চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রের সন্ধানে খালে তল্লাশি
৩১ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৮ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
নগরীতে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্রের সন্ধান মেলেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর তার খোঁজে নগরীর বাকলিয়ায় খাল, নালায় দিনভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অন্যদিকে কর্ণফুলী নদী থেকে দুই দিন আগে নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে নগরীর বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ রোডের আজিজিয়া মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ (১০)। সে কুমিল্লা জেলার মো. রাসেলের ছেলে। তারা নগরীর বাকলিয়ার ডিসি রোডের মদিনা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। এক বছর ধরে আলিফ ওই আবাসিক মাদরাসায় থেকে পড়ালেখা করছিল।
তার সহপাঠীরা জানায়, মাদরাসার ছাদে খেলতে গিয়ে সে আর ফিরে আসেনি। এ কারণে সবার সন্দেহ হয় সে মাদরাসা ভবন সংলগ্ন খালে পড়ে গেছে। রাতেই খবর পেয়ে সে খালে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। গতকাল দিনভর তল্লাশি শেষে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে ধারণা আলিফ খালে পড়েনি। কারণ ইতোমধ্যে খালের সম্ভাব্য সব এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে। ছেলেটিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ফলে সে খালে নিখোঁজ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাহলে ছাত্রটি গেল কোথায়? এ অবস্থায় ছাত্রের পরিবার তাদের সন্তানের হেফাজত করতে না পারার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বলছে তাকে খোঁজা হচ্ছে। সম্ভাব্য সব এলাকায় খোঁজ নেয়া হয়েছে।
মাদরাসার সহকারি পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরাও বুঝতে পারছি না সে কীভাবে, কোথায় গেল। ভবনের সব জায়গায় তাকে খুঁজেছি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সে ছাদে উঠছে। কিন্তু নামার কোনো ছবি তাতে পাওয়া যায়নি। এর আগেও একবার সে পালিয়ে গেছে। আমরা নিজেরাই তাকে খুঁজে এনেছি। হয়তো পড়ার চাপ নিতে পারছে না, তাই কোথাও চলে গেছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ছেলেটা খালে পড়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরও সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছে, খালের সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে গতকাল বেলা ২টার দিকে নগরীর অভয়মিত্র ঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে স্কুলছাত্র অদ্রিপ অয়ন সায়ানের (১৩) লাশ পাওয়া গেছে। নদীতে ভেসে আসা লাশটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। খবর পেয়ে ওই ছাত্রের বাবা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। সায়ান নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার কেডিএস গলির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাশের ছেলে। হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। মঙ্গলবার স্কুল থেকে বাসায় না ফেরায় সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় তার বাবা একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। জানা গেছে, স্কুল ছুটির পর বন্ধুদের সাথে জামালখান এলাকায় যায় সে। এরপর নিখোঁজ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে। লাশে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গভীর রাতে গরিব অসহায় শীতার্ত মাঝে ইউএনও'র কম্বল বিতরন
বরিশালে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে
সেবা বঞ্চিত হলে অভিযোগ করা যাবে ইসির বিরুদ্ধে
এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ৩ হাজার শিক্ষক
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নবনিযুক্ত সচিব ছাগলনাইয়ার সন্তান সামছু উদ্দিন
বাংলাদেশে শনাক্ত হলো 'রিওভাইরাস’, রোগটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি
মাসের শেষে আবারো আসছে শৈত্যপ্রবাহ
বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে পুরস্কার পেলেন, আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
না ফেরার দেশে নির্মাতা রায়হান রাফির বাবা
এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২
ছাগলনাইয়ায় খালে ভাসছিল নারীর অর্ধগলিত লাশ
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় ৫ দিনে গাজায় নিহত ৭০ শিশু
ঘরে বসে মাত্র ১০ দিনেই মিলবে থাইল্যান্ডের ভিসা
মিয়ানমারের কাচিনে জান্তার বিমান হামলা, শিশুসহ নিহত ১৫
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা