বিজয় এসেছে, মুক্তি আসেনি
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম
৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাবেক পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয় এবং বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের দাবি এই যে, তারা ১৯৬২ সাল থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং গোপনে কাজও করে যাচ্ছিল। এই দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দাবি করা হয়েছে আরো একাধিক পত্র পত্রিকায়। ছাত্রলীগের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার আওয়াজ সর্বাগ্রে তুলেছিলেন তিনি হলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি একটি পুস্তক রচনা করেছেন। নাম, ‘আমি সিরাজুল আলম খান: একটি রাজনৈতিক জীবনালেখ্য’। এই পুস্তকে দাবি করা হয়েছে যে, সিরাজুল আলমের নেতৃত্বে ষাটের দশক থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি নিউক্লিয়াস গঠন করা হয়। এই নিউক্লিয়াসের আরেক সদস্য ছিলেন কাজী আরেফ। অবশ্য নিউক্লিয়াস সম্পর্কিত সিরাজুল আলম খানের দাবি সরাসরি নাকচ করেছেন আওয়ামী লীগের অপর দুই নেতা। এরা হলেন তোফায়েল আহমেদ এবং আমীর হোসেন আমু। এরা দুজনই জীবিত আছেন।
তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ’৬২ সাল থেকেই হোক বা ’৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকেই হোক, এই সংগ্রাম বা যুদ্ধের সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছিল দুইটি। একটি হলো পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি কর্তৃক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা। এটিকে বলা হয়েছে, পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন লাভ। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ৬ দফা দেন, সেই ৬ দফাকে আওয়ামী লীগের স্বায়ত্বশাসনের পূর্ণাঙ্গ রূপ বললেও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. নুরুল ইসলাম বলেন যে, ৬ দফা আসলে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনের দাবি ছিল না। এটি ছিল পাকিস্তানকে ফেডারেশন থেকে একটি কনফেডারেল রাষ্ট্রে রূপান্তরের রূপরেখা। প্রাক স্বাধীনতাকালে শেখ মুজিবের যারা প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন ড. নুরুল ইসলাম। অন্য দুইজন হলেন ড. আখলাকুর রহমান এবং অধ্যাপক রেহমান সোবহান। ড. নুরুল ইসলাম এবং আখলাকুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন।
স্বায়ত্বশাসন বলি, ফেডারেশন বা কনফেডারেশন যাই বলি না কেন, ১৯৭১ এ স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্থনৈতিক বৈষম্যের ইস্যুটি চিরতরে ফয়সালা হয়ে গেছে। ১৯৪৯ সালে প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ এবং পরবর্তীতে সেই আওয়ামী মুসলিম লীগের আওয়ামী লীগে রূপান্তরের পর থেকে দলটির এক নম্বর এজেন্ডা ছিল পাকিস্তানে সাচ্চা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। আসল ঘটনা হলো ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর জিন্নাহর দক্ষিণ হস্ত পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের হত্যার পর থেকে সমগ্র পাকিস্তানে গণতন্ত্র কতিপয় সিভিল ও মিলিটারি ব্যুরোক্রেসির চক্রান্তে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের চোরাগলি পথে নিক্ষিপ্ত হয়। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ থেকে শুরু করে জেনারেল আইয়ুব খান পর্যন্ত সমগ্র সময় ছিল গণতন্ত্রহরণের যুগ।
॥দুই॥তখন আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সমগ্র পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগের ছিল তিনটি স্তম্ভ। এক নম্বর হলেন শীর্ষ নেতা সোহরাওয়ার্দী। দুই নম্বর হলেন তৎকালীন বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক ইত্তেফাক এবং তার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। অপর স্তম্ভ ছিলেন দল গঠন ও বিস্তারের ক্ষেত্রে তুলনাহীন সংগঠক শেখ মুজিবুর রহমান। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে ইত্তেফাক এবং সেই সুবাদে সমগ্র আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলে সম্বোধন করতো। সোহরাওয়ার্দী সাহেব ঢাকায় এলে সাধারণত মানিক মিয়ার বাসভবনে উঠতেন। যখন তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই তার জীবনের লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি সক্রিয়া ভূমিকা গ্রহণ করলেও ১৯৪৬ সালে তিনি বর্তমান বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মিলে অখন্ড বাংলা প্রতিষ্ঠার অক্লান্ত সংগ্রাম করেন। হিন্দু নেতাদের বিরোধিতা ও অসহযোগিতার কারণেই সেই যুক্তবাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সফল হয়নি।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বেশ কিছুদিন পর সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানে আসেন। তিনি ১৯৫৪ সালে ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নির্মাতা ছিলেন তিনি। যুক্তফ্রন্টের অপর দুই নির্মাতা হলেন মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, ঋণ সালিশী বোর্ড করে যিনি বাংলার কৃষকদের ঋণ থেকে মুক্ত করেছিলেন সেই বাংলার বাঘ খ্যাত শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। এই তিন নেতাই আজ আমাদের মাঝে নাই। কিন্তু এই তিন নেতারই আজীবন রাজনৈতিক সংগ্রামের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল সাবেক পাকিস্তানে নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
পাকিস্তানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অন্যান্যদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নে সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অন্যতম প্রধান কারিগর। ঐ শাসনতন্ত্রের অধীনে তিনি ১৩ মাসের জন্য পাকিস্তানের গণপরিষদে মাত্র ১৩ জন সদস্য নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র ছিলেন বলে সোহরাওয়ার্দীর অন্যতম প্রধান কাজ ছিল সারা পাকিস্তানে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্ভেজাল সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এজন্য ১৯৫৮ সালে সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজনও করছিলেন তিনি। কিন্তু সেই নির্বাচনের আগেই নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান সারা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন। আইয়ুব খানের আমলেই সোহরাওয়ার্দী তার জীবনে সর্ব প্রথম গ্রেফতার হন। তার গ্রেফতারের পর সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল গণআন্দোলন শুরু হয়। এই গণআন্দোলনের মুখ্য শ্লোগান ছিল সামরিক শাসনসহ সব ধরনের স্বৈরাচারি শাসনের অবসান করে খাঁটি পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
॥তিন॥সোহরাওয়ার্দী তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। তার আগেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিব একই সাথে দুইটি এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিয়ে গণআন্দোলন করেন। প্রথমটি হলো গণতন্ত্র। দ্বিতীয়টি হলো পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মুক্তি। আগেই বলেছি যে, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের ইস্যুটি চিরকালের জন্য ফয়সালা হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, গণতন্ত্রের ইস্যুটির আজও বাংলাদেশিদের কাছে সোনার হরিণ হয়ে আছে।
১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থনে ভারত সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করলে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন পূর্বাঞ্চল স্বাধীন বাংলাদেশ হয়। সুতরাং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিদের (এখন বাংলাদেশিদের) ভৌগোলিক বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু তার আগের ২৪ বছর ধরে তাদের কাক্সিক্ষত গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রথমবার স্বাধীনতার প্রায় তিন বছর পর বহুদলীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয় এবং একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর ৯ বছর ধরে এরশাদের সামরিক শাসন বা সিভিলিয়ান স্বৈরশাসন। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদের পতন হয়। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়ার সরকার দেশটিকে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির শাসন থেকে বহুদলীয় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১৭ বছর ধরে নির্ভেজাল গণতন্ত্রের স্বাদ উপভোগ করে মানুষ।
২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই গণতন্ত্র সংকুচিত হতে শুরু করে। এখনকার কী অবস্থা সেটি দেশবাসী সবই জানেন। একটি নির্বাচন করা হচ্ছে। কিন্তু সেটি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। ড. আলী রিয়াজসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবী এটিকে ইলেকশন না বলে সিলেকশন বলছেন। ২০২৩ সালে কারাগারে ১০২ জন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে। নির্বাচনের সময় তফসিল ঘোষণা করা সত্ত্বেও গত ১ মাসে ১ হাজার নেতাকার্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বিগত ২ মাসে ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিরোধী দলের ১০ লক্ষ লোকের সভায় প্রচন্ড পুলিশী ক্র্যাকডাউন করে সেই সভাকে ভন্ডুল করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক ফ্রন্টের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। পিঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা। কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা। এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য রকেটের গতিতে ঊর্ধ্বমুখী। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের জীবনে অর্থনৈতিক চাপে নাভিশ^াস উঠেছে। দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা পূরণে অক্ষম। তাই ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভৌগোলিক স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো সুদূরপরাহত।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ