পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে পর্যবেক্ষকে আপত্তি নেই ইসির : কমিশনার আলমগীর
০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
দেশি বা বিদেশি কোনো পর্যবেক্ষক নিয়ে চাপ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয় নিয়ে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। আর চাপ থাকবে কেন। আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে যে, আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কি না, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কি না। তারা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তারা এগুলো দেখেন। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকে না।
তিনি বলেন, এবারও ব্যালটেই হবে। আগেও যেভাবে এগুলো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হতে পারে সেজন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। তার মধ্যে যেমন একটা, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠাই। তবে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে বা উন্নত না হয়, সেক্ষেত্রে একটু আগে পাঠাই। যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট ৮টায় শুরু করলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই যেখানে পৌঁছাতে পারবে সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই।
ইসি আলমগীর বলেন, যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, ব্যালট এভাবেই সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়ত নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলো চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাব। পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হতে পারে, সেটাও খেয়াল রাখব।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, বিষয়টি আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়নি তেমন। ফরমাল কোনো আলোচনা হয়নি। চিন্তাভাবনা নেই। কারণ আপনারা জানেন যে, ৩০০ আসনে যখন ভোট হয়, চার লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়ত বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে। এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা করব। মানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব। সবগুলো দল যদি অংশগ্রহণ করে সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ তারা জানেন যে, নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয় বা খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠক বর্জন করবে লেবার পার্টি
দেশে ফিরতে চান মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া অভি
দুর্নীতির মাধ্যমে পুতুলের ডব্লিউএইচও'র পদ পাওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
বাড়িতে ঢুকে সাইফ আলিকে ৬ বার ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তি
রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন
মোংলায় সড়কের ওপর রাখা পাথরের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভটভটিতে থাকা দুই যাত্রীর মৃত্যু, আহত ৪
গাজায় ঐতিহাসিক পরাজয় ইসরাইলের
১৭ বছর পর আজ দুপুরে কারামুক্ত হচ্ছেন বাবর
দীর্ঘ এক যুগ পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান
আজ কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী, নেতৃত্বে সারজিস আলম
বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল সাহির শমসদ
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইলের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’: হামাস
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় হামলা ইসরাইলের, নিহত অন্তত ৩০
জুলাই ঘোষণা : কারা যাচ্ছেন আজকের বৈঠকে
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল
যে সব শর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি
এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫