পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে ভাঙন
২৩ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০৫ এএম
ভালো নেই ফরিদপুর জেলার সদরপুরের পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদী পাড়ের মানুষজন। প্রবল স্রোতে ভাঙছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে নদী ভাঙন। এতে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সরেজমিনে দেখা যায় গ্রামবাসী ঘরবাড়ি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ধান-চালসহ ঘরের আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
পদ্মা নদীতে ভাঙছে উপজেলার আকটেরচর ইউনিয়নের আকটেরহাট সংলগ্ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী, এখানেই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর রয়েছে। যেখানে ৬০টি ছিন্নমূল পরিবার বসবাস করে। সেখান থেকে পদ্মা নদী মাত্র ৫শ’ মিটার দূরে অবস্থান করছে। আরও ভাঙছে ইউনিয়নের কলাবাগান গ্রাম, শয়তানখালীর চর। পদ্মার ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না নাড়িকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, কাচিকাটা গ্রাম, চরনাসিরপুর ইউনিয়নের ফকিরকান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি গ্রাম। অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর স্রোতে উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দুর্বারটেক, মফিজুদ্দিনের কান্দি, হাফেজকান্দি, চরগজারিয়া, গিয়াস উদ্দীন মুন্সীর কান্দি গ্রামের কিছু কিছু এলাকা নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সদরপুরের কিছু কিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়। বহু বছর আগে থেকেই পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে সদরপুরের ৫টি ইউনিয়নের মাইলের পর মাইল জমি। প্রতিবছর কোথাও কোথাও জেগে উঠছে নতুন চর পাশাপাশি তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ফার্স্ট এইড হিসেবে নদীর ভাঙনরোধে কোথাও কোথাও জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যবস্থা নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান নয় বলে জানান স্থানীয়রা।
আকটেরচর সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরপ্রাপ্ত রিনা বেগম জানান- সরকার আমাগো ঘর দিছিল, ভালই ছিলাম। শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু দেখতাছি পদ্মায় তো সব নিয়া যাইব।
দিয়ারা নাড়িকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন সরদার জানালেন- আড়াই কিলোমিটারজুড়ে পদ্মায় ভাঙন চলছে। গত ২ বছরে ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
চরনাসিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন জানান- সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নদী শাসন না করলে ভাঙন রোধ সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আবু এহসান মিয়া জানান- পানি বিপদসীমার নিচে আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন- আমি ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি- এই কাজ চলমান রয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল