নাটোরের গুরুদাসপুরে থানা হাজতে বসে আবেদন লিখে ছুটি কাটালেন কারাগারে। কুমারখালী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুতুব উদ্দিন আরিফ। গত ২৫ জুলাই ফৌজদারী দন্ডবিধীর ৩২৩/২২৪/৩২৬/৩০৭ /৫০৬(২)সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারার মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। চারদিন কারাগারে থাকলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ।
সরকারি বিধি মোতাবেক সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ২১-১১-১৯৭৮ তারিখের স্মারক নম্বর ইডি (রগ-৬) এস-১২৩/৭৮/১১৫(৫০০) মোতাবেক কোনো সরকারি কর্মচারি গ্রেপ্তারের পর বা আত্মসমর্পণের পর জামিনে মুক্তিলাভ করলেও মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায়ই থাকবেন। কিন্তু শিক্ষক কুতুব উদ্দীন আরিফকে কারাগারে প্রেরণ করার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থ্য গ্রহণ করেনি।
এদিকে মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম নৈতিক স্থলন এর অভিযোগ এনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ও করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই শিক্ষক কুতুব উদ্দীন আরিফ তার আপন বড় ভাই সাইফুল ইসলামকে সম্পত্তি জবর দখল করতে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন মোল্লার নির্দেশে তার দুই ছেলে ইমন ও হৃদয়সহ তার সহযোগিদের সহায়তায় হাসুয়া, সাবল, জিআই পাইপসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে উওরাধীকার সম্পদ এককভাবে ভোগদখলের অভিপ্রায়ে হত্যার উদ্দেশে নিজ বাড়ির গেটে বেদম মারপিট করে। পরে আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পরে রাতেই বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম।
মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক কুতুব উদ্দীন আরিফ এর বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমি উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মালা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই।
কুমারখালী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আক্কাস আলী বলেন, ঘটনাটি জানার পরে তৎক্ষণাৎ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জোনাব আলী জানান, আমরা থানা থেকে চিঠির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষর কাছে প্রেরণ করেছি পরবর্তী পদক্ষেপ তারা নিবেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।