ইংল্যান্ডের ক্রিকেটেও চোখ সউদীর!
০৬ মে ২০২৩, ১১:২৭ পিএম | আপডেট: ০৭ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
প্রিমিয়ার লিগের পর এবার ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটেও বিনিয়োগ করতে চায় সউদী আরব। দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী ও যুবরাজ বদর বিন আবদুল্লাহ সম্ভাব্য অর্থায়ন নিয়ে ইয়র্কশায়ারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দুই পক্ষ একমত হলেও বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। কাউন্টি ক্রিকেটে বিদেশি বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও এ ক্ষেত্রে ভেটো দিতে পারে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, ঋণ পরিশোধের অর্থায়নকারী খুঁজছে ইয়র্কশায়ার। ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কাউন্টি ক্লাবটি সাবেক চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভসের কাছে দেড় কোটি পাউন্ড (২০০ কোটি টকার বেশি) ঋণী। এ ছাড়া আয় কম হওয়ায় চলতি মৌসুমে খেলোয়াড়-স্টাফদের বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ২ কোটি পাউন্ড অর্থের জন্য সউদী সরকারের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী বদর বিন আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকটি পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়র্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ভন।
বদর বিন আবদুল্লাহ ২০১৮ সাল থেকে সউদী আরবের সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সউদী সরকারের ‘ভিশন ২০৩০’ কাঠামো বাস্তবায়নে তিনি শীর্ষ দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন। ইয়র্কশায়ারে প্রাথমিকভাবে ঋণ পরিশোধ ও পরিচালন ব্যয়ের অর্থায়নকারী হিসেবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার পক্ষ থেকে। তবে সউদী সরকার দেশটির সম্পদশালী ব্যক্তিদের ক্রীড়াঙ্গনে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে বিধায় পরে ক্লাবের সার্বিক উন্নতিকল্পে নতুন করে অর্থের জোগান দিতে পারেন বদর। এরই মধ্যে সউদী আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড কিনে নিয়েছে।
মেইল অনলাইন জানিয়েছে, ইয়র্কশায়ারে সউদী অর্থায়নের ঘটনায় ভেটো দিতে পারে ইসিবি। ইয়র্কশায়ার যদি বদর বিন আবদুল্লাহর বিনিয়োগের প্রস্তাব গ্রহণ করে, ইসিবির পরিচালনা পর্ষদ ‘ফিট অ্যান্ড প্রপার পারসন টেস্ট’ প্রক্রিয়ায় যেতে পারে। এর মাধ্যমে যাচাই করা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আসলেই বিষয়টিতে যুক্ত হওয়ার মতো যোগ্য কি না, বিশেষ করে অর্থের উৎস ও বিশ্বস্ততার দিক থেকে।
ইসিবি চায়, অ্যালেন স্টানফোর্ড কেলেঙ্কারির মতো কিছু যেন না ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী অ্যালেন স্টানফোর্ডের সঙ্গে ২০০৮ সালে একটি মাল্টিমিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি করেছিল ইসিবি। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলস্টারের মধ্যে ৫টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য প্রাইজমানিই ছিল ২ কোটি মার্কিন ডলার। পরে প্রতারক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ১১০ বছরের দ-িত হন স্টানফোর্ড। মেইলের খবরে বলা হয়, বদর বিন আবদুল্লাহ ও ইয়র্কশায়ারের আলোচনা ইতিবাচক হলে প্রথমবারের মতো ‘ফিট অ্যান্ড প্রপার পারসন টেস্ট’ করতে পারে ইসিবি।
বিভাগ : খেলাধুলা