সরকারি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দুই হাজার কোটি টাকা
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৫ এএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৫ এএম
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর-অধিদপ্তরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। এই বিল আদায়ে ২০১০ সালের পর থেকে দফায় দফায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক, চিঠি চালাচালি হয়েছে। তারপরও বিল আদায় হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলছেন, বিল পরিশোধ না করলে সরকারি দপ্তরেরও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত। তবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বকেয়া আদায়ে জোর তৎপরতা চলছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, সরকারি প্রায় ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই হাজার কোটি টাকা বকেয়া জমা পড়ে আছে। এই হিসাব চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। বাকি সময়ে বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়েছে।
হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরÑ ৮৫৬ কোটি টাকা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ৪৩৫ কোটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৬৬ কোটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আড়াই কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৫০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সরকার নানা সোর্স থেকে অর্থসংস্থান করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। অথচ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাওনা দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে।
তিনি বলেন, এ বিল আদায়ে বছরের পর বছর বৈঠক, চিঠি চালাচালি হয়ে আসছে। তবে এসব যেন একটা রুটিনওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। বিষয়টা খামখেয়ালির পর্যায়ে চলে এসেছে। ওই কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে বলেন, বেসরকারি গ্রাহকদের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরেও একই কাজ করা উচিত।
প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান এবং ডলার সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অর্থ বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেনদরবার করেও অর্থ ছাড় করাতে পারছে না বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। অথচ এ অবস্থায়ও খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি তাদের আওতাধীন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পাবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের (সমন্বয়) সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিতরণ কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিদ্যুতের বকেয়ার হিসাব তুলে ধরেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক বৈঠকে বৈশি^ক সংকট এবং বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানিতে অর্থ সংকটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্টদের বকেয়া আদায়ের তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি মন্ত্রণালয় বা সংস্থা, সিটি করপোরেশনগুলোর বিল আদায়ে চিঠি পাঠানো এবং নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন আজহারী
‘মা’ দেশ স্বাধীন করেছি- মৃত্যু শয্যায় শহীদ সাব্বির
নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০
লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম
বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু
মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত