জামাল-ইমামে লড়াইয়ে পাকিস্তান
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম
ব্যাটে-বলে দারুণ একটা দিন পার করল পার্থ টেস্ট। হাতের ৫ উইকেট হারিয়ে মিচেল মার্শের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়া যোগ করল ৯০ রান। অভিষেকে পাকিস্তানের হয়ে ৬ উইকেট নিলেন আমের জামাল। এরপর স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে লড়াই করল পাকিস্তানের টপ অর্ডার। দিনের শেষ সময়ে অধিনায়ক শান মাসুদ আউট না হলে হয়ত কিছুটা এগিয়ে থেকেই দিন শেষ করতে পারত সফরকারীরা।
পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩২ রান। এখনও তারা ৩৫৫ রানে পিছিয়ে। ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪৮৭ রানে।
প্রথম দিনের দুই উইকেটের পর এদিন চারটি শিকার ধরেন জামাল। ১১১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংস শেষ করেন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৭ বলে ৯০ রানে আউট হন মার্শ।
জামালের বোলিং ফিগার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সফরকারী কোনো বোলারের অভিষেকে তৃতীয় সেরা। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্যারিয়ার অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের সৈয়দ আবিদ আলী। অ্যাডিলেডে ১৯৬৭ সালে ৫৫ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। আবিদের ৩ বছর আগে একই কীর্তি ছিল জামালের পূর্বসূরি আরিফ বাটের। মেলবোর্নে তিনি নিয়েছিলেন ৮৯ রানে ৬ উইকেট।
সব মিলিয়ে অভিষেকে ৫ বা এর বেশি উইকেট নেওয়া ১৪তম পাকিস্তানি বোলার হলেন জামাল। এ ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে আর পাঁচ পাকিস্তানি বোলারের। ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আরেক পেসার মোহাম্মদ জাহিদ। ক্যারিয়ারে পাঁচটি টেস্ট খেলা জাহিদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে।
পাকিস্তানের পেসারদের মধ্যে অভিষেকে সবশেষ ৫ উইকেট নিতে পেরেছিলেন তানভির আহমেদ। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবু ধাবিতে ১২০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এবারের পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানি বোলারদের সাফল্য খরাও কাটালেন জামাল। পাকিস্তানের কোনো বোলার অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ ৫ উইকেট নিতে পেরেছিলেন ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে ৬ উইকেট নেন সুইং বোলার মোহাম্মদ আসিফ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১ রানে ৫ উইকেট নেন লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।
বল হাতে দারুণ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার মিচেল স্টার্ক, জস হেইজেলউড ও প্যাট কামিন্সও। তবে পাক টপ অর্ডার ছিলেন লড়াকু মানসিকতায়। টিকে থাকার সংগ্রামে শেষ পর্যন্ত অজিদের হয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন নাথান লায়ন। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিদায় নেন আব্দুল্লাহ শফিক। ৩৭তম ওভারে ভাঙে ৭৪ রানের ওপেনিং জুটি। ১২১ বলে ৬ চারে ৪২ রান করেন আব্দুল্লাহ।
এই ম্যাচে দিয়েই অধিনায়কত্বের অভিষেক হওয়া মাসুদ ভালো কিছুর আভাস দিতে দিতে কট বিহাইন্ড হয়ে যান স্টার্কের বলে। মাসুদ ফেরেন ৪৩ বলে ৫ চারে ৩০ রান করে। এরপর এদিন আর খেলা হয়েছে সাড়ে তিন ওভার। এজন্য আর ব্যাটিংয়ে নামেননি বাবর আজম। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামেন আরেক অভিষিক্ত খুররাম শেহজাদ। ১৮ বল খেলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন এই অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের ভরসা হয়ে টিকে আছেন ইমাম-উল হক। এই ওপেনার ব্যাট করছেন ১৩৬ বলে ৩৮ রানে।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে বৈষম্য কতটা প্রকট: সাধারণের অবস্থান কোথায়
কোরআন তেলাওয়াত আমাদের হৃদয়ে প্রশান্তি দান করে: কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
ড. ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলের রায়ে আইনি দুর্বলতা পাননি আপিল বিভাগ
শেরপুরে জামায়াতের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত
চুয়াডাঙ্গা শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান থেকে হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় এক অচেতন সেনা সদস্য উদ্ধার
আফগানিস্তানে এবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের
মাওলানা মামুনুল হক আমির জালালুদ্দীন মহাসচিব নির্বাচিত
বসুন্ধরায় ফ্যাশন ব্রান্ড ‘হিজাবিয়ানা’র আউটলেট উদ্বোধন
‘সরকার এতই যোগ্য যে, থানা থেকে ওসি পালিয়ে যায় কিন্তু টেরই পায় না’: মাহমুদুর রহমান মান্না
সাংবাদিকতা হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয়: কাদের গনি চৌধুরী
জিয়া পরিবারের জন্য বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকে আছে - যুবদল নেতা রেজাউল কবীর পল
বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট
কুষ্টিয়ায় ৮ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত, আহত-৩
তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি, দায় নিলেন সড়ক উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
মাদারীপুরের কালকিনিতে মটরসাইকেলের ধাক্কায় কিশোর নিহত
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটে একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন ড. ইউনুস
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার কমিটি গঠন
জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে : ড. বিধান রঞ্জন