সুখস্মৃতি নিয়ে ঢাকায় মুস্তাফিজ

Daily Inqilab স্পোর্টস রিপোর্টার

০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ এএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ এএম

 জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে নেই মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু তারপরও এই সিরিজের জন্য দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ শেষে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকায় পা রেখেছেন কাটার মাস্টার। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির লজিস্টিক বিভাগের সজিব আহমেদ।
মূলত টানা খেলার ধকল কাটিয়ে উঠতে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রাথমিকভাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে অনাপত্তি দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ ১ মে ম্যাচ থাকায় এক দিনের ছুটি বাড়ানোর অনুরোধ করা হয় চেন্নাই সুপার কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। ক্রিকেট বোর্ড সাড়া দিলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান তিনি। তবে নিজের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আগের দিন প্রথমবারের মতো এবারের আইপিএলে উইকেটশূন্য থাকেন মুস্তাফিজ। উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। ৪ ওভারে একটি মেইডেন সহ দিয়েছেন ২২ রান। এরমধ্যে ডট বল ছিল ১৪টি। তবে ৫টি ওয়াইড বল দেওয়ায় খরচটা বেড়ে যায় তার।
সবমিলিয়ে ৯ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৯.২৬ করে রান দিয়ে ১৪ উইকেট নিয়ে জাসপ্রিত বুমরাহ ও হার্শাল প্যাটেলের সঙ্গে যৌথভাবে এখনও আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুস্তাফিজ। শেষ ম্যাচে একটি উইকেট পেলেও ‘পার্পল ক্যাপ’ মাথায় নিয়ে দেশে ফিরতে পারতেন এই বাংলাদেশি পেসার। নিজের সাত আসরে এর আগে একবারই এরচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে নিজের প্রথম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭টি উইকেট। সেবার শিরোপা স্বাদও পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ ম্যাচে পান ১৪ উইকেট।
এবারের আসরের শুরুটা দুর্দান্ত দক্ষতায় শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ২৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন কাটার মাস্টার। শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত প্রতি ম্যাচেই অন্তত একটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। ১০ ম্যাচে ৫টি করে জয় ও হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে আছে তার দল চেন্নাই।

 


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুমকীতে কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-৫

দুমকীতে কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-৫

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের ইন্তেকাল

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের ইন্তেকাল

রাজবাড়ীতে ভোট চেয়ে বাড়ী ফেরার পথে একজনকে কুপিয়ে জখম

রাজবাড়ীতে ভোট চেয়ে বাড়ী ফেরার পথে একজনকে কুপিয়ে জখম

৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর

৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর

গোদাগাড়ীতে কৃষি মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল

গোদাগাড়ীতে কৃষি মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান : র‌্যাব পরিচালক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান : র‌্যাব পরিচালক

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন, অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা

ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন, অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা

নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে

নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে

বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

নদী ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটে উপকূলবাসীর

নদী ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটে উপকূলবাসীর

দিঘিতে মিলল এক মণ ওজনের কোরাল, বিক্রি ৪০ হাজারে

দিঘিতে মিলল এক মণ ওজনের কোরাল, বিক্রি ৪০ হাজারে

সুধা রানীর হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে তোলপাড়, যে ব্যাখ্যা এনটিআরসির

সুধা রানীর হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে তোলপাড়, যে ব্যাখ্যা এনটিআরসির

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ চেয়েছে দ. আফ্রিকা

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ চেয়েছে দ. আফ্রিকা

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

দৌলতপুরে পদ্মায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

দৌলতপুরে পদ্মায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

কলকাতায় ফের করোনা আতঙ্ক, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫

কলকাতায় ফের করোনা আতঙ্ক, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫

মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?

মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে