কানপুর টেস্টে স্রেফ ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। লিড ৫২ রানের। তাদের পরিকল্পনা স্পষ্ট- দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে রান তাড়া করা।

টি-টয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করেছে ভারত। রান তুলেছে ওভারপ্রতি আটের উপরে। চতুর্থ দিন বাংলাদেশের ইনিংসে কয়েকটি আঘাত হানতে তারা পাচ্ছে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সময়।

চারটি করে শিকার ধরেছেন সাকিব ও মিরাজ। ভারতের হয়ে জয়সয়াল ৫১ বলে ৭২, লোকেশ ৪৩ বলে ৬৮, কোহলি ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন।

কোহলিকে ফেরালেন সাকিব, লিড বাড়াচ্ছে ভারত

বিরাট কোহলিকে বোল্ড করে ৫৯ বলে ৮৭ রানের জুটি ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। ২৯ ওভারে ২৪৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল ভারত। এটি সাকিবের তৃতীয় উইকেট।

৩৫ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান কোহলির। ৩৯ বলে ৬৬ রানে ব্যাট করছেন লোকেশ রাহুল। নতুন ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা ১১ বলে ৮*। ভারত ৫ উইকেটে ২৬৯। লিড ৩৬ রানের।

৫০, ১০০ ও ১৫০ রানের পর দ্রুততম ২০০ রানের রেকর্ডও হয়েছে আজই। টেস্ট ক্রিকেটে এত দিন দ্রুততম দুই শ ছিল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া–পাকিস্তানের সিডনি টেস্টে, স্বাগতিকদের লেগেছিল ২৮.১ ওভার। কানপুরে ভারত আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই শয় পৌঁছায় ২৪.২ ওভারে।

সাকিবের জোড়া আঘাত

বোলিংয়ে এসে জোড়া আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। নিজের টানা ওভারে শুবমান গিল ও ঋশাভ পান্তকে ফেরালেন এই স্পিনার।

১৪১ রানে তৃতীয় ও ১৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল ভারত। সাকিবের বলে দুটি ক্যাচই নেন হাসান মাহমুদ। লং অফ থেকে নেন ৩৬ বলে ৩৯ রান করা গিলের ক্যাচ। ১১ বলে ৯ রান করা পান্তের ক্যাচ নেন অং অফ থেকে।

ক্রিজে আছেন বিরাট কোহলি (১৪ বলে ২০) ও লোকেশ রাহুল (৭ বলে ৯)।

সবশেষ: বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবা ভারত প্রথম ইনিংসে ২১.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান

জয়সয়াল ঝড় থামালেন হাসান মাহমুদ

জয়সয়ালের ব্যাটে ভর করে তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত। এই ওপেনারকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙলেন হাসান মাহমুদ।

১৫তম ওভারে ১২৭ রানে জয়সয়ালকে হারায় ভারত। ৫১ বলে ১২টি চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রান করে ফেরেন জয়সয়াল।

দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনায় কোহলির পরিবর্তে চারে নেমেছেন ঋশাব পান্ত।

ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভারে ১৩৮/২। গিল ৩০ বলে ৩৭ ও পান্ত ৫ বলে ৪ রানে ব্যাট করছেন।

ভারতের দ্রুততম শতকের রেকর্ড

টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করছে ভারত। ওভারপ্রতি রান তুলছে প্রায় দশ করে। বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনা করে স্রেফ ৬১ বলে দলীয় একশ’ পার করেছে স্বাগতিকরা। টেস্টে যা দ্রুততম দলীয় শতকের রেকর্ড।

৩১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে জয়সয়াল ব্যাট করেছন ৪০ বলে ৬৭ রানে। ১২টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ওই ওপেনার। গিল ১১ বলে ১১ রানে ব্যাট করছেন।

দ্রুততম শতকে নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে ভারত। দলটি ১২.২ ওভারে দলীয় শতক করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, গত বছর, পোর্ট অব স্পেনে।

রোহিতকে থামালেন মিরাজ, টি-টোয়েন্টি মেজাজে ভারত

আজকের দিন বাদে সামনে সময় আছে আর এক দিন। এর মধ্যেই কানপুর টেস্টের ফল বের করে নেওয়ার পরিকল্পনায় টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছে ভারত। স্রেফ ৩ ওভারে ৫০ স্পর্শ করার পর মিরাজ বোলিংয়ে এসেই ফেরালেন রুদ্রমূর্তিতে থাকা ভারত অধিনায়ক রোহতিকে।

চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রোহিতকে বোল্ড করে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিরাজ। ১১ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৩ রান করেছেন রোহিত।

১৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানে ব্যাট করছেন জয়সয়াল। তার সতুন সঙ্গী শুবমান গিল।

মুমিনুল অপরাজিত ১০৭, বাংলাদেশ ২৩৩

দলকে টেনে নেওয়ার মতো সঙ্গী পেলেন না মুমিনুল হক। ওয়ানডাউনে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অন্য প্রান্ত থেকে একে একে বিদায় নিতে দেখলেন ৯ সতীর্থকে।

কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৪.২ ওভারে ২৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল অপরাজিত থেকে গেছেন ১০৭ রানে।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৮.২ ওভারে ২৮ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের সব বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ৫০ রানে সর্বোচ্চ ৩টি শিকার ধরেছেন জাসপ্রিত বুমরা। ২টি করে নিয়েছেন সিরাজ, আশ্বিন ও আকাশ। খালেদের শেষ উইকেটটি নিয়ে ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাদেজা।

ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট শতক হাঁকানো মুমিনুল ১৯৪ বলে ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজান ১৭টি চার ও ১ ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করা শান্ত বিদায় নিয়েছিলেন প্রথম দিনেই। ৪২ বলে ২০ রান করেন মিরাজ।

 টেস্টের প্রথম দিন খেলা হয়েছিল ৩৫ ওভার। এরপর টানা দুই দিনের খেলা বৃষ্টির বাধায় হয়েছে পরিত্যক্ত।

৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের

বুমরার বলে স্লিপে ক্যাচ দিলেন মিরাজ। এসে টিকলেন না তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদও। ৬ উইকেটে ২২৪ থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে গেল ৯ উইকেটে ২৩১!

অন্য প্রান্ত আগলে রেখে এখনও লড়ছেন মুমিনুল। ইনিংস টেনে নিতে তার শেষ ভরসা খালেদ আহমেদ।

সবশেষ: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭৩.৪ ওভারে ২৩৩/৯। (মুমিনুল ১০৭*, খালেদ ০*)

মুমিনুলের ১০০, বাংলাদেশের ২০০

মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগের ওভারের দ্বিতীয় বলে আশ্বিনকে সুইপ শটে বাইন্ডারি হাঁকালেন মুমিনুল হক। এই শটেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন মুমিনুল, বাংলাদেশ পৌঁছে গেল ২০০ রানের ঘরে।

১৭২ বলে ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল। বাউন্ডারি ১৬টি, একটি ছক্কা।

টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বার দেশের বাইরে সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল। প্রথমটি করেছিলেন ২০২১ সালের এপ্রিলে, শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে।

পরে আরও ২ রান যোগ করেছেন নামের পাশে। ৬ রানে অপরাজিত থাকা মিরাজকে নিয়ে লাঞ্চের পর ১০২ রানে আবার ব্যাটিং শুরু করবেন মুমিনুল।

কানপুর টেস্টের টানা দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ৩১ ওভারে ৯৮ রানে যোগ করতে গিয়ে মুশফিক, লিটন ও সাকিবের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম দিন খেলা হয়েছিল ৩৫ ওভার। তা থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৭ রান।

সবশেষ স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৬৬ ওভারে ২০৫/৬

ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরাশায়ী সাকিব

রবিচন্দ্রন আশ্বিনের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন সাকিব আল হাসান। পরের বলে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে টাইমিং হলো না ঠিক মতো। মিড অফ থেকে পিছনের দিকে দৌড়ে অসাধারণ ক্যাচ নিলেন মোহাম্মদ সিরাজ।

১৭ বলে ৯ রান করে ফিরলেন সাকিব। ৫৬ ওভারে ১৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন মুমিনুল হক (১৪৬ বলে ৭৬)। তার নতুন সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ।

লিটনকেও হারালেন মুমিনুল

সঙ্গীর অভাব বোধ করছেন মুমিনুল হক। লিটন দাসকেও সাজঘরে যেতে দেখলেন অপর প্রান্ত থেকে। মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিড-অফে এক হাতে লিটনের দারুণ ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা।

৫০তম ওভারে ১৪৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। লিটন করেছেন ৩০ বলে ১৩। ৬২ রানে ব্যাট করছেন মুমিনুল। তার নতুন সঙ্গী সাকিব আল হাসান।

দিনের শুরুতেই মুশফিককে হারাল বাংলাদেশ

কানপুরে টানা দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে দিনের শুরুতেই জাসপ্রিত বুমরার শিকার হয়ে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম।

দিনের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারি ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন মুশফিক। বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় বেলস ফেলে দেয়। দলীয় ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মুমিনুল হকের নতুন সঙ্গী লিটন এসেই বুমরার পরের ওভারে চার মেরেছেন তিনটি। প্রথমটি কভার–পয়েন্ট দিয়ে ড্রাইভ শটে, দ্বিতীয়টি কভার ড্রাইভে এবং তৃতীয়টি স্কয়ার লেগ দিয়ে।

সবশেষ স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৪৪.২ ওভারে ১৩২/৪। (মুমিনুল ৪৭*, লিটন ১২*)