মহিপুরে ১৪ বছরেও উদ্ধার হয়নি সাবেক সেনা সদস্যের বসতবাড়ি
০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৪ এএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৪ এএম
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মো. আব্দুল মান্নানের বসতবাড়ি রতন ফরাজি গং কর্তৃক জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ বছরেও উদ্ধার করতে না পারায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক সেনা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নান। গত মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীর উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি কর্মসূত্রে পরিবার পরিজনসহ দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করতাম। ঢাকায় বসবাসকালে ২০০৩ সালে আলিপুর আমার বসতবাড়ির একটি অংশে একটি ঘরে রতন ফরাজীকে পরিবারসহ থাকতে দেয়। কিন্তু ২০১০ সালে যখন আমি আলিপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করি তখন আমি রতন ফরাজীকে আমার বাড়ি ছেড়ে দেবার কথা বললে সে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। জরুরি কাজে আমি ঢাকায় অবস্থানকালে এসে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় আমার বাড়ির একাংশ তারকাটা দিয়ে বেড়া উঠাইয়া দখল করে। দখলে বাধা প্রদান করতে গেলে আমার সহধর্মিনীকে মারধর করে এবং আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমি ঢাকা থেকে ফিরে মহিপুরে থানায় মামলা করতে গেলে তখনকার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুব তালুকদার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. বারেক মোল্লা এবং ইউসুফ মেম্বারের হস্তক্ষেপে কারণে থানায় মামলা নিতে অপারগতা জানায়। তখন আমি কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি, যা ওই সময় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর আমরা আবার পুলিশের কাছে আমাদের অভিযোগপত্র দাখিল করি বাড়ি উদ্ধারের জন্য। পুলিশ একাধিক বার রতন ফরাজিকে মিমাংসার জন্য থানায় ডাকলেও সেখানে উপস্থিত হয় নাই। সে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি প্রদান করছে। বাড়ি ছেড়ে দেবার বিনিময় দশ লাখ টাকা অথবা ১০ শতাংশ জায়গার চাঁদা হিসেবে দাবি করিতেছে চাঁদা না দিলে আমিও আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমার বাড়ি উদ্ধারে এবং যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয় অভিযুক্ত রতন ফরাজিকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০
কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর
মাছের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সীমায় বন্দি হচ্ছেন ভারতীয় জেলেরা