ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে -এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

Daily Inqilab কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা

১৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন যে হবে না তা তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন। তার নির্বাচনে বিরোধী দল থাকে জেলখানায়। তার নির্বাচনী মাঠ শূন্য করার জন্য একের পর এক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আপনারাই আন্দোলন করেছিলেন। জ্বালাও পোড়াও করেছিলেন। আপনারাই বিভিন্ন গাড়ি পুড়িয়েছিলেন। পরে সব দল মিলে তত্ত্বাবধায় সরকার ঘটিত হয়। এখন বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আপনারা পাকিস্তানে যান। তত্ত্বাবধায় সরকার তো আপনাদের দাবির ফল। তাহলে এখন বলব পাকিস্তানের নেতারা শেখ হাসিনার ছাত্র। তিনি আজ শনিবার সকালে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা জনি টাওয়ার এলাকায় ঢাকা জেলা বিএনপি উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন বেগম খালেদা জিয়া চার বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমরা প্রায়ই বলি। আমাদের আশঙ্কা হয় যে এবং আমাদের ধারণা বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিশ্বাস করার জন্য তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে ভয় ছিল বেগম খালেদা জিয়া। তাই পথের কাঁটা দূর করার জন্য এবং নির্বাচনী ময়দান খালি করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে এবং আইন আদালত ব্যবহার করে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সে সুষ্ঠু মানুষ হিসেবে কারাগারে ঢুকলেন। আর আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখন তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।কারণ শেখ হাসিনার বিরাট চক্রান্তের অংশ বেগম খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া।কারণ তিনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী সেই রাজনৈতিক আদর্শ হচ্ছে সেখানে এক নেত্রী থাকবে, একদল থাকবে। কেউ কথা বলবে না।শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ কোন শব্দ উচ্চারণ করবে না । যে করবে তার দশা হবে যে সে গুমের শিকার হবে, না হয় সে বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হবে। এই কারণে তিনি একের পর এক নীল নকশা তৈরি করছেন। এইজন্য বেগমখালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছেন। তিনি তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। কারণ বিদেশে চিকিৎসা করতে দিলে সেখানে ধরা পড়বে তার খাবারের মধ্যে বিষ মিশানো হয়েছে কি না। এই পদযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায়চৌধুরী,,বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, ধামরাই উপজেল পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তমিজউদ্দিন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বিএনপি'র সভাপতি মনির হোসেন মিনু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মুজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমূখ। এই পদযাত্রায় ঢাকা জেলার সাতটি থানা এলাকার হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করে।পদযাত্রাটি জনিটাওয়ার থেকে শুরা করে কদমতলী গোলতত্ত্বর এসে শেষ হয়।


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মেজর এম.এ জলিলকে বীর উত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে : মেজর হাফিজ
বিএনপি ক্ষমতায় এলে চাকরিপ্রত্যাশীদের ১ বছর রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে: আমীর খসরু
ফ্যাসিস্ট হাসিনা কাউকে রেহাই দেয়নি, জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন: রিজভী
বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হবেন বিপ্লবী, তাদের চেতনা থাকবে গতিশীল: রিজভী
বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই: দুলু
আরও

আরও পড়ুন

যশোরে ব্যবসায়ীর পায়ে গুলি সাবেক এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা থানায় রেকর্ড

যশোরে ব্যবসায়ীর পায়ে গুলি সাবেক এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা থানায় রেকর্ড

যশোরে একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাহিদুল

যশোরে একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাহিদুল

ইমনের সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে খুলনা

ইমনের সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে খুলনা

টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরানো হলো প্রথম আলোর সামনে অবস্থানকারীদের

টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরানো হলো প্রথম আলোর সামনে অবস্থানকারীদের

নাইমের ১৮০, মেট্রোর বড় সংগ্রহ

নাইমের ১৮০, মেট্রোর বড় সংগ্রহ

রাজার বোলিংয়ে অলআউট বরিশাল

রাজার বোলিংয়ে অলআউট বরিশাল

দেশের টাকা পাচার করে হাসিনা ও তাঁর দোসররা দেশকে দেউলিয়া করে গেছে পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ করতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম

দেশের টাকা পাচার করে হাসিনা ও তাঁর দোসররা দেশকে দেউলিয়া করে গেছে পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ করতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম

এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠক

বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠক

৫ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪

৫ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪

থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না শাহাদাত

থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না শাহাদাত

গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা কী ছিল? জানতে চান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা কী ছিল? জানতে চান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা : রিজভী

নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা : রিজভী

ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দেশে এলো অ্যাপ ‘পারলো’

ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দেশে এলো অ্যাপ ‘পারলো’

সীমান্তর লক্ষ্য এসএ গেমসের হ্যাটট্রিক স্বর্ণ জয়

সীমান্তর লক্ষ্য এসএ গেমসের হ্যাটট্রিক স্বর্ণ জয়

বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান

বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান

নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান

নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন

লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন

১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক

১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে