খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
পাঁচ কক্ষের ভবনটি হচ্ছে পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটা শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায়। এই ভবনটি গত ৫ অক্টোবর সকালে পদ্মা নদীর ভাঙনে মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকেই পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা সরকারি জমিতে খোলা মাঠে টিনের ছাউনি তুলে খোলা আকাশের নিচে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয় না থাকায় ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবুও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭০ সালে জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের আহাম্মেদ মাঝিকান্দি এলাকায় স্থাপিত হয় ৫২ নম্বর পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এরপর থেকে টিনের ছাউনি দেয়া পাকা মেঝের ঘরেই চলছিল পাঠদানের কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ছিল পাঁচটি কক্ষ। বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকেই এখন শ্রেণি কক্ষ বাদে বাইরে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। বৃষ্টি বা রোদ হলে স্থানীয় একটি মাদরাসার রান্না ঘরের নিচে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নেন।
খেলার মাঠ, লাইব্রেরি না থাকায় ও বেঞ্চ সংকটে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় বেঞ্চ, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ডসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বাধ্য হয়ে উন্মুক্ত জায়গায় রাখতে হচ্ছে। এতে স্কুলের মূল্যবান উপকরণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোদ-বৃষ্টিতে সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে খোলা আকাশের নিচে ধুলাবালির মধ্যে ক্লাস করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টির দিনে বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু রাখলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পদ্মা নদীর মাঝে অবস্থিত চরপাইনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আর অস্থায়ীভাবে পাঠদান চালু হয়েছে নদীর দক্ষিণ তীরের নাওডোবা এলাকায়। এ কারণে নৌকায় করে পদ্মার প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে। নদী পারাপারের ভয়ে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিশাদুল বলে, ‘খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় ঠিকমতো ক্লাস হয় না। বৃষ্টি হলে বই-খাতা ভিজে যায়। আমাদের জন্য নতুন একটি বিদ্যালয় হলে ভালো হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মিয়া (শান্ত) বলেন, নদীভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়ের ভবনটি ধসে পড়ে। এরপর থেকে বাধ্য হয়ে নদী পার হয়ে পদ্মা সেতুর অধিগ্রহণ করা সরকারি জমিতে খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, অস্থায়ীভাবে একটি টিনশেড করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য বরাদ্দ চেয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ শুরু করতে পারবো।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা আমল করি সৎ থাকি তাহলে এই এলাকা আরও উন্নতি হবে- আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দিন
ভাইরাল পোস্টের প্রচেষ্টায় নিখোঁজ চীনা অভিনেতা উদ্ধার
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে যে ১০ জেলা
লন্ডন যাওয়া হলো না বিতর্কিত নায়িকা নিপুনের, তাকে রেখে সিলেট ছাড়লো ফ্লাইট !
পাকিস্তানে খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে আটকে পড়েছে ১২ শ্রমিক, উদ্ধারকাজ চলছে
এবার রিপাবলিক বাংলাকে তুড়িতেই উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের নরেন্দ্রনাথ
কার্টারকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে একসঙ্গে পাঁচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট
দেশের সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে ক্যামেরুনে
রূপপুর প্রকল্পের ভবন থেকে আরো এক রুশ নাগরিকের লাশ উদ্ধার
লন্ডনে যাওয়ার সময় চিত্রনায়িকা নিপুণ আটক
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহুকে আটক করবে না পোল্যান্ড !
মুঠোফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপানোর আহ্বান
শ্রীলঙ্কায় ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগে বৌদ্ধ ভিক্ষু গনানসারার কারাদণ্ড
ট্রাম্পের ঘুষের মামলায় সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ
সৎ ভাইকে ফাঁসাতে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যায় অভিযুক্ত বাবার আত্মসমর্পণ
৭ ডিগ্রীতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা,বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি
সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত : পতাকা বৈঠকে বিএসএফকে বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
নিকোলাস মাদুরোর তৃতীয় শপথ, রাজনৈতিক দমন-পীড়নের আশঙ্কা
সুপার কাপ ফাইনালে বার্সা-রিয়াল মহারণ