বিশ্বনাথে কোটি টাকা আত্মসাত মামলার বাদির বিরুদ্ধে আসামির পাল্টা মামলা
২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
সিলেটের বিশ্বনাথে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার আসামিদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। আদাতের নির্দেশে টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে প্রমানিত হওয়ার পর ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোওয়ানা জারি করা হয়। আসামিরা সিলেট আদালত প্রাঙ্গন ও মহামান্য হাইকোট এলাকায় জামিনের জন্য ঘোরাফেরা করলেও থানা পুলিশ বলছে তাদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এনিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি আমিনা বেগম পলাতক হওয়া সত্বেও সিলেট মহানগর প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টাকা আত্মসাতের মামলার বাদি ও টাকার মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজাদ মিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাজানো একটি মামলা দায়ের করে। শুনানী শেষে আদালত দক্ষিণ সুরমা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ মামলার স্বাক্ষীরা হচ্ছেন টাকা আত্মসাতের মামলার পলাতক আসামি জাকির হোসেন, আয়েশা বেগম, লিমা বেগম ও রুহেল মিয়া।
বলা আবশ্যক যে, বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীগাঁও গ্রামের আজাদ মিয়া স্বপরিবারে যুক্তরার্জে বসবাস করছেন। বাড়িতে একমাত্র বৃদ্ধ মা’কে দেখাশোনা ও মামাত বোন আমিনা বেগমের লেখাপড়ার সুবির্ধার্থে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে আজাদ মিয়া বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সুবিধার্থে আমিনা বেগমের নামে দুটি ব্যাংকে দুটি একাউন্ট খুলে টাকা পাঠাতে থাকেন। কিন্তু আমিনা বেগম তার ভাই বোনের কুপরামর্শে বিশ্বাস ঘাতকতা করে সকলের অজান্তে নিজের নামে আলাদা একাউন্ট খুলে আজাদ মিয়ার এক কোটি ২৭লাখ টাকা উত্তোলন ও টাকা স্থানাস্তন করে নিজের একাউন্টে নিয়ে আত্মসাৎ করে। খবর পেয়ে আজাদ মিয়া যুক্তরাজ্য থেকে দেখে আসলে আমিনা বেগম আজাদ মিয়ার ঘরে থাকা সোনা নগদ টাকা ও পূর্বের জমাকৃত পাউন্ট নিয়ে উদাও হয়ে যায়।
এ ঘটনায় আজাদ মিয়ার ভাই জয়নাল আবেদীন বাদি টাকা আত্মসাতের মামলা করেন। আমিনা বেগম তার বিরুদ্ধে দায়েরী মামলা আড়াল করতে অনৈতিক ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মামলা করে। একজন কলেজ পড়ুয়া তরুনীর কর্মকান্ডে এলাকায় দারুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ইতোপূর্বে একাধিক সংবাদ প্রকাশিক হয়েছিল।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ