মহারশী নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে -পানিসম্পদ সচিব
২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন যে, স্থানীয় জনসাধারণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিশিয়ানদের মতামতের ভিত্তিতে মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিনি গতকাল শনিবার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত মহারশি নদীর ভয়াবহ ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘আমি এসেছি, শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় যেসব বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখার জন্য। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের মতামত ও টেকনিশিয়ানদের মতামতের ভিত্তিতে অবিলম্বে মহারশী নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খাঁন, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ. হুমায়ুন দিলদার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ.টি.এম ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজিবুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, প্রতিবছরই মহারশী নদীপথে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মহারশী নদীতে ভাঙন ও বন্যায় হাজার হাজার টাকার ফসলসহ সম্পদহানি হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর ভারিবর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ নকলা ও শেরপুর জেলা প্লাবিত হয় এবং পাহাড়ি নদীসহ অপরাপর নদীগুলোর দু’পাড় উপচে ও কাঁচা বাঁধ ভেঙ্গে হাজারো ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসল ও পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। উল্লেখ্য যে, শেরপুরের মানুষ ১৯৮৮ সালের বন্যার পর আর এমন ভয়াবহ বন্যা আর দেখেননি। এবারের পাহাড়ি ঢল ও সৃষ্ট বন্যায় ও হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষয় ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলে হাজার হাজার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ