বাউলা বাতাসে সংলাপ
০৯ জুলাই ২০২৩, ১১:৫৪ পিএম | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
‘বাউলা বাতাস আউলা চুলে লাগলো দোলা/ গান ধরেছে পথের ধারে আত্মভোলা/ সে গানে সুর থাকেনা লয় থাকেনা/ এমন সে গান/ তবু সে মন কেড়ে নেয়, প্রাণ কেড়ে নেয়/ এমন সে টান’ (ব্যা- : জলের গান)। ‘অতল জলের গান’ নামক ব্যান্ডের এই গানের মতোই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেকার ‘সংলাপ’ শব্দটি বাউলা বাতাসে উড়ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা-মন্ত্রীরা কখনো বলছেন, ‘সংলাপ হবে’; আবার কখনো বলছেন ‘সংলাপের কোনো আবশ্যকতা নেই’, কখনো বলছেন ‘জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় সংলাপ হবে’; কখনো বলছেন, ‘সংলাপের নামে কিসের দাওয়াত দেব?’ আবার ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বলছে ‘আগে সরকার পদত্যাগ করুন তারপর সংলাপ’। অথচ বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সংকট দূরিকরণ, গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখা, রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখার প্রয়োজনে সব দলের অংশ গ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য। আর নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রয়োজনে সবার আগে প্রয়োজন নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ। দেশ-বিদেশের সকলের প্রত্যাশা কার্যকর সংলাপের মধ্যদিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সুরাহা হোক। দেশের সুশীল সমাজের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী দেশ, দাতাদেশ, সংস্থাগুলো সংলাপের তাগিদ দিচ্ছে। দেশ-বিদেশের সকলেই মনে করছেন আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে সরকারি দল ও বিরোধী পক্ষ যে ভাবে মুখোমুখি তাতে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে সংঘাত-রক্তপাত অনিবার্য। অথচ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের ‘সিরিয়াস’ বিষয় নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ করায় সংলাপ শব্দটি বাতাসে এলোমেলোভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞা বলছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্র এখন খাদের কিনারে চলে গেছে। স্থানীয় নির্বাচনগুলো বেশির ভঅগ দল বর্জন করায় জনগণের ভোটের অধিকার নর্দমায় লুটোপুটি খাচ্ছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় না। এ থেকে উত্তোরণের জন্য সংলাপের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য অপরিহার্য। আর সে জন্য প্রয়োজন মুখোমুখি অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো, যুদ্ধক্ষেত্রেও সংলাপ হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলার সময় দুই পক্ষ তুরস্কে একাধিকবার সংলাপে মিলিত হয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধ হয়নি সেটা অন্য প্রসঙ্গে। দেশি বিদেশী শক্তিগুলো যে জন্যই দেশের দুই বড় দলের সংলাপে বসার পরামর্শ দেন। নির্বাচন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
১১ জুলাই ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। এই প্রেক্ষাপটেই গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বললেন, ‘কোনও সংলাপ হবে না। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কোনও আবশ্যকতা নেই। নির্বাচনই সমাধান। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সেটাই সমাধান। আমার মনে হয় না অবাস্তব কোনো দাবি নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজন আছে।’ দেশি-বিদেশী চাপের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যত ২০১৪ সাল মার্কা নির্বাচনের ব্যপারে অটল। বিপুল পরিমান বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত দেশের অর্থনীতি কার্যত বিপর্যয়ের মুখে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি করেও অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেয়া যাচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকিং সেক্টরের বিপর্যয়কর অবস্থা। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা সামনে বিদেশী ঋণের কিস্তী পরিশোধ করতে না পারলে শ্রীলংকার পরিণতি হতে পারে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং ডলার সংকট দূর করতে আইএমএফের ঋণ নিয়েও আর্থিক খাতে স্থিতি আসছে না। আইএমএফ পাকিস্তানে ঋণ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে ঋণ দেয়ার সময় প্রায় দুই ডজন শর্ত দিয়েছে। ফলে প্রথম কিস্তি পেলেও অন্যান্য কিস্তি পেতে হলে বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের শর্ত দিতে পারে। এরই মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে, দেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। শিল্পপতিরা আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক সংকটের সুরাহা তথা আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষের পথে না হাটলে রাজনৈতিক সংঘাত বেড়ে যাবে। তখন শিল্প কারখানার বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে দেশের গ্রার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথে হাঁটছে। দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। অথচ গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেটের সমাবেশে জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর এখন একটাই দাবি। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ দাবিতে আগামী ১২ জুলাই ঢাকা সমাবেশ থেকে নতুন ঘোষণা দেয়া হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এই ঘোষণার পর সবাইকে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
দেশি-বিদেশেী সবার প্রত্যাশা সংলাপের মাধ্যমে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সুরাহা করা হোক। এরমধ্যে ৭ জুন ১৪ দলের একটি সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে দেখতে চাই, কোথায় সমস্যা, সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা কোথায় এবং কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে, অন্য কোন পথে নয়।’ আমুর এ বক্তব্যের পর সবার মধ্যে চ্যাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নেটিজেনরা সংলাপের পক্ষ্যে বক্তব্য-মন্তব্য দেন। সকলকে অবাক করে দিয়ে পরের দিন আমির হোসেন আমু নিজের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে বলেন, বিএনপির কিসের সংলাপ! আমরা কাউকে দাওয়াত দেব না।’ এর মধ্যে ঢাকা সফর যুক্তরাজ্যের একজন মন্ত্রী। ৫ জুলাই তার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সংবিধানের অধীনে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সরকার সংলাপে রাজি আছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা নয়’।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় রয়েছে। তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রায় ১০ দিন ঢাকায় অবস্থান করে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, আইন শৃংখলা বাহিনী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী এবং নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। অতপর সব দলের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনের পরিবেশ’ রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে রিপোর্ট করবেন। এর মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ইংগিত দেয়া হয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে তারা পর্যবেক্ষক দল পাঠাবেন না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে জিএমপি প্লাস সুবিধা আর পাতানো নির্বাচনে হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলসহ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এর আগে গত ৫ জুলাই ঢাকায় কর্মরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে প্রভাবশালী ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার বৈঠক করেন। তারা বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে একাট্ট। তার আগের দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেন। সবগুলো বৈঠকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে কথাবার্তা হয়।
এদিকে আগামী ১১ জুলাই চার দিনের সফরেন ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু। তারা মানবাধিকার, আইনের শাসন, নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলবেন। এর আগে ৫ জুলাই ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সংসদের মেয়াদ শেষের আগের অধিবেশনে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা যে নামেই হোক নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে (অন্তর্বতীকালীন সরকার ব্যবস্থা) অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকের এক পর্যায়ে পিটার ডি হাস স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, সব দলের অংশ গ্রহণে আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশ থেকে কোনো গার্মেন্টস পণ্য আমদানি করবে না এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে আগাম এমন ইংগিত দেন। তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সংবিধানের বাইরে যাবে না। বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরুপেক্ষ করতে যা যা প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন তাই করবে। তারও আগে গত ২৪ মে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ‘ভিসা নীতি’ ঘোষণা করেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তিকে ভিসা প্রদানে যখন-তখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। ব্লিঙ্কেন আইন শৃংখলা বাহিনী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কোন শ্রেণির কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন বিঘিœত করতে পারেন সে ব্যাপারে ইংগিত দিয়েছেন। এ নিয়ে ৮ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কিছু সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ, তাদের ছেলেমেয়েরা আমেরিকায় পড়তে যায় এবং তারা সেখানে বাড়ি কেনেন। মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনও মাথা ব্যথা নেই। আওয়ামী লীগের কর্মী, নির্বাচনের পোলিং এজেন্ট তাদেরও কোনও উদ্বেগ নেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য এবং তারা কখনও আবেদনও করে না। তবে যারা এসব নিয়ে চিন্তিত তারা হলেন কিছু সরকারি কর্মচারী, কিছু ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের কিছু নেতা ও এনজিও নেতা। তারা সেখানে (আমেরিকা) যান এবং টাকা নিয়ে আসেন। তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়ে এবং সেখানে বাড়ি করেছে। ওরা একটু দুশ্চিন্তায় আছে। আওয়ামী লীগের কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
গতকাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছোট্ট একটি খবর প্রচারিত হয়েছে। ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ছোট্ট দেশ নেদারল্যান্ড। ২০১০ সাল থেকে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সে জন্যই তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার জন্য রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই ছোট্ট দেশের নেতাদের নৈতিক মানদ- কত প্রখর! ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নরওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত, গুরুতর আহত ৪
ঐক্য-সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ
ইহুদিদের ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
কাকরাইলে সাদপন্থিদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইয়েমেনে ইসরাইলি হামলা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেন ও গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি
হেলিকপ্টারে সফর নিয়ে বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ মাহমুদ
কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হলো সিসিটিভি ভিডিও
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা
টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডময় ৩৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্মিথ
জাহাজে ৭ খুন : লাগাতার কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা
লেস্টার সিটিকে হারিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে লিভারপুল
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং: ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের