বরিশালের পেয়ারা
০৩ জুন ২০২৩, ০৮:১১ পিএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩, ০১:০২ এএম
বৃহত্তর বরিশাল পেয়ারার জন্য বিখ্যাত। ঝালকাঠি-পিরোজপুরের আটঘরÑকুড়িআনা এলাকায় মিষ্টি ও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ‘মুকুন্দপুরী’, ‘লতা’ ও ‘পুর্নম-ল’ জাতের পেয়ারার আবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে শত শত বছর ধরে। শ্রাবণ-ভাদ্র থেকে আশি^নের মধ্যভাগ পর্যন্ত বরিশাল-ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের ব্রান্ডিং পণ্য পেয়ারার ভরা মৌসুম। ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের আটঘর, শতদশকাঠি, কাফুরাকাঠি, ভীমরুলি, জিন্দাকাঠি, ডুমরিয়া, খাজুরিয়া, বাউকাঠি, বেতরা, হিমানন্দকাঠি, পোষন্ডা, রমজানকাঠি, সাওরাকাঠি ও কাঁচাবালিয়াসহ বানরীপাড়ার বেশ কিছু গ্রামে প্রতিবছরই প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টন পেয়ারা উৎপাদিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিলে এ অঞ্চলে পেয়রার উৎপাদন ৫০ হাজার টন অতিক্রম করবে বলেও আশাবাদী উৎপাদকগণ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের মতে, দেশে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ টন পেয়ারা উৎপাদন হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারি’র বিজ্ঞানীগণ ইতোমধ্যে উন্নত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল অন্তত ৫টি পেয়ারার জাত উদ্ভাবন করেছেন। বহুবিধ গুণাগুণ ও পুষ্টিগুণের কারণে কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় পেয়ারাকে ‘নিরক্ষীয় অঞ্চলের আপেল’ বলা হয়। টাটকা খাবার ছাড়াও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে পেয়ারা থেকে জ্যাম, জুস ও জেলীসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। পেয়ারায় খাদ্যমান ৮-১৩%। প্রতি ১শ গ্রাম পেয়ারায় ২১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
আটঘর-কুড়িয়ানা খ্যাত বাগান থেকে ছোট ও মাঝারী নৌকায় করে বিপুল পরিমাণ পেয়ারা ভিমরুলীর ভাসমান হাটে নিয়ে আসে চাষিসহ বাগান পর্যায়ের ক্রেতারা। সেখান থেকে পাইকারসহ খুচরা ব্যবসায়ীরা পেয়ারা কিনে নিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন বাজারে। ট্রলার ছাড়াও লঞ্চ, বাস, পিকআপ ও ট্রাকে করেও ভিমরুলী থেকে পেয়ারা যায় দেশের বিভিন্ন বাজার ও মোকামে। আটঘর-কুড়িআনার এ পেয়ারা দেশের গন্ডি পেরিয়ে গত এক দশক ধরে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার আগরতলা বাজারেও বিক্রী হচ্ছে।
আটঘর-কুড়িয়াআনায় এখন পোয়রার সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির লেবু ছাড়াও আমড়ার আবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে। দেশের সিংহভাগ আমড়ার উৎপাদন হচ্ছে ঝালকাঠি সদর, বরিশালের বানরীপাড়া এবং পিরোজপুরের নেসারাবাদ, নাজিরপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এলাকায় অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে মাটি কেটে লম্বা ঢিবি তৈরি করে ‘সার্জন’ পদ্ধতিতেও পেয়ারার সাথে লেবু ও আমড়ার আবাদ হয়ে আসছে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারি উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিতে বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির আবাদের সম্প্রসারণ ঘটছে। এতে করে পেয়ারাসহ এর সাথী ফসল আবাদে যথেষ্ঠ পরিবর্তন এসেছে। ফলে যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও ফসলের নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত হচ্ছে।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
বিষয় : year
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যশোরে একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাহিদুল
ইমনের সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে খুলনা
টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরানো হলো প্রথম আলোর সামনে অবস্থানকারীদের
নাইমের ১৮০, মেট্রোর বড় সংগ্রহ
রাজার বোলিংয়ে অলআউট বরিশাল
দেশের টাকা পাচার করে হাসিনা ও তাঁর দোসররা দেশকে দেউলিয়া করে গেছে পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ করতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠক
৫ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪
থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না শাহাদাত
গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা কী ছিল? জানতে চান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা : রিজভী
ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দেশে এলো অ্যাপ ‘পারলো’
সীমান্তর লক্ষ্য এসএ গেমসের হ্যাটট্রিক স্বর্ণ জয়
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত