বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি

হারের লজ্জা চান না তাসকিনও

Daily Inqilab স্পোর্টস রিপোর্টার

১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম

 

এবারও বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবুয়ে। এক সময়ের শক্তিশালী দলটি এখন অনেকটাই খর্ব শক্তির। তাদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলেও কোনো ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষায় যায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব-মুস্তাফিজদের ফিরিয়ে শেষ দুই ম্যাচে শক্তি বাড়িয়েছে আরও। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু সন্ধ্যা ৬টায়।

আগের তিন ম্যাচে হারার মতো অবস্থা অবশ্য এখনও হয়নি একবারও। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচে তো লড়াই জমাতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাকি একটিতে কেবল একটু লড়াই তারা করতে পেরেছে শেষ দিকে। চট্টগ্রামে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ। বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে সে দুই ম্যাচ সহজেই জেতে টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে টস হারে স্বাগতিকরা। তাই আগে ব্যাটিংয়ে নামে দলটি। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তারা। ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে সেই ম্যাচে তারা কোনোমতে জয় পায় ৯ রানে। তাতে ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়ে আবারও নানা প্রশ্ন উঠেছে। এরমধ্যেই শেষ দুই ম্যাচের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বিশ্রাম থেকে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন সৌম্য সরকারও। অন্যদিকে কোনো ম্যাচ না খেলিয়ে বাদ দেওয়া হয় তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। অথচ বিশ্বকাপের সামনে তাদের যাচাই করে দেখতে পারতো বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে জিম্বাবুয়ে সিরিজে আসলে বাংলাদেশের লক্ষ্য কি। এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বললেন, ‘মূল লক্ষ্য তো বিশ্বকাপ। দলগত আর ব্যক্তিগতভাবে যদি সবাই ৫-১০ শতাংশ উন্নতি নিয়েও বিশ্বকাপে যেতে পারি, তাহলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। আমাদের শুরুটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে। যতই কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে নিয়ে, আবার যদি একটা ম্যাচ হেরে যাই, তাহলে কিন্তু আরও অন্য রকম কথা হবে যে, “জিম্বাবুয়ের সাথে হারছে”। জিতলে আমরা ক্রেডিটটা কম পাই ছোট দলের সঙ্গে খেললে, হারলে আবার বলবে “জিম্বাবুয়ের সাথে হেরে গেছে:! দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের অনেক কথাই শুনতে হয়। কিন্তু যখন খেলতে নামি, যে প্রতিপক্ষই হোক, আমরা চেষ্টা করি সেরাটা দিতেই। কখনো ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। উন্নতির ধারাটা রেখে সবাই খেলার চেষ্টা করি। সবার এটাই লক্ষ্য যে বিশ্বকাপে কীভাবে ভালো করা যায়।’ প্রতিপক্ষ যেমনই হোক নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে কোনো কৃপণতা করেন না বলে জানান এই পেসার, ‘আমরা যারা খেলোয়াড় আছি, আমাদের কাজ কিন্তু যেখানেই খেলি সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো পারফর্ম করা। অনেক কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ। আমরা যারা খেলোয়াড় যখনই, যেখানে খেলতে নামি সেরাটা দেই, এমনকি যখন বিপিএলে খেলতে নামি, ভালো খেলারই চেষ্টা করি।’ চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন। সব মিলিয়ে ওভারপ্রতি স্রেফ ৪.৪১ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ৬টি উইকেট। লম্বা সময় পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের তিন ম্যাচে শিকার ৭ উইকেট। অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান, লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনরাও করেছেন ভালো বোলিং।

তবে বাংলাদেশের এই জয়েও সঙ্গী অনেক প্রশ্ন। ব্যাটিংয়ে তিন ম্যাচেই সফল তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর থেকে ব্যর্থ টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই। বোলারদের কারণেই মূলত এর প্রভাব পড়েনি কোনো ম্যাচের ফলে। তবু লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্তদের এমন ফর্ম যে চিন্তার কারণ তা মানেন তাসকিন। তার বিশ্বাস, শেষ দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবেন ব্যাটসম্যানরা, ‘ব্যাটিং বা যেদিনই যেটা খারাপ হয়, দর্শক বা বাইরের যে কারও চেয়ে আমরাই বেশি হতাশ হই সবার আগে। কারণ দিন শেষে আমাদের খেলতে হয়। আমরা কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি কীভাবে আমাদের ব্যাটিং বা বোলিং আরও উন্নতি করা যায়। এটা আমরাও বুঝতে পারছি প্রত্যাশামাফিক শুরু হচ্ছে না। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আসলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা ছাড়া কিছুই হাতে নেই। চেষ্টা করে যাচ্ছি, আশা করি সামনে ভালো কিছু হবে। এই দুই ম্যাচেও আগের ম্যাচগুলো থেকে ভালো হবে ব্যাটিং।’


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কুষ্টিয়ায় গোরস্থান-মাদরাসার দান বাক্স ভেঙে টাকা ও সাইকেল চুরি

কুষ্টিয়ায় গোরস্থান-মাদরাসার দান বাক্স ভেঙে টাকা ও সাইকেল চুরি

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা পাকিস্তানের

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা পাকিস্তানের

কুষ্টিয়ায় জাহাবুল হত্যা মামলায় সামসুলের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় জাহাবুল হত্যা মামলায় সামসুলের যাবজ্জীবন

ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষ্যণীয় সাফল্য

ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষ্যণীয় সাফল্য

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত নাশকতা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত নাশকতা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন

আবার বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জন

আবার বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জন

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের শ্রদ্ধা

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের শ্রদ্ধা

একাকী নামাজ পড়ার সময় ইকামত দেওয়া প্রসঙ্গে।

একাকী নামাজ পড়ার সময় ইকামত দেওয়া প্রসঙ্গে।

টেলিটক, বিটিসিএলকে লাভজনক করতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

টেলিটক, বিটিসিএলকে লাভজনক করতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দাবি করেছে ইআরএফ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দাবি করেছে ইআরএফ

বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক গবেষণা বাড়ানো হবে : পরিবেশমন্ত্রী

বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক গবেষণা বাড়ানো হবে : পরিবেশমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদন

রাইসি’র মৃত্যুতে ফ্রান্সের শোক প্রকাশ

রাইসি’র মৃত্যুতে ফ্রান্সের শোক প্রকাশ

স্নাতক স্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ ইউজিসি’র

স্নাতক স্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ ইউজিসি’র

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ‘বড় ক্ষতি’ : শি

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ‘বড় ক্ষতি’ : শি

বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা যে সব বিশ্ব নেতার প্রাণ কেড়েছে

বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা যে সব বিশ্ব নেতার প্রাণ কেড়েছে

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেয়ায় রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের প্রতিবাদ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেয়ায় রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের প্রতিবাদ

মন্ত্রিসভায় এপোস্টল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন : বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা

মন্ত্রিসভায় এপোস্টল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন : বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা