সৈয়দপুরে ফাইয়াজুল হক সাজু নামে এক গার্মেন্টস মালিকের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ। গতকাল দুপুরে সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ফাইয়াজুল হক সাজু একজন তরুণ উদ্যোক্তা ও স্বনামধন্য ব্যবাসায়ী। তিনি সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আর এস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী। সাজু দেশ বিদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। তার গার্মেন্টসে প্রায় ৪০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ সাজুর প্রতিবেশী জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল সরকার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সাজুদের জমি দখল করে রেখেছেন। এ নিয়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হলেও জুয়েল কুট-কৌশল ও প্রভাব খাটিয়ে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন। সম্প্রতি গোপনে নকশা অনুমোদন করিয়ে জবর-দখলের ওই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। সাজুর পরিবার অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন জুয়েলকে। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে চাঁদাবাজি, লুট ও মারপিট করার মিথ্যা অভিযোগে সাজুর পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। অপরদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা গ্রাহ্য না করে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। তানা হলে সাংগঠনিকভাবে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুশিয়ারী প্রদান করেন ওই ব্যবসায়ী নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সংগঠনটির সভাপতি আখতার খানের সভাপতিত্বে অন্যদেন্যর মধ্যে বক্তৃতা দেন সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ মোহন, এলাকাবাসী ইলিয়াস আলী, ভুক্তভোগী ফাইয়াজুল হক সাজু ও তার মা সৈয়দা জড়িনা বেগম।

এ ব্যাপারে জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল সরকার বলেন, ‘আমর বাবার কেনা জমিতে বাড়ি করছি। প্রতিবেশী ফাইয়াজুল হক সাজু আমার বাড়ির এক শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ জন্য আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। চাঁদা না দেয়ায় গত ৯ মার্চ সাজুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।