মোদীর ডিগ্রি বিতর্ক নিয়ে যা বলল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ এএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। এমনকি মোদির বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি নিয়ে তথ্য জানতে চাওয়ার কারণে ২০২৩ সালে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জরিমানাও করা হয়েছিল।
আর এবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে, শুধুমাত্র কারও কৌতুহল মেটানো তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের লক্ষ্য হতে পারে না। নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি বিতর্কে সোমবার একথা জানায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দিল্লি হাইকোর্টে জানান, আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু, কারও ব্যক্তিগত কৌতুহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয় বলে জানান সলিসিটর জেনারেল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মোদির ডিগ্রি বিতর্কে আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। আরটিআই কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পাস করা সব শিক্ষার্থীর তথ্য প্রকাশ করতে বলে কমিশন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে মেহতা জানান, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না।
সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার সঙ্গে স্বচ্ছতা বা জবাবদিহির কোনও সম্পর্ক নেই। তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়ার ফলে আরটিআই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মোদির ডিগ্রি বিতর্কে এই মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব শিক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাস করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান তিনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এ ভাবে দেওয়া যাবে না। তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান আরটিআই কর্মী। তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে কমিশন ওই তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়।
কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরে পাস করা শিক্ষার্থীদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ঘটনাচক্রে ওই বছরেই স্নাতক পাস করেন মোদিও। ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলার প্রথম শুনানিতেই কমিশনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সার ও বীজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
বিএনপি কেন এ বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায় ?
খুলনায় ভিডিপি সদস্যদের মটর ড্রাইভিংও মেকানিক্স প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমাধানে চার উপদেষ্টা পেলেন বিশেষ দায়িত্ব
বাস্তুচ্যুত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন তারকা বিয়ন্সে
‘জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার, ঘোষণা পরে’
আকাশে আলোর ঝলকানি, সাকরাইন উৎসবে মাতোয়ারা পুরান ঢাকা
বিশ্বনাথ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের ২৮তম টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট লীগের ট্রফি উন্মোচন
টিউলিপের বিরুদ্ধে শিগগিরই আসছে ব্রিটিশ তদন্ত প্রতিবেদন
বিশ্বনাথে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক’ সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ওমরাহ টিকিটে তুঘলকি কান্ড রমজানে টিকিটের দাম ৯০০ ডলার
৮ মহিলাকে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক
জেদ্দায় হজ-ওমরাহ মেলা পরিদর্শনে ধর্ম উপদেষ্টা
জবি ছাত্রদলের বিবৃতি, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না সংগঠন
শিশুদের জন্য সহায়তায় সেন্ট্রো টেক্স লিমিটেড ও এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন
মাজারে হামলা-হুমকিতে সরকার নিষ্ক্রিয় কেন? ডা: জাহেদ উর রহমান
মানুষ চায় জনগণের সরকার : আমিনুল হক
বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বিকাশ পেমেন্টে, সাথে থাকছে ক্যাশব্যাক-কুপন
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ নিয়ে এলো ইউসিবিডি
কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬০তম সভা অনুষ্ঠিত