বেশি লাফালাফি করলে মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবো
১০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
বিএনপি নেতাদের হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেব। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। গতকাল সোমবার রাজধানীর গাবতলিতে দলের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
রাজধানীর গাবতলী থেকে মিরপুর রোডগামী সড়কের মাঝখানে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর থেকেই গাবতলীর আশে পাশের এলাকার নেতা-কর্মীরা পায়ে হেটে ও বাস, পিকআপ যোগে ওই সমাবেশে আসেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলো পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈন খানের অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। দুই চালান আসছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খানে মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়.. যে লাফাবে মাথায় ইউরিনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবো না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কবে আসবেন, ডেটটা দেন না। ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে, সারাদেশে খেলা হবে, চট্টগ্রামে-বরিশালে-রাজশাহীতে-সিলেটে-ঢাকায় খেলা হবে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ফাউল করলে লাল কার্ড, হলুদ কার্ড দেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ভোট হবে, জানুয়ারিতে ভোট হবে। ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল। ভোট হবে, খেলা হবে। খেলা ছাড়া উপায় নেই বিএনপির সঙ্গে। বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লালকার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।
মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমত মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে।
খাওয়ার কষ্ট থাকবে না। শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম মানুষের কথা চিন্তা করে এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না তবু মানুষকে খাওয়াবো। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই- যত গর্জে ততো বর্ষে না। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
নির্বাচন পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সারা দেশে রক্তপাত ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়িতে থাকতে দেয়নি। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। সেই বিএনপি-জামায়াত আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে¡ সরকারের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না। দেশের শান্তি সমৃদ্ধিকে মেনে নিতে পারে না। যারা সন্ত্রাসী কর্মকা- করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা সতর্ক আছে। সতর্ক থাকবে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেব না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদীদের উত্থান চাই না। আমরা এদেশে ণতান্ত্রিক ধারাকে রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিদেশের যাদের দালালি করেন কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। যে কোনো অবস্থায় মোকাবেলার জন্য নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত থাকতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবশে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এমবাপ্পের জোড়া গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে