শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বানিয়াপাড়া রন্নামায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি ১০ বছরেও নতুন করে নির্মাণ না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৫ হাজার মানুষ। ৮ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতের রাস্তা এটি। এলাকবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার যেন পুরাতন সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করলেও ২ বছরেই তা ভেঙে যায়। ফলে গত ১০ বছর ধরে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল পরিবহন, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেয়া ও শত শত শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ যাওয়া আসায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কালিবাড়ী বাজার থেকে যাতায়াতের এই পথে বানিয়াপাড়া, আসামপাড়া, হাসলিগাঁও, হাসলিবাতীয়া, রাঙামাটিয়া, কুড়ুলিয়াকান্দা, কলসপাড় ও নয়াপাড়া গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিদিন এ পথে গ্রামবাসীগণ যাতায়াত করেন। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয় তাদের। বিশেষ করে পাহাড়ি ঢলের সময় ৩-৪ ফুট উঁচু হয়ে পানি আসে। ফলে মাত্র ৩৩ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি প্রবল গ্রোতে ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে সড়কটিও ভেঙে যায়। স্থানীয় কৃষক ভবেশ্বর বর্মন ও স্কুল শিক্ষক আলকাছ মিয়া জানান, তাদের বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটির পাশেই। এই সেতু পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হন। বাতিয়াগাঁও গ্রামের হামিদ মেম্বার, হাসলিগাঁও গ্রামের নিজাম মেম্বার, কুড়ালিয়াকান্দা গ্রামের লাহাব্বান মেম্বার বলেন, ব্রিজটি নির্মাণসহ দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলেই তাদের জেলা সদর এবং কালিবাড়ী বাজারে যাতায়াতের কষ্ট আর থাকবে না। এখানে কমপক্ষে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে মালিঝিকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাটি ভরাটসহ দুইবার কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছি। কিন্তু কাঠের সেতু ১ বছরের বেশি থাকে না। এলজিইডির মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

শেরপুর এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জানান, ব্রিজ ও রাস্তার ব্যাপারে অবগত হয়েছি। তবে এই রাস্তাটি এলজিইডির আওতাধীন কিনা এটা জানা নেই। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।