দুই বছরের শিশুকে রেখে নিরুদ্দেশ এক নারী
২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
দুই বছরের এক শিশুকে রিকশাচালকের কাছে রেখে নিরুদ্দেশ এক নারী। গত ২৪ ঘন্টায় শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক না পাওয়ায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত আটটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে এক নারী শিশুটিকে নিয়ে রিকশায় ছিলেন। হুট করে ওই নারী কাজের কথা বলে রিকশা থামাতে বলে শিশুটিকে রিকশাচালককে একটু ধরতে বলেন। রিকশাচালক শিশুটিকে কোলে নেন। এরপর আর ওই নারীর কোনো পাত্তা নেই দেখে রিকশাচালক হাসপাতালের আনসার সদস্যদের জানান। আনসার সদস্যরা আশপাশে ওই নারীর খোঁজ করতে থাকেন। এরপর তারা পুলিশের জাতীয় সহায়তা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে শেরেবাংলা নগর থানায় ঘটনাটি জানান। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শিশুটিকে থানায় আনা হয়। রাতে সে নারী পুলিশ কনস্টেবলদের কাছে ঘুমিয়েছে। সকালে তাকে গোসল করানো হয়েছে। মাছ ও সবজি দিয়ে ভাত খেয়েছে সে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, ওই নারীকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি শিশুটিকে কেন ফেলে গেলেন বা রিকশাচালক সত্য কথা বলছেন কি না, তা জানার কোনো উপায় নেই। শিশুটির ছবি সব থানায় পাঠানো হয়েছে। রিকশাচালক যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে বলছে, সে জায়গার আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তার খোঁজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এমন হতে পারে ওই নারী শিশুটিকে চুরি করে পালাতে চেয়েছিলেন, পরে ধরা পড়ার ভয়ে রিকশাচালকের কাছে দিয়ে চলে গেছেন, নয়তো পারিবারিক কলহ বা কোনো কারণে শিশুটিকে পালতে না পেরে শিশুটির মা নিজেই হয়তো শিশুটিকে ফেলে চলে গেছেন। দিন দিন পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন আলগা হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে এভাবেও শিশুসন্তানকে ফেলে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। শিশুটিকে আজ থানায় রাখা হবে। আজকের মধ্যে ওই নারীর সন্ধান পাওয়া না গেলে আদালতের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার থানায় গিয়ে দেখা গেছে, শিশুটির ঠান্ডা লেগেছে। কান্নাকাটি তেমন একটা করে না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। ডাকলে তেমন একটা সাড়া দেয় না। তবে মা কোথায় জানতে চাইলে চোখ তুলে তাকায়। আঙুল দিয়ে দূরে দেখিয়ে বলে ওই যে। কথা বলার মধ্যে এটুকুই স্পষ্ট।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই ফাহাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে পাওয়ার পর শিশুটি সুস্থ কি না, তা জানার জন্য শ্যামলীতে বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি সুস্থ আছে। পরে তাকে থানায় আনা হয়। রিকশাচালক কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা রেখে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়ায় দুই হাত কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সম্পাদক মামুন
খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আদেশ স্থগিতে ১৮টি রাজ্যের মামলা
টেলিকমে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করা হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারচালক নিহত
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
বন্দরে বকেয়া বেতন দাবিতে পারটেক্স শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : ইউজিসি
ধামরাইয়ে ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইজিবাইক চালকের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত
গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা -নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল পবিস কর্মীরা
উত্তরা উলামা আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন
ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল হলেও অধরা রূপগঞ্জের রুবেল
সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে অভিযুক্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
পদ্মা ব্যাংকের ১২২তম পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত
ভারতের ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ২০ মাওবাদী নিহত