সেতু আছে সড়ক নেই
১৯ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০২ পিএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের রোয়াচলা-কুড়াখাল সড়কের রোয়াচালা দক্ষিণ পাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ির পাশের খালে অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ নির্মাণ করায় জনদুভোর্গ বেড়েছে। প্রায় দুই বছর পূর্বে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) কর্মসূচির অধীন এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এখনই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় আকারে যে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে স্থানীয়রা। ঠিকাদারের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই কালর্ভাটটি নির্মাণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৫/৩০ ফুট প্রস্ত খালের উপর নিমার্ণ করা হয়েছে এই ব্রিজটি। ব্রিজটির দুই পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে রোয়াচলা-কুড়াখাল সড়ক দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার লোক যাতায়াত করছেন। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য মাটির বরাদ্ধ থাকলেও সেখানে মাটি ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল সড়কের উপর ব্রিজ নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়। যা গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামবাসীর অভিযোগ, কোনো পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারী করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিতভাবে কালভার্টি নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনায় ব্রিজ নির্মাণ করা হলে মানুষের কাজে লাগতো এবং সরকারি টাকা অপচয় হতো না। শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, ব্রিজটির দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সাথে সংযোগ করে দেয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, ‘এলজিএসপি’ প্রকল্পটি আমার আওতায় না। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, আমি মুরাদনগর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সড়কের সাথে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ
ছাত্রআন্দোলনে শহীদ ছাত্রদলনেতা ওয়াসিমের কবর জিয়ারতে কেন্দ্রীয় নেতারা
অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে:রিজভী
রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে: উপদেষ্টা নাহিদ
কমলা হ্যারিস জিতলে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার হুমকি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক
বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র গোলাবারুদ জ্যামার উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ছুটির দিনেও চলছে মেট্রো
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ ও বিচারের দাবীতে খুলনায় মানববন্ধন
শেখ হাসিনার দলবলকে আগলে রেখেছে বর্তমান প্রশাসন: সেলিমা রহমান
রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ জনে
অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী ইবি শিক্ষার্থীদের
৩শ' আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
বরিশালে রাইজিং স্কলার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠিত
ঈশ্বরদীতে সাপের কামড়ে ১ ব্যাক্তির মৃত্যু