ভরা বর্ষায় মাঠ ফেটে চৌচির
২১ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তাপপ্রবাহে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বর্ষার মাঝামাঝিতেও বৃষ্টি নেই, জমি শুকিয়ে কাঠ। বৃষ্টির দেখা না মেলায় আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার প্রায় ৫০ হাজার কৃষক। অনেকে সেচ যন্ত্রের সাহায্যে জমি তৈরি করছেন। তবে এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে তিনগুণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসামি সপ্তাহে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আষাঢ়ের মাঝামাঝি থেকে শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমনের চারা রোপণের সময়। চলতি মাসের প্রথম থেকে চারা রোপণ শুরু হয়। কিন্তু টানা তিন সপ্তাহ ধরে চলা তাপপ্রবাহের কারণে চারা রোপণের জন্য তৈরি করা আমনের জমিগুলো শুকিয়ে গেছে।
জেলাজুড়ে প্রায় ৬ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা করা হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছিল। এ অবস্থায় আমনের চারা রোপণ করতে না পেরে সেগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বেশি দামে কেনা ডিজেলে শ্যালোমেশিন দিয়ে কোনোমতে সেচ দিয়ে সেগুলো টিকিয়ে রাখছেন, আর অপেক্ষা করছেন বৃষ্টির জন্য।
জেলার সদর উপজেলার বিশ্বাসপুর গ্রামের কৃষক কুদ্দুস আলীসহ কয়েকজন বলেন, চলতি মৌসুমে পানির অভাবে সঠিক সময়ে চারা রোপণ করতে না পারায় বীজতলাতেই তা বাড়ছে। এছাড়াও পানির জন্য আমনের বীজতলা লাল হয়ে যাচ্ছে। আমন আবাদ হয় বৃষ্টির পানিতে, এবার সেই বৃষ্টির দেখা নেই। আর প্রচন্ড রোদে জমি পুড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগ থেকে সেচযন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। গড়েয়া ইউনিয়নের কৃষক জমশেদ আলী বলেন, দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। শুরুতেই পানি সেচের যে টাকা খরচ হচ্ছে আবাদ শেষে লোকসানে পড়তে হবে। গত বছর আমার সব জমিতে আষাঢ় মাসেই আমনের চারা রোপণ করা শেষ হয়েছিল। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ করতে পারছি না। পানির অভাবে বীজতলাও শুকিয়ে যাচ্ছে।
রানীশংকৈল উপজেলার রাউনগর গ্রামের কৃষক রহমান আলী বলেন, জমিতে সেচ দেয়ার পর নিমিষেই পানি হারিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হয়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। ধানের উৎপাদনও কম হবে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমি তৈরি করে চারা রোপণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে আমন আবাদ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না। এ জেলার বেশ কিছু জায়গায় সোলার পাম্পদিয়ে সেচ ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ব্যবস্থায় পানি সেচ দিলে কৃষকের খরচ অনেকটা কমে আসবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
উলিপুরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
টিজারেই বাজিমাত 'সিকান্দার', ঈদে শুভ মুক্তি
চাদে ভোটগ্রহণ শুরু, বিরোধী দলগুলোর বয়কটের আহ্বান
নালিতাবাড়ীতে জেল পলাতক হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ১৮১ আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত
সরকারের বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার পরিকল্পনা জানুয়ারিতে : উপদেষ্টা মাহফুজ
রাশিয়া ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের জন্য প্রবেশ নিষেধের তালিকা বাড়িয়েছে
সৈয়দপুরে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী জাহাঙ্গীর টঙ্গী থেকে গ্রেফতার
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
বাস্তব জীবনে ভালো রেসপন্স পাচ্ছে অলংকারের 'চেয়ারম্যান'
পর্যটক-অনাহারে থাকা কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশে' যে হাহাকার চলছে
জিম্মি মুক্তি চুক্তির দাবিতে ইসরাইলে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ
জর্জিয়ায় রাজনীতিতে উত্তেজনা, প্রতিবাদে হাজারো মানুষ
এবার ৬৮ সদস্যের ‘সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল উইং প্রতিনিধি কমিটি’ করল নাগরিক কমিটি
হাওয়াই আগ্নেয়গিরিতে অল্পের জন্য শিশুর জীবন বিপদমুক্ত , পর্যটদের সতর্কতা
বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের ১২৬ শহরের মধ্যে শীর্ষে ঢাকা
৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদের কবর রচিত হবে: আসিফ মাহমুদ
মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭ জন নিহত: সেই বাসমালিক গ্রেপ্তার
মনমোহন সিংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন
দখলমুক্ত হচ্ছে ঢাকার ৫৮ পুকুর