর ওইসব এলাকার বাসিন্দারাই বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে জ্বরের কথা বলেছেন। যা ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে। জ্বর হলে অবহেলা করা উচিত নয়। জ্বরে আক্রান্ত হওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা ও চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছে, তারা জ্বরকে অবহেলা করেছে। একই সঙ্গে জ্বর হলে বিশ্রামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কাকরাইলে সাদপন্থিদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইয়েমেনে হামলার সময় বিমানবন্দরে ছিলেন ডব্লিউএইচওর প্রধান
ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেন ও গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি
হেলিকপ্টারে সফর নিয়ে বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ মাহমুদ
কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হলো সিসিটিভি ভিডিও
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা
টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডময় ৩৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্মিথ
জাহাজে ৭ খুন : লাগাতার কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা
লেস্টার সিটিকে হারিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে লিভারপুল
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং: ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ