ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

মেরে, ধরে, গুম, খুন করে ফ্যাসিস্ট সরকার কিছুটা আয়ু বাড়াতে পারে, তবে যেতে হবে : আমীর খসরু

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ পিএম | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মেরে, ধরে, গুম, খুন করে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার সাময়িক কিছু সময়ের জন্য আয়ু বাড়াতে পারে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার ম্যাক্সিমাম যেটা করতে পারে, সেটা হলো তার আয়ু কিছু বাড়িয়ে নিতে পারে। আবার নাও পারতে পারে। কিছু আয়ু হলেও বাড়তে পারে, তবে এই সরকারকে যেতে হবে। টাইম শেষ। তাদের বিদায় নিতেই হবে।

আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘১/১১ ষড়যন্ত্র, আজকের প্রেক্ষাপট : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। বিশ্ব বিবেক, বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে, জনগণের পক্ষে আছে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে এইজন্য আগামী দিনগুলোতে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেকটা ঘণ্টা, প্রত্যেকটা দিন আন্দোলনের সাথে সবাইকে থাকতে হবে। এই দুইটা মাস দেশের মানুষের জন্য স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হলো একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অপর রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দিতা; জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। এখানে একটি দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য একটি দল বা একাধিক দলের সাথে। কিন্তু এখন তো দেশ চালাচ্ছে একটি রেজিম। অনেকেই হয়তো বলবে যে আওয়ামী লীগের কথা। কিন্তু দুঃখিত, এখানে আওয়ামী লীগের কিছু নাই। এটা একটা রেজিম, তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছে। এই রেজিমকে দূর করতে হবে। আমাদের আন্দোলন তো এই রেজিমের বিরুদ্ধে হচ্ছে। এটিকে দূর করতে হলে সমস্ত জাতিকে একত্রিত হতে হবে। দেশে এখন আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।

তিনি বলেন, ১/১১ এর মাধ্যমে যেটা হয়েছে সেটা হলো দেশের গণতান্ত্রিক যে কাঠামো.. সেখানে তারা আঘাত করেছে। রাজনীতিতে এই লোকগুলোর আসার কোনো অধিকার নেই। রাজনীতিতে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচনটা হয়েছে, সংবিধানে আছে সংসদ বাতিলের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তো সেই নির্বাচন হয়েছে দুই বছর পর। তাহলে এটা কি সংবিধানসম্মত হয়েছে? এটা সংবিধানের বাইরে না? আমরা সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম তাই জনগণের প্রত্যাশায় প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু এখন সে প্রতিফলনকে আবার একটি ভোট চুরির প্রকল্প বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক ঐকমতের ভিত্তিতে যে নির্বাচন হবে সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছে। সংবিধানের সাত ধারাতে বলা হচ্ছে সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সেইটার সাথে তারা বেইমানি করছে। ভাঁওতাবাজি করছে সংবিধানের নাম ধরে। সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের কথা ছিল, সেটা জাতীয় ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে। যে সংবিধানে জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, জাতীয় ঐক্যমতের প্রতিফলন ঘটেনি, সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে এগুলো তারা করতে পারে না। কেয়ারটেকার সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান ও অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নাম ভাঙিয়ে তদবির-টেন্ডারবাজি: সতর্ক করলেন সারজিস
দেশে ফিরতে চান মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া অভি
দুর্নীতির মাধ্যমে পুতুলের ডব্লিউএইচও'র পদ পাওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
১৭ বছর পর আজ দুপুরে কারামুক্ত হচ্ছেন বাবর
দীর্ঘ এক যুগ পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান
আরও

আরও পড়ুন

লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুন টর্নেডোর’ আশঙ্কা

লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুন টর্নেডোর’ আশঙ্কা

দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু

দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু

মোংলায় ভটভটি উল্টে ২ জন নিহত, আহত ২

মোংলায় ভটভটি উল্টে ২ জন নিহত, আহত ২

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রকাশ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রকাশ

নাম ভাঙিয়ে তদবির-টেন্ডারবাজি: সতর্ক করলেন সারজিস

নাম ভাঙিয়ে তদবির-টেন্ডারবাজি: সতর্ক করলেন সারজিস

গুলশান থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত ছেলে’ গ্রেফতার

গুলশান থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত ছেলে’ গ্রেফতার

আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার

আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার

বায়ুদূষণে আজ সবার শীর্ষে ঢাকা

বায়ুদূষণে আজ সবার শীর্ষে ঢাকা

শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়

বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়

ব্যাংক খাত নিপুন কারিগরের মতো যেভাবে ধ্বংস করেন এসকে সুর

ব্যাংক খাত নিপুন কারিগরের মতো যেভাবে ধ্বংস করেন এসকে সুর

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠক বর্জন করবে লেবার পার্টি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠক বর্জন করবে লেবার পার্টি

দেশে ফিরতে চান মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া অভি

দেশে ফিরতে চান মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া অভি

দুর্নীতির মাধ্যমে পুতুলের ডব্লিউএইচও'র পদ পাওয়ার অভিযোগ:  দুদকের অনুসন্ধান শুরু

দুর্নীতির মাধ্যমে পুতুলের ডব্লিউএইচও'র পদ পাওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বাড়িতে ঢুকে সাইফ আলিকে ৬ বার ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তি

বাড়িতে ঢুকে সাইফ আলিকে ৬ বার ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তি

রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন

রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন

মোংলায় সড়কের ওপর রাখা পাথরের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভটভটিতে থাকা দুই যাত্রীর মৃত্যু, আহত ৪

মোংলায় সড়কের ওপর রাখা পাথরের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভটভটিতে থাকা দুই যাত্রীর মৃত্যু, আহত ৪

গাজায় ঐতিহাসিক পরাজয় ইসরাইলের

গাজায় ঐতিহাসিক পরাজয় ইসরাইলের

১৭ বছর পর আজ দুপুরে কারামুক্ত হচ্ছেন বাবর

১৭ বছর পর আজ দুপুরে কারামুক্ত হচ্ছেন বাবর

দীর্ঘ এক যুগ পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান

দীর্ঘ এক যুগ পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান