রাইস মিলের ছাই ও কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে শতাধিক অটোরাইস মিল থেকে নির্গত ধোয়ার সাথে ছাই এবং দূষিত কালো পানিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল ও জমি। হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। রাইসমিলগুলোর ছাইয়ে পাশের খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমিও। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর, আলমনগর ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে এই সকল রাইস মিলগুলো স্থাপিত রয়েছে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাইস মিলগুলো থেকে নষ্ট ছাই এলাকার খালবিলেতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। কালো ধোয়া বাতাসের সাথে উড়ে গিয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকাগুলোতে। এতে গ্রামের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ধোয়া ও ধূলার কারণে গ্রামের শিশু ও বয়োজ্যৈষ্ঠরা শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এছাড়া মিলের গরম পানি ও ছাই পাশের খালে প্রবাহিত করায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। এই গরম পানি ও ছাইয়ের কারণে কৃষি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে মিল মালিকদের অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার মিলছে না। উল্টো মিল মালিকদের পক্ষে প্রভাবশালী একটি চক্র গ্রামের বাসিন্দাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সরকারি খালের পাশে একাধিক রাইসমিল স্থাপন করা হয়েছে। খালগুলোতে পোড়া ধানের কালো ছাইয়ের স্তূপ জমে ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা চাষের কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। এছাড়াও মিলের ছিমনি দিয়ে অনবরত নির্গত হচ্ছে কালো ধোয়া।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফরিদা বেগম জানান, তিনি ৩৭ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছিলাম, কিন্তু মিলের ছাইয়ের কারণে তা নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু আমার জমিই নয় খালের পাশে থাকা অনেক জমির ধান এখন হুমকিতে। এখানে একটি ডোবা আছে- এটিতে চাষের জন্য মাছ ফেলা হলে সেগুলো মারা যায়।
আরেক বাসিন্দা রাকিব মিয়া জানান, মিলের ধোয়া ও ছাইয়ে গ্রামের মানুষের চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সাদাকাপড় পরে থাকা যায় না। এছাড়া যে খালটি ছাইয়ের কারণে ভরাট হয়ে গেছে- সেটি মেঘনা নদীর সাথে সংযুক্ত। কিন্তু ভরাটের কারণে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না খালে।
মো. ফয়সাল নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, কৃষকরা জামি চাষ করার জন্য খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে করে জমিগুলো নষ্ট হওয়ার পথে। আমরা খালটিকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলম ব্রাদার্স এগ্রো ফুড ও এস. আলম এগ্রোফুডের সত্ত্বাধিকারী আলম মিয়া বলেন, আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও আছে। আমরা পরিবেশের সকল নিয়ম মেনেই মিল পরিচালনা করছি। অভিযোগকারীরা অন্য বিরোধের জেরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খালেদ হাসান বলেন, রাইসমিলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। সরেজমিন ঘটনাস্থল গিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার
১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ