বন্যায় চারদিকে ধ্বংসলীলা
১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৪ পিএম | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
পানি কমতেই ভেসে উঠছে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট
ভাঙাচোরা বসতঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বানভাসিদের বোবাকান্না
খাদ্য বিশুদ্ধ পানি ওষুধপথ্যের সঙ্কট
ত্রাণ সাহায্য অপ্রতুল কতিপয় নেতার ফটোবিলাস
নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে ব্যাকুল বন্যার্তরা চান জরুরি গৃহনির্মাণ সামগ্রী
‘প্রধানমন্ত্রী উজাড় করেই ত্রাণ সহায়তা দিতে বলেছেন’ Ñত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
বান্দরবানে পানি কমছে, কমেনি দুর্ভোগ
ফেনিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও ফসলি জমির ক্ষতও দৃশ্যমান হচ্ছে
চন্দনাইশে খাওয়ার ও ব্যবহার পানির তীব্র সঙ্কট
দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজারে বন্যার পানি আরো নেমেছে। চারদিকে ধ্বংসলীলা ঘটিয়ে গেছে স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও ভ‚মিধস। বৃহস্পতিবার বানের পানি নামতে শুরু করলে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর ক্ষত-বিক্ষত চেহারা ভেসে উঠতে থাকে। গতকাল শুক্রবার পানি আরও কমলে গ্রাম-জনপদের প্রায় সবখানে বিধ্বস্ত অবস্থা দেখা যাচ্ছে। প্রবল ঢল ও বন্যার তোড়ে লÐভÐ হয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তাঘাট, সড়ক-মহাসড়ক, বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। ধসে পড়া কিংবা ভাঙাচোরা বসতঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বানভাসি অসহায় মানুষেরা স্তব্ধ হয়ে আছে বোবাকান্নায়। গত সোমবার ও মঙ্গলবার ৩৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলাজুড়ে। এর ফলে হঠাৎ করেই পাহাড় থেকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসে স্মরণকালের ভয়াল ঢল ও বন্যার পানি। প্রবল স্রোতের সঙ্গে দ্রæত ফুলে ফুঁসে উঠে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী, ডলু খাল। আগে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি এলাকাবাসী। অনেকেই পারেননি জরুরি সামগ্রী, হাতের সম্বল গুছিয়ে নিতে। জীবন বাঁচাতে হন্যে হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছুটেন সবাই। বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে ধান, চালসহ খাদ্য সামগ্রী। গতকাল বানের পানি আরো নামলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, পটিয়া উপজেলা এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ৭টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে অনেক জায়গায় কাদাপানি, পাহাড়ধোয়া বালিমাটি আটকে আছে।
ফল ও ফসলি জমি, সবজি ক্ষেত কাদামাটি, বালুর ঢিবির নিচে তলিয়ে গেছে। দিশেহারা কৃষক। বন্যার্তরা বাড়িঘরে ফিরতে ব্যাকুল। আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা নিরাপদ স্থানে আত্মীয়-স্বজনদের ঘরবাড়িতে গিয়ে তাদের নানামুখী কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সহসা ঘরে ফিরতে ব্যাকুল বন্যার্তরা। জরুরি ভিত্তিতে চান গৃহনির্মাণ সামগ্রী। এদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে ঢল-বন্যা-পাহাড় ধসে গত চার দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে গতকাল পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২১ জন। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৬ জন, লোহাগাড়ায় ৪ জন, চন্দনাইশে ২ ও আনোয়ারায় একজনসহ এ যাবত মারা গেছে ১৩ জন। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ঢল-বন্যা ও পাহাড়ধসে মারা গেছে ৮ জন, নিখোঁজ রয়েছে ২ জন।
গতকাল বিকেলে সাতকানিয়ায় সাতকানিয়ায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি। এ সময়ে তিনি বলেন, বানভাসিদের পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুই হাত উজাড় করে যেন বানভাসি মানুষদের সহায়তা করি। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম এমপি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত ভয়াল ঢল-বন্যায় গত কয়েকদিনে জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের যারা নিজ এলাকায় যাননি তারা অনেকেই আসেন গতকালের উক্ত অনুষ্ঠানে।
এদিকে গতকালও বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধপথ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা সেবাদান অব্যাহত থাকে। রান্না করা খাবার ও বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্তদের হাতে তুলে দিচ্ছেন সেনাসদস্যরা। ত্রাণকাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে তারা সহায়তা করছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধপথ্যের তীব্র সঙ্কট বিরাজ করছে। ত্রাণ সামগ্রী সেই তুলনায় খুবই অপ্রতুল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অনেকেই দুর্যোগে নিজেদের এলাকাবাসীর পাশে নেই। অন্যদিকে এখানে-সেখানে কতিপয় নেতা ও উঠতি নেতার ফটোবিলাস, ঘন ঘন ফেসবুক পেইজে পোস্ট দেয়ার হিড়িক আর ফটোসেশন দেখে প্রকাাশ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বন্যার্ত এলাকাবাসী।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শহীদুল ইসলাম বাবর জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জন বন্যায় মারা গেছে। এরমধ্যে সাতকানিয়ায় নৌকা ডুবে গিয়ে দুই শিশু মারা গেছে। নিহত শিশুরা হলো দক্ষিণ চরতীর মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২) ও কাঞ্চনা মিয়ার বাড়ি মোহাম্মদ আরিফের কন্যা সানজিদা (৪)। আনোয়ারায় সাঙ্গু নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। চরতীতে নৌকা ডুবিতে ৪ জনের লাশ উদ্ধার হলো। এনিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্যা, ঢলে এ পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে। এদিকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি কমে গেছে। ভেসে উঠছে একের পর এক ধ্বংসচিহ্ন। বন্যা কবলিত এলাকায় বেশিরভাগ কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানের তোড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে পাকা সড়কও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা। চরতী, আমিলাইষ, নলুয়া, কালিয়াইশ, কেওচিয়া, সোনাকানিয়া, বাজালিয়া, পুরানগড়, ধর্মপুর, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, এওচিয়া, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভা বন্যায় ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে লোকজনকে নানামুখী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বেশ কিছু ব্যস্ত সডক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেরানীহাট হয়ে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের বাইতুল ইজ্জতের পরে সত্যিরীরের দরগা এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে মহাসড়কের অনেকাংশ ভেঙে ও ধসে গিয়ে খালের মতো খাদ সৃষ্টি হয়েছে। বিধ্বস্ত সড়কটি দ্রæত মেরামত করা না হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে পাহাড়ি ঢল, বন্যা ও ভূমিধস কবলিত পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এখনও থমকে আছে জীবনযাত্রা। অভ্যন্তরীণ সড়ক রাস্তাঘাটে সরাসরি যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও পানির সঙ্কট কাটেনি। সেনাবাহিনী ত্রাণকাজে তৎপর। এদিকে পাহাড়ি খর¯্রােতা সাঙ্গু নদীর পানি হ্রাসের সাথেই ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদীপাড়ে ভাঙন ও ধস সৃষ্টি হলে ৭টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেয়া হয় ১৫০টি পরিবারকে। শহরের মারমা বাজার এলাকায় সাঙ্গু নদীর পাড় ভেঙে ও ধসে গেলে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সাঙ্গুর তীরে রয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। বানের পানি হ্রাসের সাথে মাটি সরে গিয়ে ধসে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের বন্যানিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত বান্দরবান জেলায় পাহাড়ধস, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে, বন্যায় বসতঘর বিধ্বস্ত হয়ে ৮ জন মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে দু’জন। আহত হয় ১৭ জন। নিহতের মধ্যে বান্দরবান শহরে ৪, আলীকদমে ২, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে একজন করে মারা গেছে। বান্দরবানে পাহাড়ি ঢল, পাহাড় ধস ও বন্যায় পৌর শহরসহ ৭টি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লামা উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা তিন দিন ধরে পানিতে ডুবে থাকে। অনেক জায়গায় কাদামাটি, বালু, ময়লা পানি এখনো আটকে আছে।
স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে জানান, ভয়াবহ বন্যায় জেলার প্লাবিত এলাকার বানের পানি নেমে গেছে। তবে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সবখানেই কাদামাটি এবং ময়লা আবর্জনা। এগুলো থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। রয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট। বান্দরবান শহরের মার্মা পাড়ায় অতি বৃষ্টিতে মাটি নরম হওয়ায় সাঙ্গু নদীর পাড়ে একটি দোতলা বাড়ি ধসে গিয়ে নদীর সাথে বিলীন হয়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। তবে বান্দরবান সেনাবাহিনী, পৌরসভা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলেও পাহাড় ধসে সড়ক বিধস্ত হওয়ায় রুমা ও থানচি উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাঁচদিন পর বান্দরবান জেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও দুর্গম জায়গায় এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ইনকিলাবকে জানান, বন্যা দূর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে গত সোমবার ভোরে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি স্থানে ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী-পরশুরাম উপজেলার বির্স্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত দুই উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিতে রোপা আমনের চারা, বীজতলা, সবজিক্ষেত, মৎস্যঘের। বর্তমানে বন্যার পানি নামার সাথে সাথে জেগে উঠছে ক্ষতচিহ্ন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলগাজী উপজেলার বন্যার পানিতে প্লাবিত গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করায় বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়কে ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান হতে দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির ক্ষতচিহ্ন বেরিয়ে আসছে। রাস্তাঘাটে ভাঙনের স্থান দিয়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে স্থানীয় লোকজনকে পারাপার হতে দেখা যায়। পরশুরাম উপজেলায়ও বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান হচ্ছে।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহাকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান ভ‚ঁইয়া বলেন, মুহুরী নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার ৩১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বাঁধের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গত তিন চারদিন ধরে প্রবল বর্ষণে প্লাবিত হয়ে শত শত বাড়ি ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে মাটির দেওয়ালের বাড়ি গুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে দেওয়াল গুলো পড়ে গেছে। নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বাড়িঘর সব ডুবে গেছে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। বিভিন্ন স্থানে চলাচলের রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে অনেক জায়গায় পানির স্রোতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় পানির স্রোতে নিহত চারজনের মধ্যে একজনকে গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয়েছে নিহত ব্যক্তিদের নাম জুনাইদুল ইসলাম জারিফ সে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র পিতা জুলফিকার আলী ভুট্টো সে আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা। আব্দুল মাবুদ পিতা রহিম বকসু সে পদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে টানা ৫ দিনে অবিরাম বৃষ্টি পাহাড়ি ঢল ও শঙ্ক নদীর পানিতে চন্দনাইশ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে নিম্ন অঞ্চলে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকদের রোপণ করা আমন ধান, আমন ধানের বিজ, মাছের ঘের, পুকুর, বসতবাড়ী সহ পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, বরমা, বরকল এসব এলাকায় অসংখ্য পরিবার বন্যায় প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছে। এসব পরিবারে খাবার সঙ্কট, বিশুদ্ধ পানি, ব্যবহারের পানি কষ্টের অন্ত নেই। বন্যার শুরু থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল, সোশাল মিডিয়া সহ যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় ক¤েপ্রশার মেশিন চালু করতে না পারায় খাওয়ার ও ব্যবহার পানির তীব্র সঙ্কট।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হেরেই চলেছে ঢাকা, পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙল সিলেট
মুকসুদপুরে ক্যালেন্ডার বিতরনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০ জন
১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহসহ সারাদেশে তীব্র শীত
আ.লীগ ক্রীড়াঙ্গনেও ব্যাপক দলীয়করণ করেছিল : মির্জা ফখরুল
নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে ড্রেজার মেশিন ও পাম্প জব্দ
ছাগলনাইয়ায় এসএসসি ব্যাচ-২০০০’র বন্ধুদের মেজবান ও মিলনমেলা
রাতের আধারে দুস্থ রোগীদের শীতবস্ত্র দিলেন ইউএনও
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল : চিকিৎসক
ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে বাপের বাড়ী চলে যেতে বা মন ইচ্ছামতো চলতে বলা প্রসঙ্গে।
ফারুক হাসানের উপর হামলা ও আসামিদের জামিন পাওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় : খসরু
মানিকগঞ্জে ওয়ারেন্টের ৫ আসামী গ্রেফতার
আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব
সন্ধান মিললো ফ্যাসিস্ট গণহত্যার শিকার আরও ৬ শহীদের লাশ!
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ
ছাগলনাইয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হাতে নিহত ১
ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন
বিএআরএফ'র ইজিএম ও ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত
‘আলেমদের নেতৃত্বে চলবে দাওয়াতে তাবলিগ খুনীদের নেতৃত্বে নয়’
কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে ৫০০ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ