মার্কোস রাজবংশের চতুর রূপান্তর করছেন ‘বংবং’

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

২৪ জুলাই ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০৮ এএম

ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস গতকাল ফিলিপাইনের কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বক্তৃতা দিয়েছেন, সেখানে তিনি ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরের সাফল্য নিয়ে রিপোর্ট করেছেন। সেখানে তিনি তার নেতৃত্বের সাফল্য নিয়ে গর্ব করেছেন। মার্কোস তার প্রয়াত পিতার শাসনামলের সহিংসতা এবং বর্বরতা ভুলে যেয়ে দীর্ঘমেয়াদে জনসাধারণের কাছে তার পরিবারের ভাবমূর্তিকে যথেষ্ট উন্নত করতে পারেন। তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের নেতা এবং পুণরায় প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্যও কাজ করতে পারেন।

ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের বাবা ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইন্স শাসন করেছেন। এরমধ্যে ১৯৭২ থেকে ১৯৮১ সাল ছিল সামরিক শাসন। অধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে এই সময়ে ৬০ হাজার মানুষ বন্দি হয়েছেন। ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নির্যাতনের শিকার হন এবং তিন হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হয়। ১৯৮৬ সালে শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। নির্বাসিত অবস্থায় ১৯৮৯ সালে মারা যান ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র।

৬৪ বছর বয়সি ‘বংবং’ মার্কোস তার নীতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু তুলে ধরেননি। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি পূর্বসূরী রদরিগো দুতার্তের মতো ক্ষমতার নিষ্ঠুর ব্যবহার অব্যাহত রাখবেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এরইমধ্যে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসাও করেছেন মার্কোস। তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও রয়েছেন দুর্তার্তের কন্যা সারা। অনেকের বিশ্বাস বাবার বিতর্কিত রাজনৈতিক ইতিহাসই পুনর্লিখন করতে যাচ্ছেন মার্কোস। সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস