পদ্মায় বিলীনের শঙ্কায় প্রাথমিক বিদ্যালয়
১৮ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের ৩০নং কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মায় বিলীনের পথে। ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছে প্রায় দুই শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয় ভবন।
সরেজমিনে জানা যায়, পদ্মা যুমনা অববাহিকায় অবস্থিত জেলার শিবালয় উপজেলা। এই উপজেলার পদ্মা অববাহিকায় আরুয়া ইউনিয়নের আরুয়া ও কুষ্টিয়া মৌজায় ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়টি। সত্তর দশক থেকে অনবদ্য ভাঙনের ফলে ইউনিয়নে প্রায় ৫টি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এই ভাঙনের কবলে পড়ে এখন নদী গর্ভে বিলীনের পথে কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়ে গড়ে ওঠছে না কোনো নতুন ভবনও। ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে জিওব্যাগ ফেললে ভাঙন কিছুটা রোধ হলেও নদীতে গ্রাস করেছে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য দেয়া হয় প্লাস্টিকের বেড়া। বর্ষার পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাস্টিকের বেড়ার পরিবর্তে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রাচীর। বিদ্যালয়ের মাঠের অধিকাংশ নদীতে ভেঙে যাওয়ায় খেলাধূলা করতে পারছে না কোমলমতী শিক্ষার্থীরা।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ফৌজিয়া খান চৈতি জানায়, নদী ভাঙনের ফলে আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠের অধিকাংশ নদীতে চলে গেছে। আমরা খেলাধূলা করতে পারি না। ক্লাশের ফাঁকে আমাদের সব সময় ক্লাশ রুমেই বসে থাকতে হয়।
সহকারী শিক্ষক শামসুন নাহার জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের সব সময় উদ্বিগ্নের মধ্যে থাকতে হয়। কখন কোন শিক্ষার্থী নদীতে পড়ে যায়, এই আতংকে থাকতে হয়। বাচ্চাদের নিয়ে আমরা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকি। আমাদের দাবি একটা স্থায়ী বেড়িবাঁধের।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শামীনুর রহমান বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকেই নিয়মিত ভাঙনের ফলে আমাদের বিদ্যালয়টি বর্তমান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়ের আঙিনার অধিকাংশই নদীতে চলে গেছে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য একটা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। তারপরেও বাচ্চাদের নিয়ে আমরা সব সময় ঝুঁকির মধ্যেই থাকি। একটা স্থায়ী বেড়িবাঁধ হলে এই এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। পাশাপাশি আমার বিদ্যালয়সহ পাশের বাজার, মসজিদ এবং কবরস্থান রক্ষা পেত।
৫টি গ্রামের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তবে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হলে এলাকাটি ভাঙন রোধসহ বিদ্যসলয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও তিনি দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন জানান, পাটুরিয়া ঘাট হতে মালুচি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধে প্রসেসিং চলছে। অনুমোদন পেলে আশা করছি ২০২৪ সলের মধ্য শেষ করতে পারব। এছাড়াও কোথাও ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে আমরা সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড
সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড
শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে