অস্তিত্ব সঙ্কটে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ নানান পাখ-পাখালি
১৫ জুলাই ২০২৩, ১১:২৮ পিএম | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
এক সময় গারো পাহাড় অঞ্চলের মাঠে-ঘাটে, বন-জঙ্গলে, গাছে গাছে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ বিভিন্ন ধরনের পাখ-পাখালি দেখা যেত। কালের বিবর্তন ও নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে এখন আর চিরচেনা সেই পাখ-পাখালির দেখা মেলে না। পাখির কলরবে মুখর গারো পাহাড় ও আশপাশের গ্রামাঞ্চল এখন প্রায় পাখিশূন্য। কালক্রমে বনে-জঙ্গলের চিরচেনা সেই পাখ-পাখালির অপরূপ দৃশ্যপট দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণ, নির্বিচারে গারো পাহাড়ের বৃক্ষনিধন, আবাদি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, পাখির বিচরণ ক্ষেত্র ধ্বংস, পাখির খাদ্য সঙ্কট ও জলবায়ুর পরিবর্তণের প্রভাবে বিলুপ্তির পথে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখ-পাখালি। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রবীণ ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ শরীফ উদ্দিন সরকার ও আলহাজ সেরোয়ার্দী দুদু দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ক’বছর আগেও মানুষের ঘুম ভাঙতো পাখ-পাখির কিচিরমিচির শব্দে। পাখির কলকাকলি বলে দিত এখন সকাল হয়েছে। ফজর নামাজ শেষে শুরু হতো দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা। কিন্তু এখন সেই পাখির ডাক হারিয়ে গেছে। ওই গাছ-গাছালিতে পাখির কিচিরমিচির ডাক আর নেই। দেশের ঐতিহ্য ও শিল্পচর্চার সাথে পাক-পাখালির যে যোগ, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
বিভিন্ন গ্রামের প্রবীণদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাখির কিচিরমিচির শব্দে শিহরণ জাগানো সেই সুর এখন আর শোনা যায় না। সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় বাঁশের ঝাড়, আম, জাম, কাঁঠাল গাছে ও বাড়ির ছাদে যেসব পাখি সব সময় দেখা যেত, ওইসব পাখ-পাখালি এখন আর চোখে পড়ে না। তবে কম সংখ্যক ঘুঘু, কাক, সাড়স, চড়াই ইত্যাদি পাখি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও জাতীয় পাখি দোয়েল এখন আর চোখেই পড়ে না। পাখি প্রিয় কিছু সৌখিন মানুষের বাড়ির খাঁচায় বন্দি করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পালন করতে দেখা যায়।
পরিবেশবান্ধব পাখিপ্রেমীগণ বলেন, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে। নতুন প্রজন্ম পাখি দেখতে পায় না। তাছাড়া শিকারিদের দৌরাত্মে পাখিশূন্য হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। তাই বাধ্য হয়ে পাখি প্রেমীরা বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পালন করেছেন। যাতে নতুন প্রজন্ম পাখি সম্পর্কে জানতে পারে। পাখির আবাসস্থল গাছ কাটার প্রভাব, ফসলি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ, বনাঞ্চল উজাড়, পাখি শিকার, ইত্যাদি কারণে অনেক পাখি এখন বিলুপ্তির পথে বলে মনে করছেন সমাজের সুস্থ বিবেক সম্পন্ন চিন্তাশিল মানুষ।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিভিন্ন মৌসুমে পাখি শিকার এবং পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে অনেক পাখিই চলে যাচ্ছে অন্যত্র। পাখি শিকার বন্ধে ও পরিবেশ রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভাঙারি দোকানে আদালতের নথির বস্তা
অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সংঘর্ষ, ৫০ ছাগল পুড়ে অঙ্গার
‘ভ্যাট বাড়ানোর’ পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি
সুদহার বাড়ছে সঞ্চয়পত্রে
সুরমা নদীর তীরে জমে উঠেছে শীতকালীন সবজির হাট : প্রতিদিন প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বেচাকেনা
মন্দিরে প্রবেশে ফ্রি টোকেন পেতে হুড়োহুড়ি, পদদলিতে নিহত ৬
লক্ষ্মীপুরে বহুতল ভবনের ফাইলিংয়ে বিধ্বস্ত সড়ক-দোকানপাট, ঝুঁকিতে ভবন
রাফির ব্যাংক লেনদেন নিয়ে যা বললেন সারজিস
পটুয়াখালী জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের সাবেক সভাপতির ইন্তেকাল
আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি হিসেবে যোগ দিলেন নুরে আলম সিদ্দিক
বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আগুন দেওয়া হয়েছে
জকিগঞ্জে ক্রসফায়ারের চার বছর পর ওসির বিরুদ্ধে মামলা
আজকের মধ্যে ন্যায় বিচারের ইঙ্গিত না পেলে শাহবাগ ব্লকেডে যাবেন বিডিআর পরিবারের সদস্যরা
চুয়াডাঙ্গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস;স্বাভাবিক জনজীবন আড়ষ্ট
কুষ্টিয়ায় ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা ১২ লাখ টাকা
পদ্মা নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে কারাদণ্ড
মা-ছেলের মিলনে আবেগাপ্লুত ভক্ত-সমর্থক; অরুণা বিশ্বাসের তেলবাজি, কটাক্ষের শিকার
শেরপুরে শপিংমলে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ' ও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান: আটক-২
বিমানবন্দরে নরওয়ের নাগরিকদের হেনস্থা, একজনকে বেধরক মারধর
বিডিআর বিদ্রোহের বিচার: বকশীবাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী