অগ্নিকাণ্ডে ঝুঁকিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
২৫ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩ এএম
কুমিল্লা নগরী ও উপজেলা পর্যায়ে গড়ে উঠা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ ভাগই আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটের আগুনের পর কুমিল্লায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নিনির্বাপণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা আছে কিনা এনিয়ে নড়েচড়ে বসে কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। অগ্নি ঝুঁকিতে থাকা ভবন চিহ্নিত করে চিঠিও দেয় ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু এরপরও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লালমাই, তিতাস, দেবিদ্বার ও ব্রাহ্মণপাড়া এ পাঁচ উপজেলায় ফায়ার স্টেশন না থাকায় অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজার অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। কেননা, এসব উপজেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অন্য উপজেলা বা জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস আনতে হয়। ইতোপূর্বে কয়েকটি অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিপ্রবণ উপজেলা হিসেবে চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণের চৌয়ারা, দাউদকান্দি ও চান্দিনাকে চিহ্নিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাণিজ্যিক ভবনের মধ্যে মার্কেট, হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল, পোশাকের দোকানসহ প্রায় ৩০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের আগুন নেভানো বা প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকলেও বাকিগুলো আগুন ঝুঁকি নিয়েই চলছে। নগরীর কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, গাংচর থানারোড, নজরুল এভিনিউ, রানীরবাজার, শাসনগাছা, চকবাজার, গোয়ালপট্টি, কাপড়িয়াপট্টি, তেলিকোনা, হাউজিংএস্ট্রেট, কুচাইতলি, বালুতুপা, আশ্রাফপুর, ইপিজেডের ১নং ও ২নং গেট সংলগ্ন এলাকা, পদুয়ার বাজার এবং সকল উপজেলায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই নেই আগুন নির্বাপনের কোন সুবিধা। ভবনের যে তলাতেই হোক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করলেই সেখানে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদিত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু কুমিল্লা জেলায় অন্তত ৭০ ভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের কোন আইন মানছেনা।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারি পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কুমিল্লা জেলার হাসপাতাল ও মার্কেটগুলোর মধ্যে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছি এবং একই সঙ্গে অগ্নি ঝুঁকিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আমরা প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে থাকি। বিভিন্নরকম প্রচারণায় মানুষকে সচেতন করা হয়। বিশেষ করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্তৃপক্ষ বা ভবন মালিককেই অগ্নিনির্বাপণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা রাখতে হবে। কুমিল্লায় এমন অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেমন মার্কেট, হাসপাতাল রয়েছে যেখানে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখা নেই। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা করছি। আমি মনে করি অধিক অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল