পদত্যাগ না করলে রাজপথেই ফয়সালা: বিএনপি
০৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম
পদত্যাগ না করলে সরকারের ফয়সালা রাজপথেই করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এই হুশিয়ারি দেয়া হয়।
আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি খুব সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। এরা সহজে যায় না, এদেরকে ধাক্কা মারতে হয়। হীরক রাজার দেশে ছবিতে কী বলছে- দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। সুতরাং দড়ি ধরে টান মারার সময় এসেছে। তাই আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলে দিয়েছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথেই আমরা আছি, রাজপথেই এর মীমাংসা আমরা করব ইনশাল্লাহ।
সময় থাকতে সরকারকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো কথা বলে লাভ হবে না। এখনো সময় আছে, আমরা যে ১০ দফা দিয়েছি সেই ১০ দফা মেনে নিন। পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। এটাই শেষ সময়, এটা মেনে নেন। তা নাহলে বার বার একই কথা বলছি, আবারো বলছি, পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। এই কথা বললে আপনাদের গায়ে লাগে। বলেন, কোথায় পালাব। পালিয়েছেন তো অতীতে। সব পালিয়েছেন। কেউ পাকিস্তানে পালিয়েছেন, কেউ ভারতে পালিয়েছেন ১৯৭১ সালে। এবার কিন্তু সেই পথও খুঁজে পাবেন না। আবারো বলছি, দয়া করে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। এই সংকট উত্তরণ করুন। নইলে কোথাও পালাবার পথ পাবেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস তখনই আমাদের সফল হবে যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করে জনগণের সরকার, জনগণের দেশ, মুক্ত একটা সমাজ, গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব তাহলেই হবে সফলতা। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাই।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে বক্তব্য দিয়ে ফেরার পথে যুব দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে মোনায়েম মুন্নাকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। রুহুল কবির রিজভীসহ আটক নেতাদের মুক্তি দাবি করছি। এভাবে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা, আটক করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণ এর প্রতিরোধে গড়ে তুলবে, এর জবাব আপনাদেরকে দেয়া হবে।
পঞ্চগড়ের ঘটনা আওয়ামী লীগের সৃষ্টি অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ের হামলার ঘটনায় আমাদের জড়ানোর জন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন যে, বিএনপিও জড়িত আছে। আমাদের প্রায় দেড়‘শ মানুষকে সেখানে গ্রেফতার করেছে। এখন পঞ্চগড় থেকে মানুষ বাইরে চলে যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্যটা কী? উদ্দেশ্য একটাই আবার সেই ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে আবার সাম্প্রদায়িক ঘটনার জন্য দায়ী করে উদোর-পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়। কিন্তু এখন আর জনগণ তাদের সেই কথা শুনবে না, তাদের সেই মিথ্যা মন্তব্য শুনবে না। তারা খুব ভালো করে জানে যে, আওয়ামী লীগ চক্রান্তমূলকভাবে নিজেরাই এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, তাদের লোকেরাই ঘটিয়েছে সেজন্য তারা উদোর-পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তাদের (সরকার) রেলমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী যখন সেখানে গেছেন তখন আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেদের জিজ্ঞাসা করেছেন এর জন্য দায়ী কে, কারা করেছে? তখন তারা বলেছেন, আপনার (মন্ত্রী) পাশে যারা যারা আছে তারাই এজন্য দায়ী, আওয়ামী লীগের লোকেরা করেছে। কীভাবে দেশ চালায়? পর পর তিন দিন বিস্ফোরণ হলো। সায়েন্স ল্যাবরেটরীর কাছে হলো, চট্টগ্রামে হলো, সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ১৯ জন প্রাণ দিয়েছেন। কারো কোনো দায় নেই। সরকার চালাচ্ছো তোমরা? তোমাদের সব প্রতিষ্ঠান আছে- যাদের দায়িত্ব হচ্ছে এগুলো দেখা যে, কোথায় ঠিক মতো আছে কিনা, সেগুলোর দিকে তোমাদের কোনো নেই। নজর একটাই চুরি করা, দুর্নীতি করা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজমদ খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, রকিবুল ইসলাম বকুল, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, অঙ্গসংগঠনে মহিলা দলের হেলেন জরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ ও ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন- ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এডেজএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের মাহবুবুল হাসান ভূইয়া পিংকু, কামাল আনোয়ার আহমেদ প্রমুখ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাগুরায় দলকে গতিশীল করতে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজারে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু, জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে ভুয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা
সেনবাগে ট্রাক্টর চাপায় ১ শিশু মৃত্যু : আহত ১
আ.লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের
ঢাকা ফাইট নাইট ৪.০-এ জয়ী মোহাম্মদ ‘রয়্যাল বেঙ্গল’ ফাহাদ
শহীদ আবু সাঈদকে কটূক্তি, ক্ষমা চাইলেন কিশোরগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া
মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন
টাঙ্গাইলে কাকুয়ায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষ থেকে সুবিধা বঞ্চিত গরীব অসহায়দের শীতবস্ত্র বিতরণ
নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর আদালতে আ:লীগের সাবেক এমপি আসাদের রিমান্ড মঞ্জুর
বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জবর দখল করে ছাদ ঢালাই
লাকসামে সরকারি খাল পাড়ের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়
কালিহাতীতে মারামারির সন্ধিগ্ধ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড দলে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
ঝিকরগাছায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কেবল সেবন নয় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারকারা, ডিসেম্বরের পরে দেখে নেবে কে?
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর