বিষখালী বলেশ্বর পায়রা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন
২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
বরগুনায় অব্যাহত নদী ভাঙনের কবলে পড়ে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে লক্ষাধিক মানুষ। উপকূলীয় জেলা বরগুনার পায়রা, বিষখালী নদী ও বলেশ্বর নদের ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তীরবর্তী শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের দিন কাটছে ভাঙন আতঙ্কে। ইতোমধ্যেই নদ-নদীতে অসংখ্য বসত বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের গর্ভে বরগুনা সদরের বালিয়াতলী, তেঁতুলবাড়িয়া, বুড়িরচর, গোলবুনিয়া, রায়ের তবক, নলটোনা, আজগরকাঠি; পাথরঘাটার কালমেঘা, জিনতলা, রুহিতা, কাকচিড়া; বামনার রামনা; বেতাগীর পৌরসভা, সরিষামুড়ি, কালিকাবাড়ী, হোসনাবাদ, মোকামিয়া; আমতলীর বালিয়াতলী, গুলিশাখালী, পচাকোড়ালিয়া, আরপাঙ্গাশিয়া; তালতলীর নিশানবাড়িয়া, জয়ালভাঙা, চরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানচিত্র নদী ভাঙনের কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার ৮৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিডর থেকে শুরু করে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫০০ কিলোমিটার। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে মাত্র ৩শ’ কিলোমিটারের। বাকি ২শ’ কিলোমিটার বাঁধেরও সংস্কার জরুরি হয়ে পড়ছে। অমাবস্যা-পূর্ণিমার সময় এসব ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়িসহ ভেসে যাচ্ছে মাছের ঘের। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তালতলীর চরপাড়ার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কয়েকবার ভাঙনে এখানকার বাসিন্দাদের ভিটেবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে কাছাকাছি নতুন বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেছেন। তবে আবার ভাঙনে পড়লে সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন তারা।’
তালতলীর বড়বগী ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম খান লিটু বলেন, ‘এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে নদীতীরবর্তী পরিবারগুলো বসতভিটা হারাতে বাধ্য হবে।’
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘নদী ভাঙন রোধে সরকার ইতোমধ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অচিরেই এসব ভাঙনকবলিত এলাকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ