কোম্পানীগঞ্জ বিএনপি-আ.লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির ৯৩ নেতার নাম উল্লেখসহ ২৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে আ.লীগ। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে সন্ধ্যার পূর্বে সরকারি মুজিব কলেজ গেট, হাসপাতাল গেট এবং থানার সামনে প্রধান সড়কে তিন দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মামলায় বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটনসহ ২৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে ৮ বিএনপি নেতাকর্মীর আহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে বলে পাল্টা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগ। কোম্পানীগঞ্জ মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির দু’টি পক্ষ হাসনা মওদুদ ও ফখরুল ইসলাম গ্রুপ চট্টগ্রামের একটি সমাবেশ নিয়ে কয়েকদিন ধরে হানাহানি চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বসুরহাট পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলমগীর বসুরহাট বাজারের আসার সময় অতর্কিতভাবে বিএনপির উভয় গ্রুপ হামলা চালায়। অথচ এ ঘটনাটিকে বিকৃত করে বিএনপি মহাসচিব আলমগীর মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ এ প্রেস বিজ্ঞপ্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের অতর্কিতে হামলা করে আহত করে। এরপরও আ.লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবি মামলা করেছে। আমরা এবিষয়ে তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানী না করাহর এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান মামলার বিষয়ে বলেন, তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।