শেরপুরের জামদানি শাড়ির ব্যাপক চাহিদা
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ এএম
এবারের ঈদে ঢাকায় ব্যাপক চাহিদা শেরপুরের তাঁত পল্লীর জামদানী শাড়ির। সারা বছরতো চাহিদা আছেই। এই ঈদে বাড়ছে চাহিদা ও কদর। সেই সুযোগে সরব হয়ে উঠেছে শেরপুর সদর ও শ্রীবরদীর ২২টি তাঁত পল্লী। শেষ সময়ে পল্লীতে তাঁত মালিক ও কারিগররা কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শেরপুরের তৈরি এসব ঐতিহ্যবাহী জামদানী শাড়ির দেশে-বিদেশে ও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। শেরপুর জেলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) কর্মকর্তা বলছেন, জামদানি শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। তাঁত শিল্পকে আরো গতিশীল করতে কারিগরদের জন্য রয়েছে প্রশিক্ষণসহ ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা। জেলার শ্রীবরদীর উপজেলার ভাটিলংগড়পাড়া গ্রামে এনামুল হকের গড়ে তোলা তাঁত পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, টিনশেড কাঁচা ঘরে ৫টি মেশিন দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁত কারখানা। তৈরি করছেন জামদানি শাড়ি। তার কারখানায় কাজ করছেন ১০ জন শ্রমিক।
তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, দারিদ্রতার কারণে ৮ বছর আগে পড়ালেখা ছেড়ে নরসিংদীর তাঁত পল্লীতে কাজ করেছেন। সে সময়ই শেখেন তাঁত পল্লীর যাবতীয় কাজ। ২ বছর আগে ৩ জনকে নিয়ে বাড়ি এসে শুরু করেন কারখানা। অগ্রিম অর্ডারের মাধ্যমে ঢাকা-নরসিংদীর মহাজনদের কাছে ৫ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের জামদানি শাড়ি বিক্রি করছেন। দেশের বাইরে থেকেও আসছে অর্ডার। ঘরে বসেই এনামুল মাসে আয় করছেন ৩০-৪০ হাজার টাকা। সে বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে জামদানি শাড়ির চাহিদা অনেক বেশি। ঈদের আগে তো মাল দেয়াই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আর্থিক সংকটে পাকা ঘর নির্মাণ করতে পারছেন না তিনি। ফলে কাঁচা ঘরে কাজ করতে খুবই সমস্যা হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গ্রামে ৫০টি মেশিন বসিয়ে কারখানা ও বড় করতে পারবেন। সেই সাথে অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।
খড়িয়া কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গ্রামাঞ্চলের তাঁত পল্লীগুলোতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সকল ধরনের সহায়তা দিলে গড়ে উঠতে পারে বৃহত্তর তাঁত শিল্পনগরী। কার্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে শত শত নারী-পুরুষের। এই শিল্পের মাধ্যমেই এলাকায় অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি তার। শেরপুর জেলা বিসিক শিল্প কর্পোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক বিজয় কুমার দত্ত দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জামদানি শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। জামদানি শাড়ির চাহিদা আগে থেকেই রয়েছে। জেলায় ইতোমধ্যে অন্তত ২২টি তাঁত পল্লী গড়ে ওঠেছে। এই শিল্পের সাথে জড়িতদের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তাদের তৈরি কাপড় নিজস্ব বিক্রয় মাধ্যম ছাড়াও সরকারিভাবে মেলায় বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দিলে গড়ে উঠতে পারে বৃহত্তর তাঁত শিল্পনগরী। কার্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে শত শত নারী পুরুষের। এই শিল্পের মাধ্যমেই এলাকায় অনেক বেকার সমস্যার সমাধান সম্বব বলে আমি মনে করি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গিল-সুন্দরসানের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে গুজরাটের সহজ জয়
চাঁদপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা আসামি বেনাপোলে আটক
ইরান আত্মরক্ষায় কতটা সক্ষমতা অর্জন করেছে
প্রতারণার অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারের মুখোশ উন্মোচিত
সাইবার গ্যাঙের তথ্যফাঁস ও অনলাইন জুয়া বন্ধ করতে হবে
গভীর নলকূপে পানি নেই : জমি ফেটে চৌচির
বৃষ্টি হলে কাদা রোদ হলে ধূলা
আখাউড়ায় ২ প্রার্থীর জরিমানা
একমাস পরে অবশেষে ৫ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল ইরান
ফিলিস্তিনিদের বন্দিশালা নির্মাণ করছে ভারতীয় শ্রমিকরা!
চীনে গ্রামীণ বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রতিযোগিতা শুরু
আচমকাই চীনে চালু হোয়াটসঅ্যাপ
মিখাইল মিশুস্তিনকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা পুতিনের
নিজ্জর খুনে ফের ‘র’-এর দিকেই আঙুল কানাডার!
সুইডেনে প্রবল বিক্ষোভ
অভিযুক্তদের বয়স ১১ থেকে ১৬!
তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৮
লোহিত সাগরের তলদেশে সামরিক জাদুঘর!
ভারতের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ রাশিয়ার