সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ‘সোনা মহি’ এখন কানাডায়
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
লুট হয়ে গেছে সমবায় ব্যাংক। লোপাট হয়েছে বিপুল নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার। ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটির রক্ষিত ১২ হাজার ভরি স্বর্ণালঙ্কারও। কিন্তু লুটের হোতা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহিকে দায়মুক্তি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে তার নাম রাখা হলেও অদৃশ্য প্রভাবে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয় তার নাম। ফলে প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে দেয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে কোনো মামলায় আসামিরা আদৌ শাস্তি পাবে কি-না এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। আইনজ্ঞরা মনে করছেন, মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো প্রয়োজন। শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট এই ব্যাংক লুটেরাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনলে এ ধরনের ঘটনা হয়তো আরো ঘটবে।
সমবায় অধিদফতর সূত্র জানায়, বিশেষায়িত বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকে লুটপাট শুরু হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। কিন্তু লুণ্ঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আর রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে লুটেরাদের বিষয়ে মুখ খুলতে পারেননি কেউ। ওই সময় যারা ব্যাংকটিতে লুটপাটে জড়িত ছিলেন তারা প্রায় প্রত্যেকে ছিলেন চিহ্নিত। কিন্তু আওয়ামী প্রভাবের কারণে প্রচলিত আইনি ব্যবস্থায় তাদের কিছুই করা যায়নি। বরং আইনের ‘ফাঁক’ গলেই বেরিয়ে গেছেন লুটেরারা।
বিদ্যমান আইনি ফাঁকের মধ্যে গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি মামলা (নং-৯) দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজাহারে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/১২০-বি এবং ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা প্রয়োগ করা হয়। মামলাটি দায়ের হয় সমবায় অধিদফতরেরই একটি অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে। মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়ায় দুদক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বহু প্রমাণাদি জব্দ করে।
এজাহারে নানা পদ্ধতিতে ৪০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নয়-ছয়ের ফিরিস্তি তুলে ধরা। আসামি করা হয় ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব), হেদায়েত কবীর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (স্বর্ণ বন্ধকী বিভাগ) মো. আশফাকুজ্জামান, তৎকালীন প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাহবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নূর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) মো. আব্দুর রহিম এবং সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) নাহিদা আক্তারকে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুই হাজার ৩১৬ গ্রাহকের সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা সোনা জামানত হিসেবে সমবায় ব্যাংকে রেখেছেন। কিন্তু আসামিরা বিদ্যমান আইন-কানুন অনুসরণ না করে অসদুপায়ে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এর অংশ হিসেবে ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা বাজার মূল্যের জামানত থাকা স্বর্ণ ভুয়া ব্যক্তিকে ‘প্রকৃত ব্যক্তি’ সাজিয়ে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ ৭২ হাজার ২০২ টাকা ‘পরিশোধ’ দেখান। ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ প্রকৃত গ্রাহককে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ ফেরত প্রদানে গ্রাহকের আবেদন, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে নথিমূলে উপ-মহাব্যবস্থাপকের অনুমোদনক্রমে স্বর্ণ ফেরত দেয়ার নিয়ম রয়েছে। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লি: জমাকৃত স্বর্ণ অসাধুভাবে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাতের নিমিত্তে সহকারী অফিসার নূর মোহাম্মদ, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, মো. হেদায়েত কবীর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) আব্দুল আলিম পরস্পর যোগসাজশে স্বর্ণের বিক্রয়লব্ধ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশের সমবায় সমিতির সদস্যরা স্বর্ণালঙ্কার জামানত রেখে ক্ষুদ্রঋণ নেন। পরবর্তীতে সুদসহ টাকা জমা দিয়ে বন্ধকী সোনা ফেরত নেন। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমবায় ব্যাংক গ্রাহকদের এ সেবাটি দিয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় ঢাকার ৩৩৫ জন গ্রাহক এবং নারায়ণগঞ্জের এক হাজার ৯৮১ জন গ্রাহকসহ ২৩১৬, সমবায় ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ জামানত রাখেন। ২০২১ সালে বাজার দর অনুযায়ী স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য ছিল ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা।
যেভাবে সমবায় ব্যাংক গিলে খান মহি :
আইনের জটিল মারপ্যাঁচে একের পর এক মামলা দিয়ে সরকার মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লি:’র চেয়ারম্যান পদটি এক যুগের বেশি সময় আঁকড়ে ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। এ ক্ষেত্রে তিনি কাজে লাগান সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (২০০০২-২০১৩ সংশোধিত)-এর অস্পষ্ট একটি ধারা। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ তিন বছর। ‘সমবায় সমিতি আইন-২০০১’ এর ১৮ ধারায় ‘ব্যবস্থাপনা কমিটি’ সম্পর্কে বলা হয়েছেÑ ‘(১) প্রত্যেক সমবায় সমিতির যাবতীয় ক্ষমতা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই আইন, বিধি ও উপ-আইন মোতাবেক গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদনযোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সব কার্য ওই কমিটি সম্পাদন করিবে। এ আইন অনুযায়ী মহিউদ্দিন আহমেদ সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।
আইনটির (৭) উপ-ধারায় বলা হয়Ñ ‘ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে একনাগাড়ে তিন বৎসর মেয়াদ পূর্ণ করিয়াছেন এমন সদস্য বা সদস্যগণ পরবর্তী এক বৎসর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’ কিন্তু মহিউদ্দিন আহমেদ রিট করে নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে চেয়ারম্যানের চেয়ারে রয়েছেন টানা এক যুগ। ২০০৯ সালের ২০ জুলাই তিনি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হন। প্রথমবার তিনি ২০১২ সালের ২৬ মে পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি কমিটি পূর্ণ সময়কাল ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। এভাবে পরপর তিন বারে তিনি টানা ৯ বছর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদ আঁকড়ে থাকেন। ২০১৮ সালের ৬ মে তার তৃতীয় মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। এখন তিনি চতুর্থ মেয়াদের জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন।
সূত্রমতে, ২০১৮ সালের ৭ মে তৃতীয় মেয়াদ পূর্তির আগে সেবছর ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩১তম ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ওই বছর ২৫ এপ্রিল ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মহিউদ্দিন আহমেদ রিট (নং-৫৪৪৩/২০১৮) করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ নেন। সেই সঙ্গে বিবাদিদের প্রতি রুল জারির আদেশ করান। এদিকে নির্বাচনের ওপর দেয়া ছয় মাসের স্থগিতাদেশ শেষ হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ সমবায় সমিতি আইন সংশোধন পর্যন্ত নির্বাচনের ওপর স্থিতাদেশ (স্ট্যাটাসকো) দেন।
এই আদেশের ভিত্তিতে সমবায় অধিদফতর ‘সমবায় সমিতি আইন-২০০১’-এর সংশোধনীর উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ‘সমবায় সমিতি আইন-২০০১’-এর ৮৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ‘সমবায় সমিতি বিধিমালা-২০০৪’-এর সংশোধনী আনে। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সংশোধিত বিধিতে বিধি ২৫-এর উপ-বিধি (২)-এর পরিবর্তে উপ-বিধি (২) প্রতিস্থাপিত হয়। সংশোধিত উপ-বিধি অনুযায়ী (২) কেন্দ্রীয় ও জাতীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করিবার ক্ষেত্রে (ক) প্রশাসনিক বিভাগ, জেলা ও বা উপজেলা নির্বিশেষে নির্বাচন যোগ্য সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে এবং ভোটার সংখ্যার, যতদূর সম্ভব, সমানুপাত বিচেনাক্রমে সমগ্র দেশকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত করা যাইবে;’ (খ) দফা (ক)-তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রয়োজনে, কোনো প্রশাসনিক বিভাগ, জেলা বা উপেজেলার কোনো অংশ সমন্বযে কোনো নতুন বিভাগ, জেলা বা উপজেলা সৃজিত হলে ওই নবসৃজিত বিভাগ, জেলা বা উপজেলার কোনো এলাকাকে, ভোটার সংখ্যার, যতদূর সম্ভব, সমানুপাত বিবেচনাক্রমে, উপযুক্ত কোনো নির্বাচনী এলাকার সাথে সংযুক্ত করা যাবে।’
তদুপরি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য তিনি একটি দেওয়ানি মামলাও (নং-৭৫/২০১৮) দায়ের করেন। মামলায় সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালকসহ চার জনকে বিবাদি করেন।
এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে উদ্যোগী হয় সমবায় অধিদফতর। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান, মহাব্যবস্থাপকসহ প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ১২ বছরের কার্যক্রমের তথ্য চেয়ে ২০২০ সালের ৫ জুলাই চিঠি দেয়। এই চিঠির কার্যকরিতা স্থগিত চেয়েও মহিউদ্দিন আরেকটি দেওয়ানি মোকদ্দমা (নং-৭৩/২০২০) করেন। এতে ধামাচাপা পড়ে যায় ব্যাংকটির দুর্নীতি উদঘাটনের উদ্যোগ।
এদিকে মহিউদ্দিন মহিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক এস এম মো. সাহিদুর রহমান। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সমবায় ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুই হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের গচ্ছিত সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা জামানত রাখা স্বর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে আত্মসাৎ করেন। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে ভুয়া গ্রাহককে ‘প্রকৃত গ্রাহক’ সাজিয়ে ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ গ্রাহককে না দিয়ে নিজেরা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় মহি-গংদের বিরুদ্ধে। আসামি করা হয় বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি, উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ বিভাগ) মো. আশফাকুজ্জামান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ম্যানেজার মো. মাহাবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নূর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) আব্দুর রহিম ও নাহিদা আক্তারকে।
দুদক অনেক গড়িমসির পর মামলা করলেও গ্রেফতার করেনি লোপাটের হোতা, আ.লীগ নেতা মহিউদ্দিন মহিকে। তাকে জামিন নেয়ার সুযোগ করে দেন দুদকেরই এক শ্রেণির কর্মকর্তা। সেই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক কোনো আপিলও করেনি। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি রহস্যজনক কারণে মহিউদ্দিন মহিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন।
এভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত হলেও মহির কেশাগ্রও স্পর্শ করেনি হাসিনার দুদক-প্রশাসন; বরং মহিকে বাঁচাতে পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বলির পাঁঠা বানানো হয় ব্যাংকটির পাঁচ কর্মকর্তাকে। মহিকে বাঁচাতে গ্রেফতার করা হয় ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাকে। পরে মামলার চার্জশিট থেকেও তার নাম বাদ দেয়া হয়। চার্জশিট হয় আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একজন এরই মধ্যে ইন্তেকাল করেছেন। ফলে সমবায় ব্যাংক লোপাটের মূল দায়ী ব্যক্তিকে বাদ দিয়েই শুরু হয় মামলাটির বিচার কার্যক্রম। চার্জশিট দাখিলের পরও তিন বছর ধরে রহস্যজনক কারণে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মামলার কার্যক্রম। অন্যদিকে সমবায় ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন করে ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দুদক থেকে জামিন নিয়েই পালিয়ে গেছেন কানাডায়। সেখানে তিনি সপরিবারে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তাকে কানাডার বেগমপাড়ায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি)-র উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ গত ৩০ সেপ্টেম্বর সমবায় ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব হওয়ার তথ্য জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
‘শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে’
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
মেট্রোকে থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
৪৩ বছর পর কুয়েতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারতে: দুলু
মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল, কানাডায় কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন ট্রুডো?
পাকিস্তান থেকে যেসব পণ্য নিয়ে এবার এলো জাহাজ
ভারতের সেবাদাসী হাসিনাকে পুনর্বাসনে এবার জঙ্গি মিশনে তারা!
মাহফুজকে উপদেষ্টা থেকে বাদ দেওয়া উচিত? যা বললেন ড. জাহেদ
৬ বছরের মধ্যেই চীনের হাতে হাজার পরমাণু বোমা! উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
বিগত সময়ে দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে পুলিশ, এ জন্য আমরা লজ্জিত: আইজিপি
ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ দিনেও খোঁজ মিলেনি নিখোঁজ সোহাগের
কসবায় পাহাড় কাটার অপরাধে ২ জনের অর্থদণ্ড
নরসিংদীতে মাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামকে বিদায় করে টিকে রইল খুলনা
পলাতক ১৯ বাংলাদেশি নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফ্রিজে রাখা বাসি ভাতে উপকার দ্বিগুণ!
আ.লীগ দেশটাকে গোরস্থানে পরিণত করেছিল : জামায়াত আমির
সেনবাগে মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ভাগ্নে নিহত : মামা আহত
কুষ্টিয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধুকে নির্যাতন