দেশের রাজনীতিতে ভয়ের অপসংস্কৃতি তৈরি হয়েছে
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম
নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেছেন, বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে একটি ভয়ের অপসংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, যা থেকে ভালো এবং মহৎ কিছু আশা করা যায় না। রাজনীতি ও সংস্কৃতি একসঙ্গে চলতে না পারলে এ বাধা কাটানো যাবে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে শিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘শিল্পীর নাগরিক দায়, জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় গণসংগীত উৎসবের দ্বিতীয় দিনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনায় আরও অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও গবেষক শামসুল হক। সূচনা বক্তব্য রাখেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন হাবিবুল আলম।
মামুনুর রশীদ বলেন, একসময় সংস্কৃতিকর্মী এবং শিল্পীদের কাছে রাজনৈতিক কর্মীরা যেতেন। কাগমারী সম্মেলনে অধিকাংশ তোরণ ছিল শিল্পী, নাট্যকার ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে। নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে যদি শিল্পীরা রাজনীতির সঙ্গে না থাকতেন, তাহলে তা সম্ভব হতো না। জীবনসংগ্রামে শিল্পের প্রতি দায় মেটান সংস্কৃতিকর্মীরা। কিন্তু এখন তাতে ছেদ পড়েছে। সংগ্রামের পথ থেকে যে সংস্কৃতিকর্মী পলাতক, তার পক্ষে শিল্প করা সম্ভব নয়।
মামুনুর রশীদ বলেন, প্রতিটি শিল্পীর নাগরিক দায় আছে। নাগরিক দায় পালন করতে গিয়ে কঠোর জীবনসংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়। সমাজ পরিবর্তনে শিল্পীদের ভূমিকা আছে। আমরা কিছু দায় মেটাতে পারছি, কিছু পারছি না। আমাদের জীবনে কি আমরা সংগ্রাম করতে প্রস্তুত?’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, রাষ্ট্রভাবনা ও সমাজভাবনা না থাকলে প্রকৃত শিল্পী হওয়া সম্ভব নয়। রাজনৈতিক পরিচয় অবশ্যই থাকতে হবে। কাজী নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন ছিল। তিনি তো ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কবিতা লিখেছিলেন। কবি নজরুলের রাজনৈতিক দর্শন ছিল। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, স্বাধীনতার চেতনা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি। এ দেশ যখন সুন্দর অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। এরপরই সংস্কৃতিকর্মী আর লেখকেরা ভাগ হয়ে গেলেন। রাজনৈতিক বিভক্তির কারণে শিল্পীরাও আলাদা হয়ে যান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধি যুক্তরাষ্ট্র:মিশরকে ব্লিঙ্কেন
বিনা উইকেটে ১০১ থেকে ১৪৩ রানে অল আউট!
সমগ্র জাহানে যা কিছু ঘটে আল্লাহর ইচ্ছেতেই জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আগামীকাল
অবিশ্বাস্য ধ্বসে উল্টো চাপে বাংলাদেশ
সরকার আদানির কাছথেকে বিদ্যুৎ কিনে ভারতকে স্বচ্ছল করছে: রিজভী
ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে সমকামি করা হচ্ছে
শ্রীনগর মাটরসাইকল আরাহীর মত্যু
রাজশাহীতে সড়ক দূর্ঘটনায় ফেন্সিডিল বহনকারী যুবক নিহত
অভিমানে বিদায় বললেন মুনরো
মেহেরপুর গোভিপুর গ্রামে স্বামীর হাঁসুয়ার কোপে স্ত্রী নিহত
ভালো শুরুর পর একই ওভারে সৌম্য-তানজিদের বিদায়
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর
দিনাজপুর সীমান্তে সাপের বিষ উদ্ধার
বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের লন্ডনে বিজনেস গ্রোথ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ
বাঘায় দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মাগুরার শ্রীপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৪
হাঙ্গেরি চীনকে বহুমুখী বিশ্বের স্তম্ভ হিসাবে দেখে: অরবান