অপরাধ প্রতিরোধ আইনে জমি মালিকরা সুবিচার পাবে -ঢাকা ডিসি
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
দেশের সাধারণ জমির মালিকদের হয়ারি বন্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের বিচার শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। সারাদেশে ভূমির মালিকানা জমি অন্যায়ভাবে কেউ বেদখল করলে আবার জমির দলিল নিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি, বেদখল বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিতে পারবে। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের মামলার কার্যক্রম প্রথম ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিত আবেদন জমা পড়েছে। সে গুলো থেকে এ বিচার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
আজ সোমবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা-২০২৪ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশলায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রশিক্ষণ কর্মশলা উদ্ধোধন করেন। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা-২০২৪ কিনোট উপস্থাপন করেছেন ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর আহমেদ। বক্তব্য রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আযম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বিশ্বাস রাসেল হোসেন এবং ভুমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শহীদুল ইসলাম। এছাড়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ঢাকা বিভাগের সকল জেলার ভূমিসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সেমিনারে বলা হয়. ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এর বিধিমালা-২০২৩ জারি করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এটি জারি হওযায় এখন থেকে কোন ব্যক্তির জমি অন্যায়ভাবে বেদখল করা হলে, জমির দলিল নিয়ে জালিয়াতি করা হলে এই আইনে বিধিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কার্যক্রম শুরু হলো।আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিধিমামলা অপরিহার্য। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযার ক্ষেত্রে কোন বাধা রইলো না। সারাদেশে ভূমি নিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি, বেদখল বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলায় কোনো দলিল প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি প্রমাণিত হলে আদালত ওই মামলার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠাবে। প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগ বিচারের জন্য পাঠাতে আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা এর উদ্দেশ্য পূরণে ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন, রেকর্ড হালনাগাদ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে প্রদর্শিত বা উপস্থাপিত কোনো দলিল বা তথ্যের বিষয়ে প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হয়েছে এমন বিশ্বাস কবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেবেন। অবৈধ দখল প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ৭ এর উদ্দেশ্য পূরণে আইনানুগভাবে দখলদার কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ছাড়া তার দখল করা ভূমি হতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করবার চেষ্টা করা হলে বা হুমকি দেওয়া হলে অথবা তাকে ওই ভূমির দখল বা প্রবেশে বাধা দিলে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলসহ আবেদন করতে পারবেন। অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধারের আবেদন পদ্ধতি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্য পূরণে, কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ছাড়া তার দখল করা ভূমি হতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হলে তিনি তাতে উল্লিখিত দলিলসহ তার পূর্ব-দখলীয় ভূমিতে দখল পুনর্বহাল করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করতে পারবেন।
দখল পুনরুদ্ধারে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্যপূরণে নালিশি ভূমির দখল হস্তান্তরে প্রতিপক্ষ বরাবর প্রদত্ত আদেশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রতিপক্ষ দখল হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তার আদেশ দিতে পারবেন।
বিভাগ : জাতীয়