নিজেও জানি না, কেন আমার বাড়ি পোড়ানো হলো: মাশরাফি

Daily Inqilab স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৩ এএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৩ এএম

ছবি: ফেসবুক

কোটা আন্দোলনে নীরব থাকায় পড়েছিলেন তরুণদের বড় একটা অংশের তীব্র রোশানলে। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তাদের নায়ককে খুব করে পাশে চেয়েছিলেন তরুণ এই প্রজন্ম। কিন্তু নানান বাস্তবতায় তা পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসার পর সমালোচনা সঙ্গী ছিল সবসময়। এবার তা হয়েছে আরও প্রকট। গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে দেশে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মাশরাফি। সেখান থেকেই দৈনিক ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

গণমানুষের এত কাছে থেকেও কেন তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই মাশাফির। দেশের মানুষের প্রত্যাশা মেটাতে না পারার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।

লড়াইল-২ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ থাকায় ইচ্ছা থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে যে সংহতি প্রকাশ করতে পারেননি, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন মাশরাফি। তবে দেশের এমন শঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার পাশে না থাকতে পারার বেদনা সারাজীবন তাকে পোড়াবে বলে জানালেন তিনি।

“এই কষ্ট থাকবেই। হয়তো আজীবন থাকবে। দেশের একটা ক্রাইসিস মুহূর্তে পাশে থাকতে পারিনি, কিছু করতে পারিনি, এটা আমাকে সবসময়ই ভোগাবে, পোড়াবে। সবসময়ই থেকে যাবে।”

“সবসময় সব কথা বলা যায় না। কিছু জিনিস হয়তো বলার ব্যাপারও নয়। এতদিন চুপ ছিলাম। আজকে কিছু বলছি। কিছু হয়তো সামনে বলব। জীবনে অনেক কিছু হবে। তবে এই কষ্টটা রয়ে যাবে। যত কিছুই হোক, এটা কখনও যাবে না। নিজের ওপর সেই হতাশা সবসময়ই থাকবে।”  

সরাসরি আন্দোলনে যুক্ত হতে না পারলেও অবদান রাখতে চেয়েও পারেননি মাশরাফি। শোনালেন সেই কথাও।

“আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।”

দলীয় আবরণের বাইরে গিয়ে কিছু করতে বা বলতে না পারার কারণ এভাবে উল্লেখ করলেন মাশরাফি।

“দলের বাইরে গিয়ে কিছু করতে হলে আমাকে পদত্যাগ করতে হতো। সেটা যদি করতাম, তাহলে এখন নিশ্চয়ই আমার অনেক প্রশংসা হতো। কিন্তু প্রতিটি সময়ের বাস্তবতা আলাদা থাকে। ওই সময় যদি পদত্যাগ করতাম, তাহলে আরও বড় কিছু হয় কি না, বা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় কি না, এরকম অনেক কিছু ভাবতে হয়েছে। আমি যদি সেই ভাবনাগুলি সব তুলে ধরি, সেটারও পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি থাকবে। কিন্তু সম্ভাব্য পরিণতি বা অনেক দিক ভাবতে হয়েছে আমাকে।

নড়াইলের মানুষের কাছেও আমার দায়বদ্ধতার ব্যাপার ছিল। নড়াইল-২ আসনের মানুষের অনেক আশা আমাকে ঘিরে। তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, নড়াইলকে একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। সেই মানুষগুলোর কাছে কি জবাব দেব? এরকম নানা কিছু ভাবতে হয়েছে।”

“অনেকেই আমাকে তখন বলেছেন, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিলেও দেশের মানুষ খুশি হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার দায়িত্বটা আরও বেশি। আমি যদি ছাত্রদের কাছে যেতে পারতাম, তাহলে হয়তো এটা সমাধান করা বা কিছু করার সুযোগ থাকত। ছাত্ররা যদি আমার আহবানে সাড়া না দিত বা আমাকে গুরুত্ব না দিত, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু নিজের কাছে অন্তত পরিষ্কার থাকতে পারতাম যে, কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেটা চেষ্টা করেও পারিনি। আগেই বলেছি, ব্যর্থ হয়েছি এবং দায় নিচ্ছি।”

প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনই করেননি মাশরাফি। তারপরও সরকার পতনের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার নড়াইলের বাড়িঘর। ব্যাপারটা একদম মেনে নিতে পারছেন না মাশরাফি। ক্ষোভ থেকেই এই আক্রমণ কিনা জানেন না তিনি নিজেও।

“জানি না… হয়তো একটা ‘মব’-এর মতো হয়েছে এবং হুট করেই উত্তেজিত কিছু লোক এটা করেছে। কারণ, নড়াইলের মানুষের ক্ষুব্ধ হওয়ার মতো কিছু আমি করিনি বলেই মনে করি। কেন তারা বাড়িতে হামলা করল, এই কারণ আমিও খুঁজেছি এবং খুঁজছি।

আমার বাড়ির দুয়ার সবসময় সব মানুষের জন্য খোলা ছিল। সংসদ সদস হওয়ার পরও তেমনই ছিল। আমি নড়াইলে গেলে রাত ১টা-২টা পর্যন্ত লোকের ভিড় থাকত বাসায়। আমি রাজনীতিতে আসার পরই জানতাম, সবাই আমাকে ভোট দেবে না বা সবাই পছন্দ করবে না। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আমি সবারই এমপি। আমি সেভাবেই চিন্তা করেছি এবং কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার আসনে কোনো ভিন্ন মতের কাউকে কখনও দমন করিনি, ভিন্ন পথ আটকাইনি। নড়াইল সদর ও লোহাগড়ায় যেন সব দলের সব মতের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি গত সাড়ে ৫ বছরে। কাজেই লোকের ক্ষোভ থাকার কথা নয়।

কিংবা কে জানে, থাকতেও পারে (ক্ষোভ)। হয়তো সবার কাছে পৌঁছতে পারিনি। লোকে যেভাবে চেয়েছে, সেই প্রত্যাশা হয়তো পূরণ করতে পারিনি। তবে আমার জ্ঞানত, নড়াইলের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু আমি করেছি।

প্রায় ২০ বছর জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলেছি। আমার পরিসংখ্যান বলবে না, আমি দুনিয়ার সেরা বা দেশের সেরা ক্রিকেটার। তবে আমি জানি, চেষ্টা সবসময় করেছি। রাজনীতির মাঠেও আমি এমন বড় কেউ নই। ৫-৬ বছরে কেউ বড় হতে পারেও না। কিন্তু এখানেও চেষ্টার কমতি রাখিনি। আমার চিন্তা-চেতনা, চাওয়া-পাওয়া, সব নড়াইল ঘিরেই ছিল। নড়াইলের উপকার নিয়ে কাজ করেছি নিজের পরিবারকে ভুলে।

কাজেই, নিজেও জানি না, কেন আমার বাড়ি পোড়ানো হলো।”

হামলার কয়েক মিনিট আগেও বাড়িতেই ছিলেন মাশরাফির মা। কিভাবে তিনি বেঁচে বের হলেন সেই গল্পও শোনালেন তিনি।

“মা কয়েক মিনিট আগেও ছিলেন বাড়িতে। বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর তো আমার মায়ের আর একটা কাপড়ও ছিল না। এক কাপড়ে বের হয়েছেন।

উনারাও তো আসলে এরকম কিছু বুঝতে পারেননি। বাসায় কয়েকটি ছেলে-মেয়ে থাকে, ওরাই আগে দেখেছে। আপনারা অনেকেই জানেন, এলাকার এতিম-অসহায় কিছু বাচ্চাকে বাসায় রাখেন মা। অনেক বছর আগে থেকেই রাখেন। কারও হয়তো বাবা-মা নেই বা বাবা-মা কেউ বিয়ে করেছে আবার, বাচ্চাকে রাখতে চায় না। এরকম কিছু বাচ্চাকে বাড়িতে এনে রাখেন আমার মা। তাদের পড়ালেখা করাতেন। পরে তারা একটু বড় হয়ে নিজের পথ বেছে নিত। এরকম ৬-৭ জন ছিল বাসায়। ওরাই দেখেছে, সামনে মাঠ থেকে লাঠিসোটা নিয়ে অনেকে আসছেন। ওরাই গিয়ে বাবা-মাকে বলেছে বাইরে চলে যেতে।

ওই বাচ্চাদের ভবিষ্যতও এখন অনিশ্চিত হয়ে গেল। দেখি কী করা যায়… কিছু তো ব্যবস্থা হবেই।”

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার চিন্তাও করছেন না মাশরাফি। তবে ক্রিকেটের প্রয়োজনে সব ধরণের সহায়তার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছেন বলে জানালেন তিনি। ইচ্ছা ছিল আসছে মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে একবারে বিদায় নেওয়ার। ইচ্ছাটা এখনও আছে তবে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।

“আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর খেলা বাদ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে যাইনি সাধারণত। নিজের কথা আসলে ভাবিনি। যে জায়গায় আমি ছিলাম, হয়তো ওপরের মহলে গিয়ে বলতে পারতাম যে ক্রিকেটে এই কাজটা করতে চাই বা ওই দায়িত্ব নিতে চাই। কিন্তু নিজের কথা বলতে চাইনি কখনোই।

যখন বলার সুযোগ ছিল, তখনই বলিনি। এখন যে পরিস্থিতি, আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ডে থাকা বা এরকম কোনো দায়িত্ব আমার প্রাপ্য নয়। আমি দাবিও করতে পারি না।

যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!

যদি ছোট কোনো প্ল্যাটফর্মে সুযোগ আসে, সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বড় পরিসরে বা বোর্ডে গিয়ে বলব, ‘এখন কাজ করতে চাই ক্রিকেট নিয়ে’, এটা অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যাপার হয়ে যাবে। এই জায়গা থেকে আমার মনে হয়, এটা আমার প্রাপ্য নয়।

হ্যাঁ, ক্রিকেট আমার রক্তে আছে। কেউ কখনও সহায়তা চাইলে অবশ্যই পাশে থাকব। কিন্তু বোর্ডে থাকার বাস্তবতা এই মুহূর্তে আমার নেই। ডিজার্ভও করি না।”


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

শেষ আটে আলকারাস-জোকোভিচ মুখোমুখি
দল হিসেবে খেললে অধিনায়কত্ব সহজ হয় : সোহান
জুলাই আন্দোলনে উজ্জীবিত হয়ে নতুন দেশ গঠনে গুরুত্ব দিচ্ছেন সোহান
চট্টগ্রামকে উড়িয়ে জয়ের ধারায় বরিশাল
পাক স্পিনারদের তোপে আড়াই দিনেই ধরাশায়ী উইন্ডিজ
আরও

আরও পড়ুন

মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন

ঝিকরগাছায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ঝিকরগাছায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত

শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

চার দিনের সফরে সোমবার সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সফরে সোমবার সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী

ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী

নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ

নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ

কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী

কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী

নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।

নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।

শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি

বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি

এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান

এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান

জবিতে ছাত্রলীগ নেত্রী আটক, মুক্তির পর হুমকি

জবিতে ছাত্রলীগ নেত্রী আটক, মুক্তির পর হুমকি

বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না উর্বশীকে,আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না উর্বশীকে,আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

বিনোদনের সংজ্ঞা পাল্টে দিচ্ছে হালের নিও কিউএলইডি টেলিভিশন

বিনোদনের সংজ্ঞা পাল্টে দিচ্ছে হালের নিও কিউএলইডি টেলিভিশন

কিশোরগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর অবস্থান

কিশোরগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর অবস্থান

এবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আবদুস সোবহান গোলাপের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

এবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আবদুস সোবহান গোলাপের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

সিলেটে রিসোর্ট থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ১৬ কিশোর-কিশোরী আটক, পরিবার ডেকে বিয়ে দিলো স্থানীয়রা

সিলেটে রিসোর্ট থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ১৬ কিশোর-কিশোরী আটক, পরিবার ডেকে বিয়ে দিলো স্থানীয়রা

পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ সবচেয়ে সহজ বিকাশ-এ

পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ সবচেয়ে সহজ বিকাশ-এ

জনগণের পাশে থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

জনগণের পাশে থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান