কিয়েভকে সহায়তা দেয়া আরো কঠিন হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য
০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার হিসাবে কেভিন ম্যাকার্থির কার্যকাল যেভাবে শুরু হয়েছিল, তেমন অপমানজনকভাবেই শেষ হয়েছে। ৩ অক্টোবর আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষের স্পিকার আস্থাভোটে হেরে বরখাস্ত হলেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আগামী সপ্তাহগুলো আরও বিশৃঙ্খল হওয়ার এবং ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়া আরও কঠিন হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরও ৪৫ দিনের জন্য চালু রাখাসহ ‘শাটডাউন’ এড়াতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তহবিল বিল পাস হয়। অচলাবস্থা এড়াতে প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ম্যাকার্থি ৪৫ দিনের এই তহবিল বিলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কট্টরপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা বিলটির বিরোধিতা করছিলেন। পরে বিলটি কংগ্রেসের উভয় কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে পাস হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হয়। বিলটি পাসের পরপরই ম্যাকার্থি স্পিকারের পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন। শেষ পর্যন্ত নিজ দলের কট্টরপন্থী বিদ্রোহী সদস্যদের কারণে তাকে স্পিকারের পদ হারাতে হলো।
পরবর্তী স্পিকারের জন্য কাজটি আরও কঠিন হবে। তাৎক্ষণিক কাজটি হবে সরকারের অর্থায়ন। সম্প্রতি পাশ হওয়া বিলটি শুধুমাত্র ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের কাজ অব্যাহত রাখবে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, নতুন স্পিকার দায়িত্ব নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই শাটডাউন হতে দেখবেন। কারণ, নতুন কেউ দায়িত্ব নিলেও মধ্যপন্থী রিপাবলিকান এবং কট্টরপন্থীদের মধ্যে বিশেষ করে প্রতিনিধি পরিষদে দূরত্ব কমবে না। ইউক্রেনের জন্য সাহায্য, যা কট্টরপন্থীদের শান্ত করার জন্য সরকারী-তহবিল চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, আমেরিকার সীমানার বাইরে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।
কিন্তু রিপাবলিকান দলের কেউ কেউ আরও অর্থায়নের বিরোধিতা শুরু করেছেন। কংগ্রেসে ইউক্রেনের সমর্থকরা, যারা উভয় চেম্বারে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ, একটি ভোটের জন্য চাপ দিচ্ছেন যা ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য অর্থায়নের নিশ্চয়তা দেবে। শাটডাউন এড়ানোর চেয়ে এ আইনী প্রক্রিয়া আরও কঠিন হতে পারে। সেই কাজ কার হাতে পড়বে তা স্পষ্ট নয়। রিপাবলিকানরা ১০ অক্টোবর প্রার্থী ফোরাম এবং পরের দিন একটি ভোটের পরিকল্পনা করছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেসের সদস্যরা জানিয়েছেন। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল, রিপাবলিকান দলের মধ্যে কার এ দায়িত্ব নেয়ার মতো সাহস আছে? এ বিশৃঙ্খলা অদূর ভবিষ্যতে থামার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে ইউক্রেনীয়দের জন্য আপাতত মার্কিন সাহয্য পাওয়ার আশা না করাই ভাল। সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাইকোর্টে চিন্ময়ের জামিন আবেদন, শুনানি সোমবার
পুলিশ লাইন্সে ফ্যানের সঙ্গে নারী কনস্টেবলের লাশ ঝুলছিল
দাউদকান্দির গৌরীপুর চররায়পুর আসমানিয়া সড়কে বড় বড় গর্ত, জনদুর্ভোগ চরমে
লৌহজংয়ে যানবাহন চলাচলে জন্য বালিগাঁও সেতু উন্মুক্ত করা হয়েছে
নারায়ণগঞ্জে পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি, ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার
ভারতের প্রথম মহিলা নৃবিজ্ঞানী ইরাবতী কারভে, সাহসী গবেষক ও সংস্কারক
মুজিবনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন
ভয়ঙ্কর প্রেমের ফাঁদ!
মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে যাবে? সারজিস আলম
যুদ্ধবিরতি স্থগিত করে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখল ইসরাইল
দাউদকান্দিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত
টেকনাফমুখী ৪টি পণ্যবাহী জাহাজ এখনো ছাড়েনি আরাকান আর্মি
বাঁওড়ের ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ টিকটক, আমেরিকা প্লাটফর্মটি প্রত্যাশা করেঃ মি.বিষ্ট
আমাদের রক্ত ঝরবে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইনকিলাবে রিপোর্টের পর সরিয়ে দেয়া হলো তিন কর্মকর্তাকে
জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার শেষ করবে : মির্জা ফখরুল
ঘাটতি পূরণে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে: কবির উদ্দিন
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ডিবিসিসিআই’র নতুন সভাপতি মামুন, সেক্রেটারি রিসালাত